Saturday, 23 July 2016

ব্রাহমোস এনজি হল ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র এর ও ব্রাহমোস ২ ক্ষেপণাস্ত্রের এর মধ্যের গ্যাপ পূরনকারি ক্ষেপণাস্ত্র।

ব্রাহমোস এনজি হল ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র এর ও ব্রাহমোস ২ ক্ষেপণাস্ত্রের এর মধ্যের গ্যাপ পূরনকারি ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্রে থাকা পুরানো প্রযুক্ত সরিয়ে নতুন প্রযুক্তি যোগ করা হবে। কিন্তু এর ফলে কিকি পরিবর্তন আসবে ব্রাহমোসে? আসুন দেখি ১- আগে ব্রাহমোস লম্বায় ছিল ৮.৪মিঃ। ব্রাহমোস এনজি এর দৈঘ্র্য হবে ৫মিঃ। ২- পুরাতন ভার্সানের ওজন ছিল ৩টন। বর্তমানে তা কমে ১৳৳৳৫টন হবে। অর্থাৎ ওজনে প্রায় অর্ধেক। ৩- আগে ব্রাহমোস এর গতী ছিল সর্বোচ্চ ম্যাক-৩ এখন তা বেড়ে হবে ম্যাক ৩.৫। ৪- থাকছে নতুন সফ্টওয়্যার গাইডেন্স সিস্টেমের জন্য। • এবার দেখেনি কেন ব্রাহমোস এনজি এত আকর্ষণ পাচ্ছে। ১- ব্রাহমোসের আগের ভর্সানের তুলনায় নতুন ভার্সানের ওজন ও দৈঘ্র্য অর্ধেক। অর্থাৎ পরিবহন ও স্টোরেজ এ সুবিধা। ২- গতী বৃদ্ধি পেয়ে হল শব্দের গতীর ৩.৫ গুন। অর্থাৎ একে আটকানো তো দূর একে প্রায় অধিকাংশ রেডার ট্রাক করার আগেই এ টার্গেট ধ্বংস করবে। ৩- ব্রাহমোস দেখে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নৌকর্তা জানিয়েছিল যে তাদের হাতে ব্রাহমোস আটকানোর কোনো এয়ারডিফেন্স নেই তাহলে এই নতুন ভার্সান কি হবে ভাবুন। ৪- ব্রাহমোস এনজি র RCS আগের ভার্সানের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। তাই একে ডিটেক্ট করা অনেক কঠিন। ৬- আগের চেয়ে অনেক বোশি ম্যনুয়েভারেবিলিটি থাকায় এটি অপ্রতিরোধ্য। ৭- ওজন ও দৈর্ঘ্য কম হওয়াতে এই ভার্সানকে নৌবাহিনীর মিগ ২৯কে তে ও বিমানবাহিনীর মিগ-২৯ইউপিজি তে ব্যবহার করা যাবে। ৮- আগে ভারতের সু-৩০এমকেআই যেখানে একটি ব্রাহমোস নিতে পারত নতুন ভার্সান এলে সেখানে তিনটি বহন করতে পারবে। ৯- ভারতের পি-৭৫আই টেন্ডারে যে ৬টি সাবমেরিন কেনা হবে তাতে ব্রাহমোস বসানো হবে। তার সাথে সাবমেরিনে থাকবে সালভো মুডে ব্রাহমোস উৎক্ষেপনের সুবিধা অর্থাৎ একসাথে সব ব্রাহমোস উৎক্ষেপণের সুবিধা। ১০- ব্রাহমোস এনজি সেনা, নৌ ও বিমান তিন বাহিনীই পাবে। ব্রাহমোস এনজি কে ব্রাহমোস মিনি বা ব্রাহমোস-এম নামেও ডাকা হয়।

No comments: