২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরে চালানো মুম্বই হামলায় লস্কর-ই-তোইবা জড়িত এবং তাতে মদত ছিল পাকিস্তানের, এ কথা কার্যত স্বীকার করে নিল কমিউনিস্ট চিন৷ চিনা রাষ্ট্রীয় টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছে মুম্বই হামলার উপর একটি তথ্যচিত্র৷ আর সেখানেই এই হামলায় লস্কর জড়িত বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে এবং তার মদতদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে পাকিস্তানের কথাও৷
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জামাত-উদ-দাওয়াবা লস্করের তিন জঙ্গি হাফিজ আবদুল রহমান মাক্কি, তালহা সইদ এবং হাফিজ আবদুল রউফের ব্যাপারে বেজিংয়ের ইতিবাচক অবস্থান জানানোর চূড়ান্ত সময়সীমার দুদিন আগেই চিনা টিভিতে এই তথ্য সম্প্রচারিত হল৷ নিরাপত্তা পরিষদের অন্য স্থায়ী সদস্যরা প্রত্যেকেই এর আগে লস্কর-ই-তোইবা, জয়েশ-ই-মহম্মদের মতো কট্টরপন্থী মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পাকিস্তানকেও শনাক্ত করেছে৷২৬ নভেম্বরের মুম্বই হামলায় পাক যোগ নিয়েও তাদের কোনও মতদ্বৈধতা ছিল না৷ কিন্তু এ কথা এতদিন মানতে চায়নি কেবল চিন৷ এ ব্যাপারে তারা সর্বসম্মতিক্রমেনিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাশেরও বিরোধিতা করেছিল৷ আগামী ৯ তারিখ ছিল এ নিয়ে তাদের চূড়ান্ত মত জানানোর শেষ দিন৷ কিন্তু তার ৪৮ ঘণ্টা আগেই চিনা রাষ্ট্রীয় টিভির সম্প্রচার কার্যত স্বীকার করে নিল লস্কর-জয়েশের সন্ত্রাস এবং তাতে পাকিস্তানের মদতদানের কথা৷
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, তাজ হোটেল, ইহুদিদের ধর্মস্থান ও আবাসন সহ একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিল পাক মদতপুষ্ট আত্মঘাতী জঙ্গি অর্থাৎ ফিদায়েঁদের একটি দল৷ তাদের গুলিতে প্রাণ যায় মুম্বই পুলিশের সন্ত্রাসদমন স্কোয়াডের দুই বাঘা অফিসারেরও৷ দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে তবেই ২৯ নভেম্বর মুম্বইকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে সক্ষম হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা৷ ২৬ নভেম্বরের জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬৬ জনের, জখমের সংখ্যা ছিল শতাধিক৷

No comments:
Post a Comment