Tuesday, 21 June 2016

ভারতের এক নতুন লং রেঞ্জ স্যাম আশ্বিন।


আজ আপনাদের এক নতুন জিনিসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। ভারতের এক নতুন লং রেঞ্জ স্যাম আশ্বিন। এক নতুন প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে ডিআরডিও এর অধীনে। আশ্বিন হল আসলে Advanced Air Defence interceptor missile। যা আসলে ভারতের বিএমডি বা ব্যালিস্টিক মিসাইল ডিফেন্স বা বিএমডি এর endo atmosphere air defence missile। অশ্বিন স্যাম এএডি মিসাইলের নতুম ভার্সান এই মিসাইল কতটা আধুনিক হবে তা আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। ৭৳৳৳৫মিঃ লম্বা ১৳৳৳২টন ওজনের মিসাইল টি কঠিন জ্বালানি দ্বারা পূর্ন। ফলে এর মেন্টেন্স অনেক সুবিধাজনক। অশ্বিন স্যামে থাকছে hi-tech computer, a navigation system ও electro-mechanical activator। অর্থাৎ এটি বিমান ও ব্যালিস্টিক মিসাইলকে তো ধ্বংস করবেই সাথে এর কাছে কোনো স্টেলথ বিমান ই স্টেলথ থাকবে না। ক্রুজ মিসাইল থেকে শুরু করে যেকোনো স্টেলথ বিমান ই এর থেকে নিরাপদ নয়। এই মিসাইলের গতী ম্যাক ৫ থেকে ম্যাক ৭ অর্থাৎ হাইপারসনিক। রেঞ্জ সর্বোচ্চ ২০০কিমি। যদিও প্রকৃত রেঞ্জ অনেক বেশি। এটি ভারতের আকাশ স্যামের থেকে প্রায় ১০০গুন আধুনিক। ম্যানুয়েভারেবিলিটির হিসাব দিলে আপনি বুঝতে পারবেন। ভারতের তেজস যুদ্ধবিমানের এক বিশেষত্ব হল গতী বাড়লে একে আটকানো কঠিন। যদি আপনি তেজসের সাথে ডগফাইটে আসেন ম্যাক ০৳৳৳৮ অব্ধি ঠিকাছে কিন্তু যদি তা ম্যাক ১+ হয় অনুরোধ করবো ফিরে আসুন তখন জেতা ততটা সোজা হবে না। কারন তেজস তখন তার ম্যনুয়েভারেবিলিটি ৮জি লিমিট অব্ধি তুলতে সক্ষম যেটা তুলতে অনেক বিমানকে হিমসিম খেতে হয়। আশাকরি এর মাধ্যমে জি লিমিটের একটি ধারনা আপনাদের দিতে পারলাম। এবার আসি আসল কথায়। অশ্বিন স্যামের ম্যনুয়েভারেবিলিটি কত জানেন? ২৫G থেকে ৩০G। এবার ভাবুন এটা কি করতে পারে। এবার আসি অন্য কথায়। যদি আকাশ স্যামের সাথে তুলনা করি তালে কিরকম পরিবর্তন পাবো? আকাশ স্যামের এক বড় সমস্যা হল এটি ১০০শতাংশ রেডার গাইডেড স্যাম। যা সত্যি এক সমস্যা কারন যদি আপনি ফায়ার কন্ট্রোল রেডার টি জ্যাম বা ধ্বংস করে দেন তালে অকেজ হয়ে যাবে পুরো সিস্টেম। সেই সমস্যা থাকবে না নতুন স্যামে। কারন নতুন স্যামে থাকছে Active radar homing ও ইন্টার্নাল নেভিগেশান সিস্টেম। অর্থাৎ টার্গেটের দিকে মিসাইল লঞ্চ হলে তা নিজে নিজেই গাইডেন্স পাবে। যা ভারতের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নব যুগের সূচনা করবে। আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রে ছিল ৬০কেজি বিষ্ফরক ওয়ারহেড। যেটি থাকছে না আশ্বিনে। বদলে থাকবে “নেটিক কিল” পদ্ধতি। অর্থাৎ ব্যাপক গতীতে আঘাত হানার মাধ্যমে ধ্বংস হবে টার্গেট। এই পদ্ধতিতেই বর্তমানে সমস্ত স্যাম যেমন এস-৪০০ বা থাড কে তৈরি করা হয়েছে। আকাশ স্যামে কোনো ক্যানিস্টার ছিল না। ফলে অনেক বেশি গ্রাউন্ড সিগনেচর ছিল যা শত্রুপক্ষের আক্রমণের অনুকূল ছিল কিন্তু আশ্বিন স্যাম কে প্রাহার ক্ষেপণাস্ত্রের ক্যানিস্টার ব্যাবহার করবে। এক লঞ্চারে ৬টি মিসাইল থাকবে ও একটি ব্যেটারিতে ৩০টি মিসাইল রেডি টু লঞ্চ মুডে থাকবে ও রি-লোডের জন্য আলাদা মিসাইল থাকবে। এস-৪০০ বা ৩০০ এর মত এটি ভূমির সাথে ৯০ ডিগ্রী কোনে উৎক্ষপন করা হবে। পরে মিসাইল টার্গেটের দিকে বেকে যাবে। রেডার হিসাবে এতে LRTR ব্যাবহার করা হবে যা ১৫০০কিমি ট্রাকিং রেঞ্জ থাকবে। পরিশেষে বলা যায় চীনের এইচকিউ-০৯ এর চেয়ে অনেক আধুনিক হবে এটি। এছাড়া আরও অনেক স্যামের সাথে একে তুলনা করা যায় যেগুলোর নাম এখন আমি তুলে ধরতে চাইছি না। আশা করি আপনাদের কাছে বিষয় টি তুলে ধরতে পারলাম। জয় হিন্দ। ।

No comments: