★~~ Operation Opera ~~★
#সুত্রপাত: . জন্মের লগ্ন থেকেই ইজ্রাইলের অস্তিত্ব মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি মেনে নেয় না ও বিভিন্ন ভাবে ইজ্রাইল ধ্বংস করার চেষ্টা করে কিন্তু ১৯৬৭সালে সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলি একযোগ হয়েও মিলিত প্রযাসের পরেও ইজ্রাইল শুধু নিজের অস্তিত্ব রক্ষাই করে না উপরুত্ত যুদ্ধে জয়লাভ করে আরব দেশ গুলোকে উপহার দেয় একরাশ লজ্জা। যা আরব দেশ গুলোর পক্ষে সহজে হজম করা ছিল প্রায় অসম্ভব। আরব জোটের শক্তিশালী রাষ্ট্র ইরাক বুঝতে পারে যে ইজ্রাইল কে জব্দ করার একমাত্র উপায় হলো নিজেকে পরমানুশক্তিধর রাষ্ট্র রুপে পরিনত হওয়া। তাই ১৯৭৬ সালে ইরাক ফ্রান্সের থেকে একটি শক্তিশালী নিউক্লীয়ার রিয়েক্ট কেনে ও সেটি কে তাদের রাজধানী বাগদাদ থেকে ১৭কিলোমিটার দূরে " ওশিরাক" অঞ্চলে স্থাপন করে। যদিও ইরাক এটি কে অসামরিক ও শান্তিপূর্ণ পরমানুর ব্যবহার বলে দাবী করলেও ইজ্রাইল অভিযোগ করতে থাকে যে ইরাক গোপনে নিউক্লীয়ার বোমা বানানোর উদ্দেশ্যে প্লুটোনিয়াম উৎপাদন শুরু করেছে। কিন্তু তলে তলে ইজ্রাইলের সব ধরনের কুটনৈতিক প্রযাস ব্যথ হলে তারা ইরাকের পরমানু প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক শক্তি প্রযোগের সীদ্ধান্ত নেয়। সেই অপারেশনের কোড নেম দেওয়া হয় " অপারেশন অপেরা।" #অপারেশন: . ১৯৮১ সালের ৭জুন এক দুপুরে ইজ্রাইল বায়ুসেনার থিজিওন এয়ারবেস থেকে ৮টি এফ-১৬এস ও ৬টি এফ-১৫এস যাদের প্রতিটিতে দুটি করে আনগ্রাইডেড মার্ক-৮৪ পাউন্ড ডিলে একশান বোম ও অতিরিক্ত জ্বালানী ট্যাঙ্ক লোড করে ইরাকের দিকে রওনা হয় এবং একটি নিদিষ্ট উচ্চতায় একই ফর্মেশনে উড়ে রেডার ফাকি দিকে প্রথমে জর্ডন ও তারপর সৌদি আরবের আকাশ সীমা অতিক্রম করে ইরাকের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে। ইরাকে প্রবেশ করেই রেডারের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাত্র ৩০মিটার উচ্চতায় উড়ে মরুভুমির ওপর দিয়ে গোপনে ওসিরাক নিউক্লীয়ার রিয়েক্টার কমপ্লেক্স এর নিকটে এসে পৌছায়। এবার শুরু হয় আসল অপারেশন। প্রথমেই এফ-১৬ গুলো ১১০০কিমি/ঘন্টায় গতিবেগে ভুপৃষ্ট থেকে ১১০০মিটার উচ্চতায় পৌছে যায় এবার ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের মার্ক-৮৪ বোমা গুলো ৫সেকেন্ড অন্তর নিউক্লীয়ার কম্পেক্সের দিকে নিক্ষেপ করতে থাকে যার মধ্যে ২টি বোমা বাদে বাকী গুলো সঠিক জায়গায় লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়। বাকী ৬টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান কম উচ্চতায় থেকে এফ-১৬ গুলোকে সাপোর্ট দিতে থাকে। প্রাথমিক হামলার ধাক্কা কাটিয়ে ইরাকের সেনারা তাদের এন্টি এয়ার ডিফেন্স প্রয়োগ করতে শুরু করে কিন্তু পুরনো প্রযুক্তির এয়ার ডিফেন্স গুলো অতি দ্রুত রিএক্ট করতে ব্যর্থ হয় আর সেই সুয়োগে ইজ্রাইলের সবকয়টি যুদ্ধবিমান প্রায় ১২২০০মিটার উচ্চতায় পৌছে এয়ার ডিসেন্স গুলোর ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। #ফলাফল: . ইরাকের নিউক্লীয়ার রিয়েক্টর টি ধ্বংস করে ইজ্রাইলের যুদ্ধবিমান গুলো একই ফরমেশানে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আবার ইজ্রাইলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। এই হামলায় ইরাকের ১০জন সৈন্য ও ফ্রান্সের একজন ইঞ্জিনিয়ার মারা যায়। এই অপারেশন এর জন্য ইজ্রাইল আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হলেও ইরাকের পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটে।
#সুত্রপাত: . জন্মের লগ্ন থেকেই ইজ্রাইলের অস্তিত্ব মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি মেনে নেয় না ও বিভিন্ন ভাবে ইজ্রাইল ধ্বংস করার চেষ্টা করে কিন্তু ১৯৬৭সালে সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলি একযোগ হয়েও মিলিত প্রযাসের পরেও ইজ্রাইল শুধু নিজের অস্তিত্ব রক্ষাই করে না উপরুত্ত যুদ্ধে জয়লাভ করে আরব দেশ গুলোকে উপহার দেয় একরাশ লজ্জা। যা আরব দেশ গুলোর পক্ষে সহজে হজম করা ছিল প্রায় অসম্ভব। আরব জোটের শক্তিশালী রাষ্ট্র ইরাক বুঝতে পারে যে ইজ্রাইল কে জব্দ করার একমাত্র উপায় হলো নিজেকে পরমানুশক্তিধর রাষ্ট্র রুপে পরিনত হওয়া। তাই ১৯৭৬ সালে ইরাক ফ্রান্সের থেকে একটি শক্তিশালী নিউক্লীয়ার রিয়েক্ট কেনে ও সেটি কে তাদের রাজধানী বাগদাদ থেকে ১৭কিলোমিটার দূরে " ওশিরাক" অঞ্চলে স্থাপন করে। যদিও ইরাক এটি কে অসামরিক ও শান্তিপূর্ণ পরমানুর ব্যবহার বলে দাবী করলেও ইজ্রাইল অভিযোগ করতে থাকে যে ইরাক গোপনে নিউক্লীয়ার বোমা বানানোর উদ্দেশ্যে প্লুটোনিয়াম উৎপাদন শুরু করেছে। কিন্তু তলে তলে ইজ্রাইলের সব ধরনের কুটনৈতিক প্রযাস ব্যথ হলে তারা ইরাকের পরমানু প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক শক্তি প্রযোগের সীদ্ধান্ত নেয়। সেই অপারেশনের কোড নেম দেওয়া হয় " অপারেশন অপেরা।" #অপারেশন: . ১৯৮১ সালের ৭জুন এক দুপুরে ইজ্রাইল বায়ুসেনার থিজিওন এয়ারবেস থেকে ৮টি এফ-১৬এস ও ৬টি এফ-১৫এস যাদের প্রতিটিতে দুটি করে আনগ্রাইডেড মার্ক-৮৪ পাউন্ড ডিলে একশান বোম ও অতিরিক্ত জ্বালানী ট্যাঙ্ক লোড করে ইরাকের দিকে রওনা হয় এবং একটি নিদিষ্ট উচ্চতায় একই ফর্মেশনে উড়ে রেডার ফাকি দিকে প্রথমে জর্ডন ও তারপর সৌদি আরবের আকাশ সীমা অতিক্রম করে ইরাকের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে। ইরাকে প্রবেশ করেই রেডারের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাত্র ৩০মিটার উচ্চতায় উড়ে মরুভুমির ওপর দিয়ে গোপনে ওসিরাক নিউক্লীয়ার রিয়েক্টার কমপ্লেক্স এর নিকটে এসে পৌছায়। এবার শুরু হয় আসল অপারেশন। প্রথমেই এফ-১৬ গুলো ১১০০কিমি/ঘন্টায় গতিবেগে ভুপৃষ্ট থেকে ১১০০মিটার উচ্চতায় পৌছে যায় এবার ৮টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের মার্ক-৮৪ বোমা গুলো ৫সেকেন্ড অন্তর নিউক্লীয়ার কম্পেক্সের দিকে নিক্ষেপ করতে থাকে যার মধ্যে ২টি বোমা বাদে বাকী গুলো সঠিক জায়গায় লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়। বাকী ৬টি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান কম উচ্চতায় থেকে এফ-১৬ গুলোকে সাপোর্ট দিতে থাকে। প্রাথমিক হামলার ধাক্কা কাটিয়ে ইরাকের সেনারা তাদের এন্টি এয়ার ডিফেন্স প্রয়োগ করতে শুরু করে কিন্তু পুরনো প্রযুক্তির এয়ার ডিফেন্স গুলো অতি দ্রুত রিএক্ট করতে ব্যর্থ হয় আর সেই সুয়োগে ইজ্রাইলের সবকয়টি যুদ্ধবিমান প্রায় ১২২০০মিটার উচ্চতায় পৌছে এয়ার ডিসেন্স গুলোর ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। #ফলাফল: . ইরাকের নিউক্লীয়ার রিয়েক্টর টি ধ্বংস করে ইজ্রাইলের যুদ্ধবিমান গুলো একই ফরমেশানে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই আবার ইজ্রাইলে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। এই হামলায় ইরাকের ১০জন সৈন্য ও ফ্রান্সের একজন ইঞ্জিনিয়ার মারা যায়। এই অপারেশন এর জন্য ইজ্রাইল আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক ভাবে সমালোচিত হলেও ইরাকের পরমানু শক্তিধর রাষ্ট্র রুপে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটে।

No comments:
Post a Comment