বিশ্বসেরা স্নাইপারঃ-
Simo HäyhäThe White Death
নামে বহুল পরিচিত এইলক্ষ্যভেদী স্নাইপারের নিশ্চিত শিকার সংখ্যা৭০৫ (রাইফেলের গুলিতে ৫০৫ জন এবংসাবমেশিন গানের গুলিতে ২০০ জন)! জাতে ফিনিশএই যোদ্ধা Iron Sighted Bolt ActionRifle ব্যবহার করে সর্বকালের সেরা স্নাইপারহিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় খোদাইকরেছেন। পৃথিবীর কোনো যুদ্ধেই একা একজন সৈন্যএতগুলো প্রান নিতে পারেনি Simo Hayhaযতগুলো নিয়েছেন।Hayha’রজন্ম বর্তমান ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ারসীমান্তবর্তী শহর Rautjärvi তে।সেনাবাহিনীতেযোগদান করেন ১৯২৫ সালে। তবেস্নাইপার হিসেবে দায়িত্ব পান ১৯৩৯-৪০ সালেচলা রাশিয়াও ফিনল্যান্ড এর মধ্যকারWinter War এ ।এই সংঘর্ষ চলাকালীন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত নেমে যায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে Hayha এই অসহনীয় শীতেও নিজেকে মানিয়েনেন। এবং ১০০ দিনেরও কম সময়ে ৫০৫ জনরাশিয়ানকে মৃত্যুপুরীতে পাঠিয়ে দেন, যদিগুলিবিদ্ধদেরকেও হিসাবে আনা হয় তবে সংখ্যাটিদাঁড়ায়৫৪২ এ , তারপরও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনেরখসড়া হিসেবে Hahya’র শিকার সংখ্যা ৮০০ এরউপরে ধরা হয় !!!!স্নাইপিং রাইফেল ছাড়াও Hayha সুওমি KP/31সাবমেশিন গান ব্যবহার করে ২০০ জনরাশিয়ানকে হত্যা করার মাধ্যমে ৭০৫ জনেরপ্রানহরন করা অফিসিয়ালি নিশ্চিত করেন।কীভাবে Häyhä এই অবিশ্বাস্য কাজটি করলেনসেটি আসলেই রহস্যই থেকে যায়। আপাতদৃষ্টিতেএকটানা তিন মাস ধরে রাশিয়ানফ্রন্টেতুষারপাতের মাঝে একের পর এক বিরামহীন ভাবেরাশিয়ান সৈন্য মাছির মত মেরে গেছেন।অবশ্যই রাশিয়ান জেনারেলরা যখন দেখছিলেন এতসৈন্য মারা যাচ্ছে তারা ধরেই নেনযেহেতু যুদ্ধচলছে সৈন্য তো মারা যাবেই। কিন্তু যখন তাদেরকাছে খবর আসলো Hahya নামক এক অতিমানবএকাই শ’য়ে শ’য়ে রাশিয়ান মেরে চলেছেন তখন তারাকোমর বেঁধে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন।প্রথমেই তারা ফিনিশ ফ্রন্টে কয়েকজন দক্ষকাউন্টার স্নাইপার পাঠালেন। কিন্তু যখন তারাফিরে আসছিল না তখন ক্ষিপ্ত রাশিয়ানজেনারেলরা এক ব্যাটালিয়ন সৈন্যই পাঠালেন কেবলHahya কে সরানোর জন্য। কিন্তু অন্যান্যফিনিশ সৈন্য রাশিয়ানদের হাতে মারা ও বন্দীপরলেও Hayha কে খূজে পেতে ব্যর্থ হয় তারা।পরিনামে একের পর এক কামান পাঠানো হয় ফিনিশফ্রন্টে সেটাও কেবল Hahya কে হত্যারউদ্দেশ্যে। কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন Hahya ছিলশেয়ালের মত ধূর্ত। মৃত্যুখড়্গ তার কানের পাশদিয়ে ঘুরে গেলেও তার ঘাড় খুজে পায়নি। উচ্চতায়Hahya ছিলেন মাত ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। উচ্চতারসাথে সামঞ্জস্য রেখেতিনি ব্যবহারও করতেনতুলনামূলক খাটো রাইফেল। লক্ষ্যভেদে আরোদক্ষতা বাড়াতে লোহার তৈরি শুটিং সাইট ব্যবহারকরতেন। ব্যারেলের সাথে ঘন করে তুষার রেখেদিতেন যাতে গুলিকরার পরও তার অবস্থান যাতেটের না পাওয়া যায়। তিনি মুখের ভেতরও তুষার ভরেরাখতেন যাতে তার নিশ্বাসের শব্দ কাছ দিয়ে হেটেওগেলেও কেউ শুনতে না পায়।পরবর্তীতে ১৯৪০ সালের মার্চের ৬ তারিখেচোয়ালে স্ট্রে বন্দুকের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেউদ্ধার করেতার সহযোদ্ধারা। উদ্ধার করার সময়তার মুখমণ্ডলের অর্ধেক নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল।তারপরও সে বেঁচে ছিলেন এবং কিছুদিন পর রাশিয়াও ফিনল্যান্ডের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়ার দিনঅর্থাৎ ১৩ই মার্চ, ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানফিরে পান ।২০০২সালের ১লা এপ্রিল ৯৬ বছর বয়সে মারাযায় সর্বকালের সেরা এই দুর্ধর্ষ স্নাইপার।আবারো তার শিকার সংখ্যা মনে করিয়ে দিয়ে যাই–সর্বমোট হত্যা -> ৫০৫ (স্নাইপিং রাইফেল) +২০০ (সাবমেশিন গান) = ৭০৫ জন সুনিশ্চিতভাবে …… ১০০ দিনেরও কম সময়ে !!!!!!
নামে বহুল পরিচিত এইলক্ষ্যভেদী স্নাইপারের নিশ্চিত শিকার সংখ্যা৭০৫ (রাইফেলের গুলিতে ৫০৫ জন এবংসাবমেশিন গানের গুলিতে ২০০ জন)! জাতে ফিনিশএই যোদ্ধা Iron Sighted Bolt ActionRifle ব্যবহার করে সর্বকালের সেরা স্নাইপারহিসেবে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় খোদাইকরেছেন। পৃথিবীর কোনো যুদ্ধেই একা একজন সৈন্যএতগুলো প্রান নিতে পারেনি Simo Hayhaযতগুলো নিয়েছেন।Hayha’রজন্ম বর্তমান ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ারসীমান্তবর্তী শহর Rautjärvi তে।সেনাবাহিনীতেযোগদান করেন ১৯২৫ সালে। তবেস্নাইপার হিসেবে দায়িত্ব পান ১৯৩৯-৪০ সালেচলা রাশিয়াও ফিনল্যান্ড এর মধ্যকারWinter War এ ।এই সংঘর্ষ চলাকালীন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে৪০ ডিগ্রী পর্যন্ত নেমে যায়। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে Hayha এই অসহনীয় শীতেও নিজেকে মানিয়েনেন। এবং ১০০ দিনেরও কম সময়ে ৫০৫ জনরাশিয়ানকে মৃত্যুপুরীতে পাঠিয়ে দেন, যদিগুলিবিদ্ধদেরকেও হিসাবে আনা হয় তবে সংখ্যাটিদাঁড়ায়৫৪২ এ , তারপরও যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনেরখসড়া হিসেবে Hahya’র শিকার সংখ্যা ৮০০ এরউপরে ধরা হয় !!!!