অতি চালাকের গলায় দরি। অনেকে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ এর সাথে তেজসের তুলনা করতে গিয়ে বলেন যে জেএফ-১৭সার্ভিসেএসেছে। কিন্তু তেজস কোথায়? তেজস ৩২ বছর ধরে কাজ চলছে ব্লাব্লা। কতটা যুক্তিযুক্ত সেই কথা তা আজ দেখাব।
১- জেএফ-১৭ পাকিস্তানের গর্ব কিন্তু এর মধ্যে পাকিস্তানের অংশ কতটা তা দেখাতে হিমশিম খায় পাকিস্তানের ফ্যান বয়েজ। যেখানে তেজসের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সুইট, কম্পিউটার সিস্টেম, ককপিট গ্লাস, এয়ার ফ্রেম ও আরও অনেক কিছুই ভারতের তৈরি।
২- জেএফ-১৭ কোনো পাকি ফাইটার নয় এটা জয়েন্টলি ডেভেলপ করা হয়েছে। অর্থাৎ সমস্ত ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়া চীনে হয়েছে। শুনলে অবাক লাগে যে ফাইটার নিয়ে এত গর্ব তার মেন প্রডাকশান লাইন পাকিস্তানে না চীনে। উল্টো দিকে ভারতের ৩২বছর সময় লাগার কারন ভারতের সমস্ত ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ভারতের নিজে করতে হয়েছে। ভারত এরিনটিক্স ফিল্ডে নতুন। চীন বহু আগে থেকে ফাইটার বম্বার বানায় তাই চীনের ফাইটার আগে আসাই স্বাভাবিক।
৩- এবার আসি অন্য কথায়। ভারতের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে কতটা বিপাকে পড়তে হল পাকিস্তানকে? পাকিস্তানের প্রথম ৫০টি জেএফ-১৭ ফাইটারে কোনো হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে নেই। যা ডগ ফাইটে এক বিরাট অসুবিধা। তেজসে সেই সুবিধা আছে। অর্থাৎ এইধরনের হেলমেট পরে পাইলট যে দিকে তাকাবে বিমানে ক্যনন বা পাইথন ৫ বা অস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র সেটাকে টার্গেট করবে।
৪- এই ৫০টি বিমানে কোনো অক্সিজেন সিলেন্ডার নেই। অর্থাৎ অতি উচ্চতায় মিশন পরিচালনা করতে পারবে না এই বিমান।
৫- জেএফ-১৭ ব্লক ১ এ থাকছে না কোনো মিড এয়ার রিফিউলার। অর্থাৎ বিমানে থাকা জ্বালানি বিমানের শেষ সম্বল। তেজসের প্রথম ভার্সানেই তা থাকছে।
৬- জেএফ-১৭ ব্লক২ প্রর্যন্ত থাকছে না কোনো এইএসএ (AESA) রেডার যেখানে তেজস মার্ক-১এ তেই এইএসএ (AESA) রেডার পাচ্ছে।
৭-জেএফ-১৭ ব্লক২ অব্ধি এয়ার ফ্রেম তৈরি মেটাল বডি। তাই আরসিএস ১৫০কিমি থেকে ৫বঃমি যেখানে তেজসে ১৳৳৳৫বঃমি অর্থাৎ তেজস কে রেডারে ধরা অত্যন্ত কঠিন কারন তেজসের বডির ৬০শতাংশ তৈরি কার্বন কম্পোজাইট দিয়ে।
৮- জেএফ ১৭ ইতিমধ্যে অফিশিয়ালি ১বার ক্রাশ করেছে যেখানে তেজস আজ অব্ধি ক্রাস করেনি।
আশা করি বুঝতে পারছেন কেন কোনো জিনিসে তারাহুরো করতে নেই। তেজস মার্ক-১এ জেএফ-১৭ ব্লক৩এর চেয়ে বেশি উপযোগি।

No comments:
Post a Comment