Friday, 1 July 2016

ইস্যু এন,এস,জি- এম,সি,টি,আরলাল চীনের তীব্র বাধায় আটকিয়ে গেল ভারতের এন,এস,জি তে ঢোকা- এটা আমরা সবাই জানি।

ইস্যু এন,এস,জি- এম,সি,টি,আর লাল চীনের তীব্র বাধায় আটকিয়ে গেল ভারতের এন,এস,জি তে ঢোকা- এটা আমরা সবাই জানি। আর এর কুফল হল পরমানু রপ্তানি তে ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া নীতি তে বড় ধাক্কা। কিন্তু আমি মনে করি ধাক্কা টা সাময়িক, কারন রাশিয়া ও আমেরিকা বা কানাডা এর সাথে ভারতের ডিপ্লোম্যাসি খুব ভাল থাকায় পারমানবিক কাজে ব্যাবহারের জন্য কাচামাল (ইউরেনিয়াম) ভারত পেয়েই যাই। বলা যেতেই পারে ভারত এন,এস,জি গ্রুপের সদস্য না হওয়া স্তবেও একটা সদস্য দেশের মতন সুবিধা ভোগ করে। বাধা শুধু মাত্র কাচামাল রপ্তানি তে। ভারত এম,সি,টি,আর এর ৩৫ তম সদস্য। কি এই এম,সি,টি,আর? তা আমরা সবাই কম বেশি জানি। এই গ্রুপের সদস্য হওয়ায় ভারতের লাভ? ভারত যে কোনো দেশ থেকে এবার যেকোনও পাল্লার ড্রোন বা মিসাইল কিনতে পারবে কোনো বাধা ছাড়াই। সেই সংগে নিজের মিসাইল গুলির রেঞ্জ আরো বারাতে পারবে। এতদিন ভারত অগ্নি বা shaurya এর রেঞ্জ অনেক কম বলতো সেটা লালচীনের অনেক দিনের অভিযোগ। এবার আসি চীনের কথায়, ভারত বরাবরই ভিন্ন বিদেশ নীতি নিয়ে চলে, একথা চীন রাশিয়া বা আমেরিকা সবাই খুব ভাল ভাবেই জানে। রাশিয়া তো এবার বলেই ফেল্ল যে ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তার বিদেশ নীতি ভিন্ন যা রাশিয়া মেনে চলে বা এমন অনেক কথা আছে যা ভারত-রাশিয়া ছাড়া অন্য কেউ জানে না। আমি মনে করি- এন,এস,জি ইস্যু তে ভারতের চেয়ে চীন বেশি হারিয়েছে কারন- ইউ,এন এর সদস্য সুপার পাওয়ার চিনের পাশে একমাত্র পাকিস্তান ও তুরস্ক ছাড়া আর কেউ নেই। যদিও তুরস্ক কে পেন্টাগন এর একটা ফোন আর সব সসমীকরণ বদলানো টা সময়ের অপেক্ষা। সুতরাং চীনের ভাবমূর্তি অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। এবার আশি ডিপ্লোম্যাসি তে ভারত-চীনের মধ্যে রেশারেশি ৬০ এর দশক থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু সেটা ছিল ঠাণ্ডা আবহে। দুই দেশের মধ্যে ব্যাবসায়িক রিলেশান অনেক ভাল। ডিপ্লোম্যাসি ইস্যু তে ভারতের চীনের পাশে দাঁড়ানো। চীন সাগর নিয়ে ভারতের চীনের পাশে দাঁড়ানো নানা রকম। কিন্তু চেহারা বদলায় হাফিজ সঈদ ইস্যু তে চীনের অবস্থান নিয়ে আর চরম মাত্রা পায় চীনের এন,এস,জি ইস্যুতে ভারতের সব রকম চেষ্টা কে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে পাকি প্রেম এ পড়ে যাওয়া। সুত্রের খবর- চীন নিয়ে দিল্লীর সাউথ ব্লকে গোপন মিটিং হয়েছে আর তাতে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে আশা করাই যায়। আমি খুব বেশি অবাক হবনা যদি দেখি চীনা সাগরে আমেরিকা, জাপান, ফিলিপিন্স এর যুদ্ধ জাহাজের সাথে INS VIKRAMADITYA INS KOLKATA INS ARIHANT INS SHEYARDI- MARCOS দের এক সাথে। তবে চীন নিজের অবস্থান পাল্টাচ্ছে, এন,এস,জি তে দায়িত্ব প্রাপ্ত চীনা অফিসার ওয়াং কুন কে বেজিং এর তরফ থেকে ধমক ও নাকি দেওয়া হয়েছে। এতে লাভ টা কার হল? যাতে ভারত আর আমেরিকা আরো কাছে চলে আসলো।

No comments: