Wednesday, 22 June 2016

আজ ভারতীয় স্পেস এজেন্সি ইসরো এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

আজ ভারতীয় স্পেস এজেন্সি ইসরো এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ৩টি ভারতীয় স্যাটেলাইট ও ১৭টি বিদেশী স্যাটেলাইট মিলিয়ে মোট ২০টি স্যাটেলাইট একসাথে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চিং ভাইকল-সি ৩৪ এর মাধ্যমে মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। আসুন জেনে নি ২০টি স্যাটেলাইট গুলো কোন কোন দেশের ও কি তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য : . ১. LAPAN-A3 (Indonesia): এটি একটি মাইক্রো স্যাটেলাইট যা পৃথিবীর পর্যবেক্ষণ, আবহাওয়া ও ল্যান্ড ম্যাপিং এবং প্রাকৃতিক সম্পদ খুঁজে বার করতে সহায়তা দান করবে। . ২. M3MSat (Canada): কানাডার ডিফেন্স রিসার্চ ও ডেভাল্পমেন্ট এবং কানাডা স্পেস এজেন্সির যৌথভাবে বানানো এই মাইক্রো স্যাটেলাইট টি প্রধানত, লো আর্থ ওরবিট থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করবে। . ৩. GHGSat-D (Canada): ইউনিভার্সিটি অফ টরেন্টো ইন্সটিটিউট অফ এরোস্পেস স্টাডি এর প্রস্তুত করা এই স্যাটেলাইট টি পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে বেড়ে চলা গ্রিন হাইজ গ্যাসের তথ্য সংগ্রহ করবে। . ৪. BIROS (Germany): বার্লিন ইনফারেড অপ্টিকাল সিস্টেম বা BIROS স্যাটেলাইট টি প্রস্তুত করেছে জার্মান এরোস্পেস সেন্টার। এই স্যাটেলাইট টির প্রধান কাজ হলো, পৃথিবীর উষ্ণায়নের সর্বোক্ষন পরিমাপ করা। . ৫. SkySat Gen2-1 (U.S.): ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত গুগুল কোম্পানির শাখা Terra Bella এর প্রস্তুত করা এই ছোট আর্থ ইমাজিন স্যাটেলাইট টির কাজ হলো হাই রেজুলেশান ক্যামেরার মাধ্যমে পৃথিবী বিভিন্ন জায়গার ছবি ও এইডি ভিডিও তোলা। . ৬. Dove Satellites (U.S.): আজ মোট ১২টি Flock-2P আর্থ ইমেজিং স্যাটেলাইট ইসরো উৎক্ষেপণ করেছে। এই ধরনের স্যাটেলাইট গুলো পৃথিবীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হবে। . ৭. Sathyabamasat(India) : ভারতের চেন্নাই তে অবস্থিত সত্যভামা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রী দের বানানো এই স্যাটেলাইট টি বায়ুমণ্ডলের গ্রীন হাউজ গ্যাসের তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার হবে। . ৮. SwayamSat (India) : পুনেতে অবস্থিত কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ানিং এর ছাত্রদের প্রস্তুত করা এই স্যাটেলাইট টির প্রধান কাজ হলো, রেডিও কমিউনিকেশান ব্যবস্থা কে আরো উন্নত করা। . ৯. Cartosat-2(India) : Cartosat-2 সিরিজের স্যাটেলাইট টিই আজ ইসরোর উৎক্ষেপণ করা সবথেকে ভারী স্যাটেলাইট। এই স্যাটেলাইট টির প্রধান কাজ কোস্টাল এরিয়ার পর্যবেক্ষণ, রোড ম্যাপিং, ওয়াটার ডিস্টিবিউসান, ব্যবহৃত ভুমির নকশা নির্মান ইত্যাদি হলেও এটি একটি নজরদারি চালানোর স্যটেলাইট বা সার্ভাইলেন্সি স্যাটেলাইট। এবার থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ বিদেশী শত্রুসেনার উপর গোপনে এবং নির্ভুলভাবে নজরদারি চালাতে পারবে৷ এটির নজরদারির ক্ষমতা এতটাই বেশি যে মহাকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠের কোন একজন ব্যাক্তিরও প্রতিটি পদক্ষেপ নজরদারি করা যাবে অর্থাৎ মূলত সামরিক উদ্দেশ্যেই এই স্যটেলাইট ব্যবহার করা হবে।

No comments: