বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনও প্রমাণ নেই৷
মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছিল৷ বুধবার জাতীয় মহাফেজখানা থেকে নেতাজির অন্তর্ধান সংক্রান্ত যে সকল ফাইল প্রকাশ করা হয়েছে, তা থেকে এমনই তথ্য উঠে এসেছে৷ তবে কি এতদিন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই ১৯৭৮ সালে মার্কিন গোয়েন্দাদের এই রিপোর্ট লুকিয়ে রাখা হয়েছিল?
সম্প্রতি প্রকাশিত ফাইল ঘেঁটে জানা গিয়েছে, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনার পর প্রথম তদন্ত করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহাল মার্কিন সেনাবাহিনী৷ তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি৷
এই তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার৷ ১৯৭৮ সালে তদন্ত রিপোর্টের কপি ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের হাতে তুলে দেয় আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট৷
১৯৭৮ সালে আমেরিকায় ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব এস সুন্দরম নেতাজি মৃত্যু তদন্ত সম্পর্কিত যাবতীয় নথি দিল্লির বিদেশমন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেন৷ ওই নথির সঙ্গে তিনি একটি নোটও পাঠান৷ যেখানে বলা হয়, এই রিপোর্ট থেকে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যুর ঘটনা প্রমাণিত হয় না৷
প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালের ৩ জুলাই আমেরিকার যুদ্ধমন্ত্রক (বর্তমানে পেন্টাগন) মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানায়, ‘গোয়েন্দা বিভাগে আমাদের ফাইল থেকে জানা গিয়েছে, জাপান সরকারের প্রচার সত্ত্বেও ফরমোসার তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুর সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এই ব্যক্তি তারপর বেঁচে ছিলেন কিনা, সেই সম্পর্কেও কোনও তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে নেই৷’নেতাজি মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে পরবর্তীকালে গঠিত হয় বিচারপতি মুখোপাধ্যায় কমিশন৷
সূত্র :কলকাতা 24 *7

No comments:
Post a Comment