Friday, 1 July 2016

রাশিয়ার ছোট ছোট যুদ্ধ জাহাজের ধ্বংস ক্ষমতায় আমেরিকা হতভম্বঃ-

রাশিয়ার ছোট ছোট যুদ্ধ জাহাজের ধ্বংস ক্ষমতায় আমেরিকা হতভম্বঃ- উচ্চ প্রযুক্তির যুদ্ধাস্ত্রে আমেরিকার একচেটিয়া আধিপত্য নেই। একটি মিসাইলও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি।এদিকে, ওই হামলা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স। মিসাইলে পূর্ণ দাজেস্তান, গ্রাদ সিভিয়াজাস্ক, ইউগ্লিচ এবং ভেলিকাই উস্তাইয়ুগ নামের ছোট আকারের জাহাজ থেকে এ আক্রমণ চালানো হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দাজেস্তান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩২৮ ফুট এবং এতে ২ হাজার টন ওজন ধরতে পারে। অন্যগুলো ২৩০ ফুট করে লম্বা এবং ১ হাজার টন ওজন ধরে।মার্কিন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভূমির লক্ষ্যবস্তুতে ২৬টি এসএস-এন-২৭ অ্যান্টিশিপ মিসাইল ছোঁড়া হয়। এগুলো অনেকটা আমেরিকার টোমাহক ক্রুজ মিসাইলের মতোই। এরিক জানান, একই ধরনের মিসাইল ইউএস নেভির যে জাহাজগুলোতে থাকে, সে জাহাজগুলো ৯ হাজার টন ওজন ধরতে পারে। ইউএস-এর সবচেয়ে ছোট আকারে জাহাজগুলোও ডেস্ট্রয়ার সাইজের। এগুলো রাশিয়ার জাহাজগুলো থেকে ১০ গুণ বড়।কিন্তু রাশিয়ার এত ছোট আকারে জাহাজে যে পরিমাণ বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ রয়েছে তা বিশ্বাস করা যায় না,বলেন এরিক। এগুলো কাস্পিয়ান সাগরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে যথেষ্ট কার্যকর। মার্কিন রণতরীর আকার বড় হলেও ধ্বংস ক্ষমতার বিচারে এগুলো রাশিয়ার তরীগুলোর চেয়ে খুব বেশি শক্তিশালী নয়।এরিক এও বলেন, অবশ্য ক্রুজ মিসাইলের মতো স্পর্শকাতর ওউচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপনাস্ত্র এত ছোট জাহাজে থাকার ফলে এদের অন্যন্য সুবিধা কিছুটা কমে আসবে বটে। কারণ, যুদ্ধে বড় জাহাজে দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপনাস্ত্র রাখা সুবিধাজনক। তবে রাশিয়ার ছোট জাহাজ বেছে নেওয়ার কারণ হতে পারে, একে সিঙ্গেল-মিশন ভেসেলেপরিণত করা হয়েছে।এ বছরের প্রথমদিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া স্নায়ু যুদ্ধের সময়কার মিনি সাবমেরিন ফিরিয়ে আনছে। এতে পশ্চিমের বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই সাবমেরিনগুলোর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এরিকের ভাষায়, এগুলোকে কোনোভাবেই পানির নিচে খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব সাবমেরিনে ৩৯০ টন টর্পেডোসহ অন্যান্য গোলাবারুদ ধরে। এতে আরো অবস্থান করেন ৬ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেভির যোদ্ধা।আইএস-এর ওপর হামলার মাধ্যমে রাশিয়া তাদের অত্যাধুনিকযুদ্ধাস্ত্রের জানান দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

No comments: