দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার পেতে উঠেপড়ে লেগেছে চিন। এমনকী যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দিতে শুরু করেছে তারা। বুধবার এবিষয়ে আলোচনাও চেয়েছে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী লিউ ঝেংমিন জানিয়েছেন, কোনোরকম নাক গলাতে গেলেই যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের অধিকার নেই বলে জানিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেজিং। প্রায় এক ডজন দেশ চিনকে এই রায় মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয় বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টকে আবর্জনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফিলিপিন্স টাকা দিয়ে ওই রায়কে প্রভাবিত করেছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়ে দেয়, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের অর্থনৈতিক অধিকার দাবির কোনও ভিত্তি নেই। আইনতও নেই, ঐতিহাসিকভাবেও নেই। ১৯৪৭ সালের মানচিত্র সামনে রেখে ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা করে, ‘এই সামুদ্রিক অঞ্চলের যাবতীয় সম্পদের উপর চিন যে দখলদারি কায়েম করতে চায় তার কোনও আইনগত যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্সের মত দেশের দিক থেকে একটি বড় জয়। চিন ১৯৪৯ সাল থেকে নিজেদের অধিকারের কথা ঘোষণা করে চলেছে। আসলে এমনিতে এই দ্বীপগুলি প্রবাল দ্বীপ হলেও রণনৈতিক কারণে এগুলির উপর চিনের লোভ প্রবল। সেই সঙ্গে রয়েছে এখানকার সামুদ্রিক সম্পদের হাতছানি। সামুদ্রিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে মাছ, সমুদ্রগর্ভের খনিজ এবং তেলের ভাণ্ডার। আর এই নিয়েই চলছে লাগাতার টেনশন।
© kolkata24x7

No comments:
Post a Comment