Sunday, 5 June 2016

ব্রেকিং_নিউজ‬: চাবাহারের ধাঁচে বাংলাদেশেও বন্দর তৈরি করবে ভারত

ব্রেকিং_নিউজ‬: চাবাহারের ধাঁচে বাংলাদেশেও বন্দর তৈরি করবে ভারত, হাসিনা সরকারের সাথে কথাবার্তা প্রায় পাকা জানালেন জাহাজ মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। . ইরানের চাবাহার বন্দরের ধাঁচেই বাংলাদেশেও একটি বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করছে ভারত। ইতিমধ্যেই জাহাজ মন্ত্রকের এক প্রতিনিধি দল ঢাকা ঘুরে এসেছে। শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি। . মুম্বই থেকে ভি়ডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন,‘‘এখনই কোন বন্দর নিয়ে আলোচনা চলছে তা বলব না। তবে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বাড়াতে নয়াদিল্লি একটি বন্দর নির্মাণ ও পরিকাঠামো নির্মাণ করতে চায়। এ নিয়ে কথাবার্তাও এগচ্ছে।’’ . ইরানের চাবাহার বন্দর নির্মাণের চুক্তি সই হওয়ার পর ভারতের লক্ষ্য এখন বাংলাদেশ এবং মায়ানমারেও একইভাবে বন্দর তৈরি করা। বন্দরগুলি আপাতভাবে বাণিজ্যিক বন্দর হলেও প্রয়োজনে এই তল্লাটে দেশের কৌশলগত অবস্থান পোক্ত করতেও কাজে লাগানো যেতে পারে। বাংলাদেশের মঙ্গলা এবং মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরে বিশাল পরিমাণ ভারতীয় বিনিয়োগ নিয়ে অনেকদিন ধরেই চর্চা চলছে। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী অবশ্য আলোচনার কথা মেনে নিলেও কোন বন্দরটি ভারত উন্নয়ন করবে তা খোলসা করেননি। . তবে চাবাহারের বাণিজ্যিক লাভের কথা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। নীতিন জানান, ইরানেরর চাবাহার বন্দরের কাছেই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। সেখানে নালকো কারখানা স্থাপন করবে। ইরান মাত্র ২ মার্কিন ডলারে প্রতি ইউনিট গ্যাস ভারতকে দিতে সম্মত হয়েছে। সস্তায় গ্যাস পাওয়া গেলে সেখানেই নালকোর মতো সংস্থা ইউরিয়া তৈরি করবে। সেই ইউরিয়া গুজরাতের কান্ডলা বন্দরে আনা হবে। এর ফলে সারে ভর্তুকির ৪৫ হাজার কোটি টাকা ভারত সাশ্রয় করতে পারবে বলে জানান তিনি। . গডকড়ি বলেন,‘‘চাবাহার থেকে কান্ডলা বন্দরের সমুদ্রপথে দূরত্ব মাত্র ৮০০ মাইল। ফলে চাবাহার থেকে পারস্য উপসাগর দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বহুগুণ বাড়িয়ে নিতে পারবে। আফগানিস্তানে পৌঁছাতে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আর যেতে হবে। মধ্য এশিয়ার দেশ গুলিও আমাদের আরএ কাছে চলে আসবে।’’ . বন্দর বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বাংলাদেশেও সস্তায় গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। সে দেশেও বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে ভারতীয় সংস্থা। এর সঙ্গে বন্দর নির্মাণ করতে পারলে ভারতীয় সংস্থাগুলি আরও বেশি বাণিজ্য করতে পারবে। কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রী সেই সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন। তিনি জানান, ভারত-বাংলাদেশেরমধ্যে বছরে ৬০০০ মিলিয়ন টন পণ্য সড়ক পথে যাতায়াত করে। সেই পণ্য যাতে নদী ও সমুদ্র পথে নিয়ে যাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাও কর হচ্ছে। কলকাতা, হলদিয়া এবং সাগর বন্দর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হবে। . সেই সূত্রেই গডকড়ি বলেন,‘‘সাগর বন্দরে ১৪.৫ মিটার পর্যন্ত নাব্যতা মিলতে পারে। এই বন্দরে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর রেল-রোড সেতুটি জাতীয় সড়ক উন্নয়ন কর্ত়ৃপক্ষ তৈরি করবে। বন্দর নির্মাণের খরচ রাজ্য, কেন্দ্র এবং বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে তোলা হবে হবে।’’ . বন্দর কর্তাদের বক্তব্য, ভারত বাংলাদেশে কোনও বন্দর তৈরি করলে তার সুবিধা সরাসরি এ রাজ্য পাবে। কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের কারবার বহুলাংশে বাড়বে। শুধু বাণিজ্যক সুবিধাই নয়, বাংলাদেশ বা মায়ানমারের কোনও বন্দরের ভারতের উপস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কৌশলগত অবস্থানও দৃঢ় করবে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাও।

No comments: