হার্প ।। Haarp(পর্ব_০১) যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া গবেষণার প্রকল্প হার্প নিয়ে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা কেউ কেউ ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন ওই প্রকল্প থেকে যুক্তরাষ্ট্র এমন অস্ত্র তৈরি করেছে যা দিয়ে তারা আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর দ্বারা কৃত্রিমভাবে সুনামি ও ভূমিকম্প সৃষ্টিও সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়ক্যাটরিনা ঝড় আঘাত হানার পর প্রথম অভিযোগ ওঠে এটি ছিল হার্পের ভুল পরীক্ষার ফল। এরপর পাকিস্তানে বন্যা, হাইতিতে ভূমিকম্প এবং সাম্প্রতিক জাপান বিপর্যয়ের জন্যও দায়ী করা হচ্ছে হার্প প্রকল্পকে। অনেকেইবলে থাকে যে, হার্প একটি অগুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম। কিন্তু সমালোচকেরা এক্ষেত্রে হার্পের বাজেটকে পুঁজি করেন। তারা মনে করেন, ২৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিশ্চয়ই ছেলেখেলা করছে না। কি এই হার্প? কিভাবে তা কাজ করে?হার্পের পুরো নাম হলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম (High Frequency Active Auroral Research Program)। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর আর্থিক সহায়তায় আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা উন্নয়ন গবেষণা কর্মসূচী সংস্থা (ডিআরপিএ) হার্প গবেষণা চালাচ্ছে ১৯৯৩ সাল থেকে। এ কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে আয়নমলের সৌরবিদ্যুতের ওপর প্রভাব তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হার্প দিয়ে মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জানা যায়, এই প্রকল্প শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধের শুরু থেকে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে।হার্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়েই কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্বিপাক সৃষ্টির অস্ত্র তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হার্প নিয়ে রাশিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই অভিযোগ বেশি আসছে। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে হার্প নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
বিশ্বের সব সামরিক খবরাখবর পেতে এই পেইজে লাইক দিন। ধন্যবাদ। Our FB Page https://m.facebook.com/worldarmsnews https://m.facebook.com/TeamIDNB
Sunday, 3 July 2016
হার্প ।। Haarp(পর্ব_০১)
হার্প ।। Haarp(পর্ব_০১) যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া গবেষণার প্রকল্প হার্প নিয়ে পশ্চিমা বিজ্ঞানীরা কেউ কেউ ভীষণ উদ্বিগ্ন। তারা মনে করেন ওই প্রকল্প থেকে যুক্তরাষ্ট্র এমন অস্ত্র তৈরি করেছে যা দিয়ে তারা আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর দ্বারা কৃত্রিমভাবে সুনামি ও ভূমিকম্প সৃষ্টিও সম্ভব। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়ক্যাটরিনা ঝড় আঘাত হানার পর প্রথম অভিযোগ ওঠে এটি ছিল হার্পের ভুল পরীক্ষার ফল। এরপর পাকিস্তানে বন্যা, হাইতিতে ভূমিকম্প এবং সাম্প্রতিক জাপান বিপর্যয়ের জন্যও দায়ী করা হচ্ছে হার্প প্রকল্পকে। অনেকেইবলে থাকে যে, হার্প একটি অগুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম। কিন্তু সমালোচকেরা এক্ষেত্রে হার্পের বাজেটকে পুঁজি করেন। তারা মনে করেন, ২৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিশ্চয়ই ছেলেখেলা করছে না। কি এই হার্প? কিভাবে তা কাজ করে?হার্পের পুরো নাম হলো হাই ফ্রিকোয়েন্সি একটিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম (High Frequency Active Auroral Research Program)। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর আর্থিক সহায়তায় আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা উন্নয়ন গবেষণা কর্মসূচী সংস্থা (ডিআরপিএ) হার্প গবেষণা চালাচ্ছে ১৯৯৩ সাল থেকে। এ কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্য হলো আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে আয়নমলের সৌরবিদ্যুতের ওপর প্রভাব তৈরি করা। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হার্প দিয়ে মানব বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষার অভিযোগ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। জানা যায়, এই প্রকল্প শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধের শুরু থেকে। রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে এ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে।হার্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া উভয়েই কৃত্রিমভাবে প্রাকৃতিক দুর্বিপাক সৃষ্টির অস্ত্র তৈরি করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। হার্প নিয়ে রাশিয়ার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেই অভিযোগ বেশি আসছে। এর কারণ যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে হার্প নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)



No comments:
Post a Comment