স্নাইপিং রাইফেল ছাড়াও Hayha সুওমি KP/31সাবমেশিন গান ব্যবহার করে ২০০ জনরাশিয়ানকে হত্যা করার মাধ্যমে ৭০৫ জনেরপ্রানহরন করা অফিসিয়ালি নিশ্চিত করেন।কীভাবে Häyhä এই অবিশ্বাস্য কাজটি করলেনসেটি আসলেই রহস্যই থেকে যায়। আপাতদৃষ্টিতেএকটানা তিন মাস ধরে রাশিয়ানফ্রন্টেতুষারপাতের মাঝে একের পর এক বিরামহীন ভাবেরাশিয়ান সৈন্য মাছির মত মেরে গেছেন।অবশ্যই রাশিয়ান জেনারেলরা যখন দেখছিলেন এতসৈন্য মারা যাচ্ছে তারা ধরেই নেনযেহেতু যুদ্ধচলছে সৈন্য তো মারা যাবেই। কিন্তু যখন তাদেরকাছে খবর আসলো Hahya নামক এক অতিমানবএকাই শ’য়ে শ’য়ে রাশিয়ান মেরে চলেছেন তখন তারাকোমর বেঁধে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন।প্রথমেই তারা ফিনিশ ফ্রন্টে কয়েকজন দক্ষকাউন্টার স্নাইপার পাঠালেন। কিন্তু যখন তারাফিরে আসছিল না তখন ক্ষিপ্ত রাশিয়ানজেনারেলরা এক ব্যাটালিয়ন সৈন্যই পাঠালেন কেবলHahya কে সরানোর জন্য। কিন্তু অন্যান্যফিনিশ সৈন্য রাশিয়ানদের হাতে মারা ও বন্দীপরলেও Hayha কে খূজে পেতে ব্যর্থ হয় তারা।পরিনামে একের পর এক কামান পাঠানো হয় ফিনিশফ্রন্টে সেটাও কেবল Hahya কে হত্যারউদ্দেশ্যে। কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন Hahya ছিলশেয়ালের মত ধূর্ত। মৃত্যুখড়্গ তার কানের পাশদিয়ে ঘুরে গেলেও তার ঘাড় খুজে পায়নি। উচ্চতায়Hahya ছিলেন মাত ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। উচ্চতারসাথে সামঞ্জস্য রেখেতিনি ব্যবহারও করতেনতুলনামূলক খাটো রাইফেল। লক্ষ্যভেদে আরোদক্ষতা বাড়াতে লোহার তৈরি শুটিং সাইট ব্যবহারকরতেন। ব্যারেলের সাথে ঘন করে তুষার রেখেদিতেন যাতে গুলিকরার পরও তার অবস্থান যাতেটের না পাওয়া যায়। তিনি মুখের ভেতরও তুষার ভরেরাখতেন যাতে তার নিশ্বাসের শব্দ কাছ দিয়ে হেটেওগেলেও কেউ শুনতে না পায়।পরবর্তীতে ১৯৪০ সালের মার্চের ৬ তারিখেচোয়ালে স্ট্রে বন্দুকের গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকেউদ্ধার করেতার সহযোদ্ধারা। উদ্ধার করার সময়তার মুখমণ্ডলের অর্ধেক নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিল।তারপরও সে বেঁচে ছিলেন এবং কিছুদিন পর রাশিয়াও ফিনল্যান্ডের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়ার দিনঅর্থাৎ ১৩ই মার্চ, ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানফিরে পান ।২০০২সালের ১লা এপ্রিল ৯৬ বছর বয়সে মারাযায় সর্বকালের সেরা এই দুর্ধর্ষ স্নাইপার।আবারো তার শিকার সংখ্যা মনে করিয়ে দিয়ে যাই–সর্বমোট হত্যা -> ৫০৫ (স্নাইপিং রাইফেল) +২০০ (সাবমেশিন গান) = ৭০৫ জন সুনিশ্চিতভাবে …… ১০০ দিনেরও কম সময়ে !!!!!!

No comments:
Post a Comment