কেজিবির একটি অপারেশনের কাহিনী:

কেজিবির একটি অপারেশনের কাহিনী: কেজিবি ১৯৫৯~৭২ সাল পর্যন্ত অামেরিকার বিভিন্ন পাওয়ার প্লান্ট,ড্যাম,তেল পাইপলাইন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ছবি তুলতে শুরু করে। কেজিবির উদ্দেশ্য ছিল এইগুলো গোপনে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা। তারা টার্গেটের বিভিন্ন দুর্বলতার দিক খুব ভালোভাবে অ্যানালাইসিস করে। তো কেজিবি অপারেশন চালানোর জন্য পেনসিলভ্যানিয়ারহ্যারিসবার্গে একটি সেইফ হাউস তৈরি করে। এখানে বসে কেজিবির এ্জেন্টরা পরিকল্পনা করে কিভাবে অপারেশন চালানো যায়। তারা দেখতে পায় যে, যুক্তরােষ্ট্্র হাইড্রোইলেকট্রিক ড্যামগুলো অধিকাংশ পাওয়ার সাপ্লাই করে। তারা মন্টানার রাজ্যের হাঙ্গেরি হর্স ড্যামকে সিলেক্ট করে। তার কারণ হচ্ছে এটা এই রাজ্যের অধিকাংশ পাওয়ার সাপ্লাই করে যা একটি বিশাল ড্যাম। এটা অকার্যকর করতে পারলে মন্টানা রাজ্য ও অাশেপাশের এলাকায় পাওয়ার সাপ্লাই ধ্বংস করা সম্ভব হবে। কেজিবি খুব গোপনে এবং সতর্কতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে লাগল। তারা অপারেশন চালানোর জন্য স্হান ঠিক করল। এ্েজন্টরা প্রয়োজনীয় এক্সপ্লোসিভ এবং অস্ত্র নিয়ে রেডি। তারা হাঙ্গেরি ড্যামের ৩ কিলোমিটার দূরে ফর্ক নদীর কাছ থেকে অাক্রমণ শুরু করে। অাকস্মিক অাক্রমণ শুরু করার পর খুব তাড়াতাড়ি হাঙ্গেরি হর্স ড্যামের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। প্রথমে পর্বতের চূড়ায় অবস্হিত পাওয়ার পাইলন ধ্বংস করে দেয়। পাওয়ার পাইলন একটি ইলেট্রিক টাওয়ার যার মাধ্যমে পাওয়ার ট্রান্সমিশন করা হয়। এটা একবার ধ্বংস হলে ঠিক কর‌তে অনেক সময় লাগে। এরপর অন্যান্য ড্যা‌মের অংশ গুড়িয়ে দেয়। অথাৎ হর্স ড্যামের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। সাথে সাথে অন্ধকার নেমে অাসে। শিল্পকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বিলিয়ন বিলিয়ন ক্ষতিগ্রস্হ হয়। সিঅাইএ বুঝতেই পারল না। অামেরিকা একে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়। এভাবেই শেষ হয় কেজিবির একটি অপারেশন। (উ্েল্লখ্য অামরা কেজিবি সম্পকে এত জানি তা একটি লোকের জন্য তার নাম ভ্যাসিলি মিত্রোকিন। তিনি ৩০ বছর কেজিবির তথ্যসংরক্ষক ছিল। তিনি ১৯৯১ সালে লন্ডনে পালিয়ে এ্েস কেজিবির ২৫০০০ হাজার পেজের ফাইল ফঁাস করে দেয়। তার মধ্যে এই অপারেশনটি ছিল)