Monday, 4 July 2016

অমরনাথ যাত্রাপথে হামলা চালাতে পারে ৩০০ পাক জঙ্গি

অমরনাথ যাত্রাপথে হামলা চালাতে পারে ৩০০ পাক জঙ্গি পবিত্র অমরনাথ যাত্রার পথে পুণ্যার্থীদের উপর হামলা চালাতে অন্তত ৩০০ জন লস্কর জঙ্গিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই৷ পাম্পোরে জওয়ানদের কনভয়ে হামলাকারী জঙ্গিদের রণনীতি ছিল, অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে পুণ্যার্থীদের বুকে ভয় ধরানো৷ জঙ্গিদের গোপন কথোপকথনে আড়ি পেতে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ অমরনাথ যাত্রাপথের একাধিক ‘লঞ্চিং প্যাডে’ ফিদায়েঁ জঙ্গিরা ওঁত পেতে থাকতে পারে বলে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাছে খবর রয়েছে৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এবছর লস্কর জঙ্গিদের কাছে সবচেয়ে বড় ও সফট টার্গেট হল অমরনাথ যাত্রীরা৷ এবছর অমরনাথে প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের পা পড়তে চলেছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, যাত্রা শুরুর প্রায় এক মাস আগে থেকে হামলার ছক কষা শুরু করে দেয় জঙ্গিরা৷ পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর হয়ে পহেলগাঁও, শ্রীনগরে ঢোকার চেষ্টা করে৷ অনন্তনাগ ও বারামুল্লা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার উল্টো দিকে বখরাগলিতে ছাউনি ফেলেছে পাক জঙ্গিরা৷ অল্প দূরেই রয়েছে জঙ্গিদের মূল বড় দলটি৷ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করছে তারা৷ জঙ্গিদের ঠেকানোর ‘ব্লু-প্রিন্ট’ ছকতে গত সপ্তাহে দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন সীমান্ত নজরদারির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকরা৷ সূত্রের খবর, জঙ্গিদের ২৫ জনের একটি দল এমটি-১৬৭৯ সেক্টর বা শারদি অঞ্চলে সজাগ রয়েছে৷ ৩০ জন লস্কর জঙ্গির আরেকটি দল নিকিয়াল ও সেনসায় উপস্থিত৷ পাক আইএসআই প্রশিক্ষণপুষ্ট সেনসা ক্যাম্পে জঙ্গিরা ‘হল্ট’ করে রয়েছে৷ জম্মু ও কাশ্মীরে গত এক মাসে এক ডজনেরও বেশিবার জঙ্গি হানার পিছনে আসল উদ্দেশ্য বিলক্ষণ জানেন গোয়েন্দারা৷ একদিকে সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে অন্য দিক দিয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ভূস্বর্গে ঢুকে পড়ার ফন্দি আঁটছে জঙ্গিরা! মিরপুর ও ভীমবার হয়ে রাজৌরি সেগমেন্টে ঢোকার চেষ্টা করছে জঙ্গিরা৷ কারণ, এই এলাকা শ্রীনগর-পহেলগাঁওকে জুড়েছে যে রাস্তা, তার খুব কাছে৷ অমরনাথ যাত্রা শুরু হয় এই পথ থেকেই৷ আর ঠিক এই কারণেই চূড়ান্ত সতর্ক থাকছেন জওয়ানরা৷ দুধকুলিয়ান জঙ্গল, লারোজাগির, খলিল, পাঞ্জু, লুরগামের মতো এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ এই সমস্ত এলাকাতেই পাক প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা৷

No comments: