আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পিছু হটল চিন. অবশেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পরে পিছু হটতে বাধ্য হল চিন। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে নিজেদের অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিল বেজিং। দক্ষিণ চিন সাগরের বিতর্কিত অংশ নিজেদের বলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল লাল চিন। এই নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে চিনের বিরোধ লেগেই ছিল।
২০১৩ সালে ফিলিপাইন্স আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল চিনের বিরুদ্ধে রায় শোনায়। সেই রায়ে বলা হয়েছিল, দক্ষিণ চিন সাগরের উপরে একা কর্তৃত্ব করার কোনও অধিকার চিনের নেই। যদিও চিন এই মামলায় অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করে। বেজিং-এর যুক্তি ছিল, এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের নেই। আইনের নির্দেশ প্রথমে চিন না মানলেও পরে কিছুটা অবস্থান থেকে সরে আসে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের বিরুদ্ধে গলা ফাটালে আমেরিকাকেও কড়া হুঁশিয়ারি দেয় বেজিং। নিজেদের স্বার্থে আমেরিকা দক্ষিণ চিন সাগরের বিষয়ে নাক গলালে ফল মারাত্মক হবে বলে জানায় চিনা সরকার। এদিনের রায়ের পরে চিন জানিয়েছে, এই রায় তারা মানবে না। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের এই মামলার রায় দেওয়ার অধিকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল বেজিং। এয়ারবাস ডিফেন্স এবং বিভিন্ন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে যে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের এইচকিউ-৯ মিসাইল উধাও। হং কং-এর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর ব্যাবসায়িক দিক থেকেও ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। সেখানে বেজিং-এর ক্ষমতা খর্ব হওয়ায় স্বভাবতই খুশি দিল্লি।© kolkata24x7
বিশ্বের সব সামরিক খবরাখবর পেতে এই পেইজে লাইক দিন। ধন্যবাদ। Our FB Page https://m.facebook.com/worldarmsnews https://m.facebook.com/TeamIDNB
Sunday, 24 July 2016
Saturday, 23 July 2016
Amur Class Submarine
★★★ Amur Class Submarine ★★★
. Project 950 or 1650 Amur Class হচ্ছে রাশান নুতুন Lada Class এর এক্সপোর্ট ভার্সন যা মূলত Kilo Class এর ইম্প্রুভ মর্ডানাইজড স্টিলথ ভার্সন। লাডা ক্লাস এর এক্সপোর্ট ভার্সন বলা হলেও এটি লাডা ক্লাস এর তুলনায় প্রায় অর্ধেকঅর্থাৎ আকারে ছোট ও তুলনামূলক কম ক্ষমতা সম্পন্ন। ডিজেল ইলেক্ট্রিক ৪র্থ প্রজন্মের এই স্টিলথ আমুর ক্লাস কে একুউস্টিক স্টিলথ, নুতুন ওয়েপন্স সিস্টেমস ও এয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রপুলশান বা AIP এর মত অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ করে ডিজাইন করা হয়েছে। . এই আমুর ক্লাস এর দুইটি ভার্সন রয়েছে যার ভেতর আমুর-১৬৫০ হচ্ছে আকারে বৃহৎ ও বড় ধরনের মিশনের জন্য ডিজাইন করা এবং আমুর-৯৫০ হচ্ছে তুলনামূলক একটু ছোট, উভয় ক্লাস সাবমেরিন ই VLS মিসাইল সিস্টেম সমৃদ্ধ যা ভিন্নভিন্ন টারগেটে হিট করতে সক্ষম। এছাড়াও যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এতে রাখা হবে লেটেস্ট ইলেক্ট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ইকুইপমেন্ট। আমুর ক্লাস এর সোনার সিগ্নেচার পুড়নো কিলো ক্লাস এর সাব গুলোর তুলনায় কয়েক গুন কম এবং আকারে ছোট হবার ফলে একে ডিটেক্ট করা অত্যন্ত কঠিন। এছাড়া AIP সিস্টেমস থাকার ফলে আমুর ক্লাস অন্য ডিজেল ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন এর তুলনায় অধিক বেশি সময় পানির গভীরে থাকতে সক্ষম। . ♦♦♦আমুর ক্লাস এর সার্ফেসড ডিসপ্লেসমেন্ট হবে ৯৭০ টন, দৈর্ঘ্য ৫৮.৮ মিটার, বীম-৫.৬৫ মিটার এবং এর টেস্ট ডেপথ ২৫০ মিটার। এর গতিবেগ ২০ নট এবং এর রেঞ্জ ৫৬০০ কিঃমিঃ, AIP সিস্টেম ব্যবহার করে সাবমার্জড অবস্থায় ৫৬০ কিঃমিঃ পাড়ি দিতে সক্ষম এই সাব। আমুর ক্লাস একবার রসদ নিয়ে সাগরে ৪৫ দিন মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম। অস্ত্রসম্ভারে রয়েছে ৪ টি ৫৩৩ মি.মি. টর্পেডো টিউব এর জন্য ১৬ টি টর্পেডো এবং ১০ টি VLSs System,, এই সেল গুলোতে থাকবে সাবমেরিন লাঞ্চড এন্টিশীপ-মিসাইলও ক্রুস মিসাইলস [পি-৮০০ ওনিক্স বা ব্রাম্মস এর সাবমেরিন লাঞ্চড ভার্সন]। . . মূলত চীন ও ভারত কে টার্গেট করে এর ডিজাই করা হলেও উভয় রাষ্ট্র এই সাবমেরিন ক্রয় করেনাই। ধারনা করা হয় আকারে ছোট এবং সাগরের কম গভীরতায় যেতে সক্ষম হবার ফলে রাশিয়া এই সাবমেরিনের এক্সপোর্ট কাস্টমার পাচ্ছে না। তবে আশার কথা এই যে সম্প্রতি রয়েল মরক্কো নৌবাহিনীর জন্য আমুর ক্লাস এর সাবমেরিন ক্রয়ের আলোচনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও মরক্কোর ভেতর। . # Price:- Only $500+- Million Dollar
. Project 950 or 1650 Amur Class হচ্ছে রাশান নুতুন Lada Class এর এক্সপোর্ট ভার্সন যা মূলত Kilo Class এর ইম্প্রুভ মর্ডানাইজড স্টিলথ ভার্সন। লাডা ক্লাস এর এক্সপোর্ট ভার্সন বলা হলেও এটি লাডা ক্লাস এর তুলনায় প্রায় অর্ধেকঅর্থাৎ আকারে ছোট ও তুলনামূলক কম ক্ষমতা সম্পন্ন। ডিজেল ইলেক্ট্রিক ৪র্থ প্রজন্মের এই স্টিলথ আমুর ক্লাস কে একুউস্টিক স্টিলথ, নুতুন ওয়েপন্স সিস্টেমস ও এয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট প্রপুলশান বা AIP এর মত অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ করে ডিজাইন করা হয়েছে। . এই আমুর ক্লাস এর দুইটি ভার্সন রয়েছে যার ভেতর আমুর-১৬৫০ হচ্ছে আকারে বৃহৎ ও বড় ধরনের মিশনের জন্য ডিজাইন করা এবং আমুর-৯৫০ হচ্ছে তুলনামূলক একটু ছোট, উভয় ক্লাস সাবমেরিন ই VLS মিসাইল সিস্টেম সমৃদ্ধ যা ভিন্নভিন্ন টারগেটে হিট করতে সক্ষম। এছাড়াও যুগের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে এতে রাখা হবে লেটেস্ট ইলেক্ট্রনিক ওয়্যারফেয়ার ইকুইপমেন্ট। আমুর ক্লাস এর সোনার সিগ্নেচার পুড়নো কিলো ক্লাস এর সাব গুলোর তুলনায় কয়েক গুন কম এবং আকারে ছোট হবার ফলে একে ডিটেক্ট করা অত্যন্ত কঠিন। এছাড়া AIP সিস্টেমস থাকার ফলে আমুর ক্লাস অন্য ডিজেল ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন এর তুলনায় অধিক বেশি সময় পানির গভীরে থাকতে সক্ষম। . ♦♦♦আমুর ক্লাস এর সার্ফেসড ডিসপ্লেসমেন্ট হবে ৯৭০ টন, দৈর্ঘ্য ৫৮.৮ মিটার, বীম-৫.৬৫ মিটার এবং এর টেস্ট ডেপথ ২৫০ মিটার। এর গতিবেগ ২০ নট এবং এর রেঞ্জ ৫৬০০ কিঃমিঃ, AIP সিস্টেম ব্যবহার করে সাবমার্জড অবস্থায় ৫৬০ কিঃমিঃ পাড়ি দিতে সক্ষম এই সাব। আমুর ক্লাস একবার রসদ নিয়ে সাগরে ৪৫ দিন মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম। অস্ত্রসম্ভারে রয়েছে ৪ টি ৫৩৩ মি.মি. টর্পেডো টিউব এর জন্য ১৬ টি টর্পেডো এবং ১০ টি VLSs System,, এই সেল গুলোতে থাকবে সাবমেরিন লাঞ্চড এন্টিশীপ-মিসাইলও ক্রুস মিসাইলস [পি-৮০০ ওনিক্স বা ব্রাম্মস এর সাবমেরিন লাঞ্চড ভার্সন]। . . মূলত চীন ও ভারত কে টার্গেট করে এর ডিজাই করা হলেও উভয় রাষ্ট্র এই সাবমেরিন ক্রয় করেনাই। ধারনা করা হয় আকারে ছোট এবং সাগরের কম গভীরতায় যেতে সক্ষম হবার ফলে রাশিয়া এই সাবমেরিনের এক্সপোর্ট কাস্টমার পাচ্ছে না। তবে আশার কথা এই যে সম্প্রতি রয়েল মরক্কো নৌবাহিনীর জন্য আমুর ক্লাস এর সাবমেরিন ক্রয়ের আলোচনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও মরক্কোর ভেতর। . # Price:- Only $500+- Million Dollar
ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল
বর্তমান সময়ে সাধারণত কোন দেশের সামরিক ক্ষেত্রে পরাশক্তি হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল থাকা। কোন দেশের যতই শক্তিশালী সামরিক বাহিনী থাকুক না কেন সেই দেশের যদি ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল না থাকে তবে তাকে কখনই পরাশক্তির কাতারে ধরা হয় না। সে হিসেবে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম সামরিক শক্তিধর দেশ জাপানকে বর্তমানে কোন ভাবেই পরাশক্তির কাতারে ফেলা যায় না কারণ তাদের নিউক্লিয়ার ওয়রহেড কিংবা আইসিবিএম কোনটাই নেই। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে জাপানের এদুটি না থাকলেও তারা কিন্তু এসব থাকা কোন দেশের থেকেই পিছিয়ে নেই। জাপানের হাতে আইসিবিএম কিংবা নিউক্লিয়ার ওয়রহেড তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বহু আগে থেকেই মজুদ রয়েছে। আর মহাশূন্যে প্রেরণের জন্য রকেট তৈরী করে তারা বাস্তব অভিজ্ঞতাও অর্জন করেছে। এখন অনেকেই বলতে পারেন উপগ্রহ প্রেরণের রকেট আর আইসিবিএম এ পার্থক্য আছে, কথাটি সত্যি হলেও জেনে রাখা ভালো পৃথিবীর প্রথম মহাকাশে গমনকারী, উপগ্রহ ও মানুষ বহনকারী যানগুলো কিন্তু ব্যালেস্টিক মিসাইলই ছিল.....
নিষেধাজ্ঞা জারি প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকায়
নিষেধাজ্ঞা জারি প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকায়
প্লাস্টিকের জাতীয় পতাকা তৈরি ও বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেরল সরকার৷ রাজ্যে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতেই নেওয়া হল এই পদক্ষেপ৷
নানা সভা সমাবেশ থেকে শুরু করে গাড়িতে অনেকেই প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা রাখেন৷ ব্যাপক হারে এই ধরনের পতাকা বিক্রি হয় রাস্তার মোড়ে মোড়ে৷ বিশেষত স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এই ধরনের পতাকার বিক্রি হয় আকাশছোঁয়া৷ কিন্তু এবার তা প্রতিরোধে উদ্যোগী হল কেরল প্রশাসন৷ নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা উল, সুতো, খাদি ও সিল্কের তৈরি হতে পারে৷ তবে দীর্ঘদিন এ নিয়মের তোয়াক্কা না করেই প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতীয় পতাকা৷ যখন প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন রাজ্যে নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তখন, জাতীয় পতাকার ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার যে মোটেও বাঞ্ছনীয় নয় এমনটাই মনে করছে সে রাজ্যের প্রশাসন৷ এই মর্মে সমস্ত সরকারি দফতরে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷
স্থানীয় ক্লাব বা সংস্থাগুলিও ইতিমধ্যে ‘গ্রিন প্রোটোকল’ মানতে শুরু করছে৷ প্লাস্টিকের তৈরি পতাকার বদলে কাপড়ের পতাকা ব্যবহার শুরু করেছে৷ প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে এবার প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসের উপর ২০ শতাংশ করও ধার্য করেছে কেরল প্রশাসন৷ ফাস্ট ফুডের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে ও ছোটদের মধ্যে ওবেসিটি আটকাতে জাঙ্ক ফুডেও ‘মেদ কর’ কায়েম করা হয়েছিল৷ প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসে কর বসিয়ে কেরলের চলতি বাজেটে আরও এক দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হল৷
S-400 killer missile..
S-400 killer missile...
HARM,JSOW & MALD হল তিনটা ভিন্ন ধরনের মিসাইল।এই তিনটি মিসাইল একইসাথে পুরো একটা সিস্টেম হিসেবে কাজ করে।MALD হল লো কস্ট মাডিউলার সিস্টেম । এর রেঞ্জ হল 575 ন্যটিকাল মাইল এই মিসাইল 300 ন্যটিকাল মাইল এলাকায় রাডার জ্যামিং করতে সক্ষম।MALD যেকোন সাধারণ এয়ারক্রাফট, বোম্বার এবং ফাইটার থেকে নিক্ষেপ করা যায়।এর জন্য কোন বিশেষায়িত লঞ্চিং ফ্লাটফর্ম এর দরকার পড়ে না।
Jsow হল মডিউলার কমব্যাট প্রুভেন ওয়েপন।এটা দিন -রাত উভয় সময়ে কাজ করতে পারে।এতে আছে ইনট্রিগ্রেটেড GPS/INS হোমিং সিস্টেম।60 ন্যটিকাল মাইল রেঞ্জ।এর হিট সিগ্নেচার খুব কম।
JSOE-C তে আছে আইআইআর সিকার।
JSOW-C1 এর আছে মুভিং মেরিটাইম টার্গেট ক্যাপাবিলিটি এটাই হচ্ছে বিশ্বের প্রথম নেটওয়ার্ক এনাবল ওয়েপন।
JSOE-ER হল লং রেঞ্জ স্টাইকের জন্য।
HARM হচ্ছে কমব্যাট প্রুভেন।ইরাক যুদ্ধে এর ব্যাবহার হয়েছে।এতে আছে এন্টি রেডিয়েশিন হোমিং সিস্টেম।এর আছে ৮০ ন্যাটিকাল মাইলের মধ্যে রিয়েল টাইম টার্গেটিং ক্যাপাবিলিটি। এটি ল্যান্ড এবং মেরিটাইম টার্গট উভয়ের বিপক্ষে কার্যকর। এতে আছে HCSM।যার ফলে HARM সুপারসনিক গতিতে নির্ভূল ভাবে হামলা করতে সক্ষম।।
এবার দেখা যাক মিসাইল গুলো কিভাবে কাজ করবে...
AWACS দিয়ে দূর থেকে ইনিমি ডিফেন্স সিস্টেমে উপর নজর রাখা হবে।। পাশাপাশি বিভিন্ন বোম্বার এবং ফাইটার এয়ারক্রাফট থাকবে। satellite থেকে পর্যবেক্ষনের পর ডাটা AWACS এ পাঠানো হবে।সেখান থেকে তা যেকোন একটি এয়ার ক্রাফট এ যাবে। এয়ারক্রাফট প্রথমে MALD লঞ্চ করবে। সকল এয়ারক্রাফট এর মধ্যে ক্রস লিংক করা থাকে। MALD হচ্ছে আসল তুরুপের তাস।MALD যখন ইনিমি রাডার জ্যাম করে সামনে এগোতে থাকবে তখন তার পিছনে থাকবে Fighter & Bomber। পিছনে বলা হলেও তা বেশ অনেকটা পিছনে।ইনিমি মিসাইল ডিফেন্স সাড়া দিতে চাইলে তারা রাডারে বিভ্রান্তিকর তথ্য পাবে।
ফলে তারা SAM সিস্টেম থেকে মিসাইল লঞ্চ করতে পারবে না।তারপরও যদি করে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ৯৯%।
MALD এর পরেই লঞ্চ করা হবে JSOW. JSOW বিভিন্ন টার্গেটে আঘাত করবে যেমন:শত্রুর প্রতিরক্ষা স্থাপনা, জাহাজ যানবাহন ইত্যাদি।
আর HARM সুপারসনিক স্পিডে এয়ার ডিফেন্স রাডার গুলোকে ধ্বংস করবে।।একবার এই তিন মিসাইল তাণ্ডব চালানোর পর পিছনে থাকা এয়ারক্রাফট গুলো এগিয়ে আসবে।এখন তাদের জন্য সেখানে এয়ার স্টাইক করা সহজ হবে।
তারপর কিছুদূর গিয়ে একই প্রক্রিয়ায় মিসাইল গুলো আবার নিক্ষেপ করা হবে।
এভাবে পুরো বহরটি সামনে এগোতে থাকবে।বাকিটা ইতিহাস.
এছাড়া আমেরিকান স্টিলথ UAV Predator C এবং mq-9 reaper আছে।যেগুলো সহজে শত্রু শিবিরের কাছে গিয়ে HARM মিসাইল লঞ্চ করতে করতে সক্ষম।।
Exocet মিসাইল।
১৯৮২সালে আর্জেন্টিনা দক্ষিন আর্টলান্টিক মহাসাগরের ব্রিটিশ অধিকৃত দ্বীপ ফাকল্যান্ড অধিকার করে নেয় তখন ব্রিটিশ সরকার তাদের নৌবহর কে আর্জেন্টিনার সাথে যুদ্ধ করতে পাঠায়। ব্রিটিশ নৌবহরের শক্তিশালী ড্রেস্টায়ার HMS Sheffield এর মুখোমুখি যুদ্ধ শুরু হয় আর্জেন্টিনা নেভির একটি যুদ্ধবিমানের সাথে। যুদ্ধবিমান টি ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার লক্ষ্য করে ছুড়ে দেয় একটি এয়ার লঞ্চ এন্টি শিফ মিসাইল। নিদিষ্ট লক্ষ্যে মিসাইল টির আঘাত হানার কিছুক্ষনের মধ্যেই সলিলসমাধি ঘটে ব্রিটিশ দের গর্বের ড্রেস্টয়ার টির। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে দেয় এই ঘটনা। বারে বারে সংবাদ মাধ্যমের শিরনামে উঠে আসতে থাকে একটাই নাম। "Exocet এন্টি শিফ মিসাইল।"
তবে এই মিসাইলের কেরামতি এইখানেই শেষ হয় না। ১৯৮৭সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে একটি ইরাকি মিরাজ এফ-১ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া এই মিসাইলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্ত হয় মার্কিন নেভী ফ্রিগেট USS Stark। ফলস্বরুপ, ৩৭জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয় ও ২১জন আহত হয়।বিশ্বের একটি অন্যতম এন্টি শিফ মিসাইল হয়ে ওঠে Exocet মিসাইল।
.
Exocet কথাটি একটি ফরাসি শব্দ যার অর্থ হলো উড়ন্ত মাছ। ১৯৬৭সালে ফ্রান্সের নোডা কোম্পানি এই মিসাইল টিকে প্রস্তুত করে ও ১৯৭৯ সালে এটি সার্ভিসে আছে। ৬৭০ কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইল টির লেন্থ ৪.৭মিটার ও এটি ১৬৫কিলোগ্রাম বিস্ফারণ বহন করতে সক্ষম। এই মিসাইল টিতে ইঞ্জিন হিসাবে সলিড ফুয়েট রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে ফলে এর সর্বোচ্চ গতি হলো ০.৯৩ ম্যাক বা ১১৩৪কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। এই মিসাইলের রেঞ্জ হলো যথাক্রমে ৪২কিমি থেকে ১৮০কিমি পর্যন্ত। এই মিসাইল টিকে ইন্টারটাইল নেভিগেশান গাইডেড সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে এবং টার্গেটের ১২থেকে ১৫ কিলোমিটার মধ্যে চলে আসার পর এটির এক্টিভ রেডার গাইডেড সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যায়। তবে এই মিসাইলের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটির লো ফ্লাইট এল্টিটিউড ফলে লক্ষ্যবস্তুর ৬০০০মিটার দুরত্বের আগে পর্যন্ত এটি কোনভাবেই শত্রুর রেডারে ধরা পড়ে না। কিন্তু এটির ওয়ারহেড বহনের ক্ষমতা কম হওয়ায় প্রধানত ছোট যুদ্ধজাহাজ যেমন, ফ্রিগেট, করভিট এর জন্য এটি দারুন কার্যকর। এই মিসাইল টির বিভিন্ন ভার্সান বর্তমানে সার্ভিসে আছে। যথা :
.
১. MM38 - এটি এই মিসাইলের সার্ফেস লঞ্চ ভার্সান। এটির রেঞ্জ ৪২কিমি।
.
২. AM38 - এটি এয়ারলঞ্চ ভার্সান।প্রধানতএ্যাটাক হেলিকাপ্টার থেকে ব্যবহারের জন্য বানানো।
.
৩.AM38 - যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপের জন্য এটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এই ভার্সানের রেঞ্জ ৫০থেকে ৭০কিমি।
.
৪.SM39 - সাবমেরিন লঞ্চ ভার্সান এটি। সাবমেরিনের টর্পেডো টিউব থেকে নিক্ষেপ করা যায়।ওয়ারটাইট ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয় এতে। জলের ওপরে উঠে এটির ক্যাপসুল মিসাইল থেকে আলাদা হয়ে যায় ও ইঞ্জিন চালু হয়ে যায়।
.
৫.MM40 - এটির তিনটি ভার্সান আছে। প্রধানত যুদ্ধজাহাজ ও ভুমি থেকে নিক্ষেপ যোগ্য মিসাইল।এর ব্লক-৩ ভার্সান টি ২০০৮ সালে সার্ভিসে আসে এতে টার্বোজেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে যার রেঞ্জ ১৮০কিমি।
.
বতর্মানে এই মিসাইলের প্রস্তুতকর্তা সংস্থা MBDA ফ্রান্স ছাড়াও বিভিন্ন দেশের জন্য ৪০০০টিরও অধিক এই মিসাইল বানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে কেনা ভারতের স্করপিয়ন ক্লাস সাবমেরিন গুলির প্রধান অস্ত্র হলো এইExocet মিসাইল।
ভারতীয় নৌবাহিনী করা জবাব চীনকে
ভারতীয় নৌবাহিনী করা জবাব চীনকে। জানিয়েছে তারা দঃ চীন সাগর বলে কিছু জানে না। সেটা দঃ ফিলিপিন্স সাগর বলে অভিহিত করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর ইস্টার্ন নেভাল ফ্লিটের প্রধান এডমিরাল এসভি ভোকরে জানিয়েছেন ভারত সেই সমস্ত দেশ কে সহায়তা দেবে যারা বিপদে আছে। একই ভাবে কোনো দেশ যদি ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে সামরিক হস্তক্ষেপ বা সহায়তা চায় সেক্ষেত্রেও ভারতীয় নৌবাহিনী সহায়তা দেবে বলে এবার অফিসিয়ালি জানিয়ে দিল ভারত।
দঃ ফিলিপিন্স সাগরে ভারতীয় নৌবাহিনী র যুদ্ধ জাহাজ এর টহল দেওয়া নিয়ে তিনি স্পষ্ট জানান যখন কোনো ভারতীয় নৌজাহাজ সমুদ্রে টহল দেয় তখন তা নিজেকে রক্ষা ও অপরকে আক্রমন করতে সক্ষম। আশাকরি চীন তার কথা বুঝতে সক্ষম হয়েছে। এখন সময় এসেছে চীনের সমরিক অগ্রাসন নিয়ে বিশ্বকে ঐক্য বদ্ধ করার।
ব্রাহমোস এনজি হল ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র এর ও ব্রাহমোস ২ ক্ষেপণাস্ত্রের এর মধ্যের গ্যাপ পূরনকারি ক্ষেপণাস্ত্র।
ব্রাহমোস এনজি হল ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র এর ও ব্রাহমোস ২ ক্ষেপণাস্ত্রের এর মধ্যের গ্যাপ পূরনকারি ক্ষেপণাস্ত্র। ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্রে থাকা পুরানো প্রযুক্ত সরিয়ে নতুন প্রযুক্তি যোগ করা হবে। কিন্তু এর ফলে কিকি পরিবর্তন আসবে ব্রাহমোসে? আসুন দেখি
১- আগে ব্রাহমোস লম্বায় ছিল ৮.৪মিঃ। ব্রাহমোস এনজি এর দৈঘ্র্য হবে ৫মিঃ।
২- পুরাতন ভার্সানের ওজন ছিল ৩টন। বর্তমানে তা কমে ১৳৳৳৫টন হবে। অর্থাৎ ওজনে প্রায় অর্ধেক।
৩- আগে ব্রাহমোস এর গতী ছিল সর্বোচ্চ ম্যাক-৩ এখন তা বেড়ে হবে ম্যাক ৩.৫।
৪- থাকছে নতুন সফ্টওয়্যার গাইডেন্স সিস্টেমের জন্য।
• এবার দেখেনি কেন ব্রাহমোস এনজি এত আকর্ষণ পাচ্ছে।
১- ব্রাহমোসের আগের ভর্সানের তুলনায় নতুন ভার্সানের ওজন ও দৈঘ্র্য অর্ধেক। অর্থাৎ পরিবহন ও স্টোরেজ এ সুবিধা।
২- গতী বৃদ্ধি পেয়ে হল শব্দের গতীর ৩.৫ গুন। অর্থাৎ একে আটকানো তো দূর একে প্রায় অধিকাংশ রেডার ট্রাক করার আগেই এ টার্গেট ধ্বংস করবে।
৩- ব্রাহমোস দেখে ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নৌকর্তা জানিয়েছিল যে তাদের হাতে ব্রাহমোস আটকানোর কোনো এয়ারডিফেন্স নেই তাহলে এই নতুন ভার্সান কি হবে ভাবুন।
৪- ব্রাহমোস এনজি র RCS আগের ভার্সানের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। তাই একে ডিটেক্ট করা অনেক কঠিন।
৬- আগের চেয়ে অনেক বোশি ম্যনুয়েভারেবিলিটি থাকায় এটি অপ্রতিরোধ্য।
৭- ওজন ও দৈর্ঘ্য কম হওয়াতে এই ভার্সানকে নৌবাহিনীর মিগ ২৯কে তে ও বিমানবাহিনীর মিগ-২৯ইউপিজি তে ব্যবহার করা যাবে।
৮- আগে ভারতের সু-৩০এমকেআই যেখানে একটি ব্রাহমোস নিতে পারত নতুন ভার্সান এলে সেখানে তিনটি বহন করতে পারবে।
৯- ভারতের পি-৭৫আই টেন্ডারে যে ৬টি সাবমেরিন কেনা হবে তাতে ব্রাহমোস বসানো হবে। তার সাথে সাবমেরিনে থাকবে সালভো মুডে ব্রাহমোস উৎক্ষেপনের সুবিধা অর্থাৎ একসাথে সব ব্রাহমোস উৎক্ষেপণের সুবিধা।
১০- ব্রাহমোস এনজি সেনা, নৌ ও বিমান তিন বাহিনীই পাবে।
ব্রাহমোস এনজি কে ব্রাহমোস মিনি বা ব্রাহমোস-এম নামেও ডাকা হয়।
বৃষ্টি নামাবে লেজার রশ্মি
বৃষ্টি নামাবে লেজার রশ্মি
২য় পর্ব
বিজ্ঞানীরা জোরালোভাবে মনে করছেন, লেজারের মাধ্যমে মেঘ থেকে বৃষ্টি ও বজ্রপাত ঘটানো সম্ভব হবে। সেন্ট্রাল ফোরিডা কলেজ অব অপটিকস অ্যান্ড ফটোনিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনার বিজ্ঞানীরা উচ্চশক্তির লেজার রশ্মিকে কোনো মেঘের মধ্যে নিপে করে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত ঘটানোর ল্েয প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে কাজ করছেন। কোনো একটি লেজার রশ্মিকে দ্বিতীয় একটি রশ্মি দিয়ে ঘিরে রেখে শক্তির আধার (এনার্জি রিজারভার) হিসেবে কাজ করিয়ে মাঝের লেজার রশ্মিকে আগের চেয়ে আরো অধিক দূরত্বে নিপে করা সম্ভব হবে। সেকেন্ডারি রশ্মি প্রাথমিক রশ্মিকে রিফুয়েল করবে এবং অধিক তীব্রতায় নির্গত হওয়া থেকে বাধা দেবে, যাতে এটি দ্রুত ভেঙে না যায়। এটাকে বলা হচ্ছে ‘এক্সটারনালি রিফুয়েলড অপটিক্যাল ফিলামেনন্টস’।
মেঘের মধ্যে পানির কনডেনসেশন এবং বজ্রপাতজনিত ঘটনা বিপুল পরিমাণে স্থির জড়তা সম্পন্ন চার্জড পার্টিক্যালের সাথে সম্পর্কিত। সঠিক মাত্রার লেজার রশ্মি দিয়ে এসব চার্জড পার্টিক্যালকে আলোড়িত করা গেলে নিকট ভবিষ্যতে এক দিন অবশ্যই বিজ্ঞানীরা মেঘ থেকে প্রয়োজনীয় স্থানে ইচ্ছামতো বৃষ্টি ঝরাতে সম হবেন এবং মেঘ আর লেজারের ওপর নতুন দিনের প্রযুক্তি অবশ্যই খরা এলাকায় পানির সমস্যা সমাধান করার সুযোগ এনে দেবে। মেঘ থেকে বৃষ্টি নামানোর প্রচেষ্টা এক যুগান্তকারী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইন অপটিকস অ্যান্ড লেজারের একজন শিক্ষানবিস ম্যাথিউ মিলস জানান, যখন কোনো লেজার রশ্মির তীব্রতা অনেক বেশি করা হয় সে তখন আর স্বাভাবিক আচরণ করে না এটি এর নিজের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই ধ্বংস হয়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা এত বেশি মাত্রায় পরিণত হয় যে, বাতাসের অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের ইলেকট্রনগুলো ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি প্লাজমা তৈরি করে, যা সাধারণত ইলেকট্রনের এক স্যুপ। এই প্লাজমা তখন চেষ্টা করে লেজার রশ্মিকে উল্টো দিকে ধাবিত করতে, যা একটি আল্ট্রা শর্ট লেজার পালসকে ছড়িয়ে পড়ার এবং ধ্বংস হওয়ার মধ্যকার ঘটনায় এক ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত করে দেয়। এই যুদ্ধ বা রিঅ্যাকশনকে বলা হয় ‘ফিলামেন্টেশন’।এটা একটি ফিলামেন্ট বা ‘আলোর স্ট্রিং’ তৈরি করে, যা বাতাসের বিভিন্ন উপাদানের দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে নষ্ট হওয়ার আগে অল্প সময়ের জন্য এগিয়ে চলে। যেহেতু একটি ফিলামেন্ট তার চলার পথে আলোড়িত ইলেকট্রন বৃষ্টি নামাবে লেজার রশ্মি!
বিজ্ঞানীরা জোরালোভাবে মনে করছেন, লেজারের মাধ্যমে মেঘ থেকে বৃষ্টি ও বজ্রপাত ঘটানো সম্ভব হবে। সেন্ট্রাল ফোরিডা কলেজ অব অপটিকস অ্যান্ড ফটোনিকস এবং ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনার বিজ্ঞানীরা উচ্চশক্তির লেজার রশ্মিকে কোনো মেঘের মধ্যে নিপে করে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত ঘটানোর ল্েয প্রযুক্তি উদ্ভাবনের বিষয়ে কাজ করছেন। কোনো একটি লেজার রশ্মিকে দ্বিতীয় একটি রশ্মি দিয়ে ঘিরে রেখে শক্তির আধার (এনার্জি রিজারভার) হিসেবে কাজ করিয়ে মাঝের লেজার রশ্মিকে আগের চেয়ে আরো অধিক দূরত্বে নিপে করা সম্ভব হবে। সেকেন্ডারি রশ্মি প্রাথমিক রশ্মিকে রিফুয়েল করবে এবং অধিক তীব্রতায় নির্গত হওয়া থেকে বাধা দেবে, যাতে এটি দ্রুত ভেঙে না যায়। এটাকে বলা হচ্ছে ‘এক্সটারনালি রিফুয়েলড অপটিক্যাল ফিলামেনন্টস’।
মেঘের মধ্যে পানির কনডেনসেশন এবং বজ্রপাতজনিত ঘটনা বিপুল পরিমাণে স্থির জড়তা সম্পন্ন চার্জড পার্টিক্যালের সাথে সম্পর্কিত। সঠিক মাত্রার লেজার রশ্মি দিয়ে এসব চার্জড পার্টিক্যালকে আলোড়িত করা গেলে নিকট ভবিষ্যতে এক দিন অবশ্যই বিজ্ঞানীরা মেঘ থেকে প্রয়োজনীয় স্থানে ইচ্ছামতো বৃষ্টি ঝরাতে সম হবেন এবং মেঘ আর লেজারের ওপর নতুন দিনের প্রযুক্তি অবশ্যই খরা এলাকায় পানির সমস্যা সমাধান করার সুযোগ এনে দেবে। মেঘ থেকে বৃষ্টি নামানোর প্রচেষ্টা এক যুগান্তকারী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন ইন অপটিকস অ্যান্ড লেজারের একজন শিক্ষানবিস ম্যাথিউ মিলস জানান, যখন কোনো লেজার রশ্মির তীব্রতা অনেক বেশি করা হয় সে তখন আর স্বাভাবিক আচরণ করে না এটি এর নিজের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই ধ্বংস হয়ে পড়ার সময় এর তীব্রতা এত বেশি মাত্রায় পরিণত হয় যে, বাতাসের অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের ইলেকট্রনগুলো ছড়িয়ে পড়ে এবং একটি প্লাজমা তৈরি করে, যা সাধারণত ইলেকট্রনের এক স্যুপ। এই প্লাজমা তখন চেষ্টা করে লেজার রশ্মিকে উল্টো দিকে ধাবিত করতে, যা একটি আল্ট্রা শর্ট লেজার পালসকে ছড়িয়ে পড়ার এবং ধ্বংস হওয়ার মধ্যকার ঘটনায় এক ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত করে দেয়। এই যুদ্ধ বা রিঅ্যাকশনকে বলা হয় ‘ফিলামেন্টেশন’।এটা একটি ফিলামেন্ট বা ‘আলোর স্ট্রিং’ তৈরি করে, যা বাতাসের বিভিন্ন উপাদানের দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে নষ্ট হওয়ার আগে অল্প সময়ের জন্য এগিয়ে চলে। যেহেতু একটি ফিলামেন্ট তার চলার পথে আলোড়িত ইলেকট্রন সৃষ্টি করে সে কারণে এটা বৃষ্টি ও বজ্রপাত ঘটানোর প্রয়োজনীয় অবস্থার উদ্ভব ঘটাতে পারে। করে সে কারণে এটা বৃষ্টি ও বজ্রপাত ঘটানোর প্রয়োজনীয় অবস্থার উদ্ভব ঘটাতে পারে।
হাঃহাঃহাঃ চায়না জিনিসের মত চায়না বুদ্ধিও ধলতা।
হাঃহাঃহাঃ চায়না জিনিসের মত চায়না বুদ্ধিও ধলতা। সীমান্তে এত ট্যাঙ্ক পাঠালে কিন্তু আটকাবে বিনিয়োগ, হুঁশিয়ারি চিনের: ভারত-চিন সীমান্ত নিরাপত্তার খাতিরে সীমান্তে ভারত বেজিং-কে তাক করে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর চটেছে চিন। ফলে, ভারতকে চাপে রাখার ‘খেলা’ শুরু করে দিতেও দেরি করল না বেজিং। চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যমে একটু ঘুরিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হল, ভারত যদি এ ভাবে সীমান্তে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়িয়ে চলে, তা হলে কিন্তু ভারতে চিনা বিনিয়োগ আসবে না। এর পরেই বন্দুকটা ভারতের কাঁধে রেখে বলা হয়েছে, ভারত যদি ‘যুদ্ধং দেহি’ মনোভাবে অটল থাকে, তা হলে সে দেশে বিনিয়োগ করতে কী ভাবেই-বা ভরসা পাবেন চিনা বিনিয়োগকারীরা। চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘কোনও সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় চিন সীমান্তে ভারতের ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানোর যে খবরটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তা চিনা সমাজের সর্ব স্তরেরই নজর কেড়েছে। সকলেই বিস্মিত হয়েছেন কারণ, আরও বেশি করে চিনা সংস্থাগুলো ভারতে তাদের পুঁজি বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।’’ দিনদু’য়েক আগেই একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দেয়, নিরাপত্তার খাতিরে চিন সীমান্তে অন্তত ১০০টি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ভারত। অবিলম্বে ভারতীয় ট্যাঙ্কের সংখ্যা আরও বাড়ানে হবে চিন সীমান্তে। তারই প্রেক্ষিতে, দিল্লির উদ্দেশে ‘খোঁচা’টাকে আরও তীক্ষ্ণ করে ওই নিবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘‘একই সঙ্গে ভারত-চিন সীমান্তে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে আর ভারতে আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বার বার চিনা লগ্নিকারীদের ডাকা হচ্ছে! এই দু’টি আপাত-বিপ্রতীপ কাজ কী ভাবে একই সঙ্গে করা যায়, তা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছে না। ভারতে যখন বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন চিনা লগ্নিকারীরা, তখনই সীমান্তে ভারতের অস্ত্র-বৃদ্ধির খবর তাঁদের ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দিচ্ছে। তারা অনেকটা এগিয়ে গিয়েও, দু’দেশের মধ্যেকার রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করে আবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। এগিয়ে যাওয়ার ভরসা পাচ্ছেন না।’’
বৃষ্টি নামাবে লেজার রশ্মি
লেজার রশ্মি
১ম পর্ব
অামাদের জীবনে প্রায় সব ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে লেজার রশ্মি। শুরুর দিকে সিডি বা ডিভিডিতে ছোট ছোট লেজার রশ্মি ব্যবহার করা হতো। এরপর লেজার রশ্মি ব্যবহার হারের পরিধি প্রসারিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আধুনিক বিশ্বে লেজার প্রায় সর্বেেত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। লেজার যখন প্রথম আবিষ্কার করা হয়, তখন কেউ চিন্তা করেনি এর ব্যবহার কী হবে। শুরুতে লেজার রশ্মিকে রাডার-ব্যবস্থা অথবা সামরিক কাজে ব্যবহার করা হতো।
ইংরেজি অর লেজার (LASER) এর পূর্ণ শব্দটি হলো Light Amplification by Stimulated Emission Radiation. . অর্থাৎ উত্তেজিত বিকিরণের সাহায্যে আলোক বিবর্ধন। সাধারণ আলোতে বিভিন্ন মাপের তরঙ্গ থাকে। একই বর্ণের আলোতে একই মাপের তরঙ্গ থাকলেও তারা বিভিন্ন তলে চলে। কিন্তু লেজারে সব তরঙ্গই হয় একই মাপের এবং তারা চলে একই তলে।
লেজার রশ্মি অত্যন্ত ঘন সংবদ্ধ একমুখী বলে তা অনেক পথ অতিক্রম করতে পারে এবং এরা মাত্র কয়েক মাইক্রন (১ মাইক্রন= ১০-৩ মি. মি.) চওড়া। এ জন্য এতে প্রচণ্ড তাপশক্তি সঞ্চার করা সম্ভব হয় এবং তাপমাত্রা সূর্যের তাপমাত্রার চেয়েও বেশি হয়। লেজার রশ্মি দিয়ে মানুষের একটা চুলকেও ছিদ্র করা সম্ভব।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রতিদিনের মানুষের জীবনে যে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়, তার বিশাল একটি অংশ লেজার রশ্মির মাধ্যমে আদান-প্রদান করা হয়। এ ছাড়া প্রযুক্তির বিভিন্ন আবিষ্কার কম্পিউটার ডিস্ক থেকে শুরু করে অপটিক্যাল ডিস্ক সবখানেই আছে লেজারের অবদান। আমাদের টেলিভিশন থেকে শুরু করে গাড়ির দরজা-জানালা কাটা হয় লেজারের মাধ্যমে। বিমান তৈরির উপকরণও সঠিক মাপে কাটতে ব্যবহার করা হয় লেজার রশ্মি।
অর্ধশত বছর আগের লেজার রশ্মির আবিষ্কার সম্পর্কে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরফটোকিন গবেষক টমাস বেয়াড় জানিয়েছেন, লেজার রশ্মি প্রথম আসে ষাটের দশকের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন গবেষণার সুবিধার্থে লেজার আবিষ্কার করা হয়। মূলত ভালো একটি রাডার-ব্যবস্থা তৈরিতে উচ্চ একটি ফ্রিকোয়েন্সি আছে, এমন বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গবেষকদের মাথায় লেজার রশ্মির ধারণা আসে। শুরুতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ এ গবেষণায় ব্যয় করা হয়।
রাডার-ব্যবস্থায়মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা হয়, একে আরো উন্নত করতে নতুন এক ধরনের ব্যবস্থা আবিষ্কার করা হয়। আর গবেষকেরা তখন বুঝতে পারেন, একই পদ্ধতি দৃশ্যমান আলোর ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা সম্ভব। এই গবেষণা লেজার আবিষ্কারের পথ খুলে দেয়। আর বর্তমানে মানবজীবনে লেজারের প্রতিনিয়ত ব্যবহার দেখতে পারলে এর আবিষ্কার কর্তারা অবাক হতেন।
আধুনিক জীবনে আপনি যা কিছু ব্যবহার করেন এর সাথে কোনো না কোনোভাবে লেজার জড়িয়ে আছে। আলোকের এক অসাধারণ অবস্থান হচ্ছে লেজার। সহজ কথায় বলতে গেলে বলা যায়, এটি এক ধরনের বাল্ব, যেখানে আলো খুবই ঘনীভূত অবস্থায় থাকে। অর্কেস্ট্রের শুরুতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয় পরীার জন্য। সেখানে একেক বাদ্য একেকভাবে বাজে। সাধারণ আলো তেমনি। যেখানে অনেক রঙ অনেক দিকে আলো ছোটে। আবার বাদ্যযন্ত্র যখন নির্দিষ্ট বাজনা বাজায়, তখন সবাই এটা টিউনে বাজায়। লেজারও অনেকটা তাই, সেখানে সবকিছু বাদ দিয়ে এক ধরনের আলো তৈরি হয়। আলোর সবচেয়ে সমৃদ্ধ উৎস হচ্ছে লেজার।
সব জায়গায় সব সময় এই আলোকরশ্মি একই রকম কাজ করে। এটা ফোটন কণার এমন ধরনের অবস্থা, তাকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। এ কারণে মানুষের কল্পনার বিভিন্ন স্থানে এই আলোকরশ্মি মানে লেজার অবস্থান করে নিয়েছে। আধুনিককালে বিভিন্ন অপারেশনের কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে লেজার। আবার জিঙ্ক নির্ণয় করার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে।
(লেজার রশ্মি ব্যবহারের উপর ধারাবাহিকভাবে৬টা পোস্ট করা হবে)
এমআই-২৮
বর্তমানে রাশান সামরিক বাহিনীর অন্যতম অ্যান্টি আর্মার অ্যাটাক হেলিকপ্টার হচ্ছে এমআই-২৮। অ্যান্টি আর্মার হেলিকপ্টার হওয়ায় এটি স্বভাবতই অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে এবং এদের ব্যবহৃত প্রধান অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইল হচ্ছে ৯এম১২০। এই ৯এম১২০ মিসাইলগুলো মূলত রেডিও কমান্ড গাইডেড মিসাইল এবং মিসাইলকে গাইড করার জন্য এই সিস্টেমটি হেলিকপ্টারের নাকে অবস্থিত একটি কন্টেইনারে থাকে। কিন্তু যদি এই ছবিটি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন এই হেলিকপ্টারটির নাকে সাধারণ এমআই-২৮ এর মত কোন কন্টেইনার নেই যা একটি অত্যন্ত অদ্ভুত বিষয়.....
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রাচ্যের দেশ জাপান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রাচ্যের দেশ জাপান। বিশ্বযুদ্ধে কথিত মিত্রশক্তির কাছে হেরে যাওয়ার পর প্রায় শতবছরের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আটকে যায় দেশটি। এরপর থেকে বাণিজ্যিক উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে দেয়া হয়নি দেশটিকে। তবে সম্প্রতি অ্যাবে সরকার জাপানের ক্ষমতায় আসার পর নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যা মার্কিন প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো বিশ্বের সর্ববৃহত যুদ্ধজাহাজ প্রসঙ্গ। জাপানের মেরিটাইম সেল্ফ-ডিফেন্স ফোর্স(এমএসডিএফ)‘জুমো’ নামের এই জাহাজটি তৈরি করেছে। ইয়োকোহামা নৌ-ঘাটিতে এই জাহাজটি প্রদর্শিত হয়। উল্লেখ্য, এই ইয়োকোহামা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সেভেন্থ ফ্লিট নৌজাহাজটি ঘাটি গেড়ে আছে। এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারে মার্কিনীদের এই যুদ্ধযানটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।জুমো জাহাজটিতে প্রায় ৪৭০জন ক্রু কাজ করবে এবং ১৯ হাজার ৫০০ টন ওজন ধারন করতে পারবে জাহাজটি। তবে পুরোপুরি ভর্তি করলে ২৪ হাজার টন পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারবে জুমো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দ্বিতল বিশিষ্ট ইয়ামাতো জাহাজটি যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে সফল যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল। সেই জাহাজের নকশাকে রেখেই বর্তমানের জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে। জাহাজটি লম্বায় ২৪১ মিটার, যা অপর জাহাজ হাওগা থেকে ৫১ মিটার লম্বা। জাপান এতোদিন পর হঠাৎ করে কেনো এতবড় যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে। তবে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সমুদ্রসীমায় প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তীতে এই জাহাজ নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবিষয়ে জাপানের সেনাবাহিনী বিশেষজ্ঞ লি ঝিই বলেন, ‘জুমো তৈরির ফলে জাপান প্রমাণ করলো যে তার কারিগরি উন্নয়নে যোগ্যতা আছে। এখন বিমানবাহী ক্যারিয়ার তৈরির সময় হয়েছে। জুমোর মাধ্যমে জাপান তার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে আরও জানতে পারবে।’
মহাকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ব্যবস্থা করছে রাশিয়া
মহাকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ব্যবস্থা করছে রাশিয়া
শুনলে মনে হতে পারে আশির দশকের মাঝামাঝি ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ নিয়ে তৈরি কোনও হলিউড মুভির চিত্রনাট্য। কিন্তু রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই পরিকল্পনা ঘোর বাস্তব। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরাই জানাচ্ছেন সে খবর। মহাকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর জন্য সমর-যান তৈরি করছে মস্কো। এই খবর নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে!
রুশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্স বিষয়ের অধ্যাপক তথা রাশিয়ার এই হাই-প্রোফাইল প্রকল্পের অন্যতম প্রধান কর্তা কর্নেল অ্যালেক্সেই সোলোদোভনিকভ জানিয়েছেন, যে সমর-যানটি তৈরি করছে রাশিয়া যে একাধারে যুদ্ধবিমান এবং মহাকাশযান। সমর-যানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্ট্র্যাটেজিক বম্বার’। কর্নেল সোলোদোভনিকভের কথায়, স্ট্র্যাটেজিক বম্বার সাধারণ বিমানঘাঁটি বা রানওয়ে থেকেই উড়বে। যত ক্ষণ সেটি বায়ুমণ্ডলের মধ্যে থাকবে, তত ক্ষণ কেরোসিনে চলবে। বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে মহাকাশে ঢুকে যাওয়ার সময় কেরোসিনের বদলে মিথেন-অক্সিজেন জ্বালানি ব্যবহার করতে শুরু করবে এই স্ট্র্যাটেজিক বম্বারের ইঞ্জিন। পাক-ডিএ নামে এই স্ট্র্যাটেজিক বম্বারের উপস্থিতি কোনও রেডারে ধরা পড়বে না। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে পরমাণু বোমা ফেলতে পারবে পাক-ডিএ।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কিন্তু এখনই এই হাই-প্রোফাইল প্রকল্প নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। কিন্তু রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল ফোর্সের কম্যান্ডার জেনারেল সেরগেই কারাকায়েভ জানাচ্ছেন, পাক-ডিএ স্ট্র্যাটেজিক বম্বারের ইঞ্জিনের মডেল ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং পরীক্ষিতও হয়েছে। পরবর্তী দু’বছর প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা হার্ডওয়্যারের উপর কাজ করবেন। ২০২০ সালের মধ্যে রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক বম্বার তৈরি হয়ে যাবে বলেও কারাকায়েভ মনে করছেন l
এ বছরের ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি-টেকনিক্যাল ফোরাম আয়োজিত হচ্ছে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয়। সেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক-ডিএ প্রকল্প সম্পর্কে রাশিয়া আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘো,ণা করতে পারে বলেও খবর।
সূত্র :আনন্দ বাজার পত্রিকা
রাশিয়ান “দ্যা সাইলেন্ট কিলার” হিসাবে খ্যাত ইয়াসেন ক্লাস নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন
""রাশিয়ান “দ্যা সাইলেন্ট কিলার” হিসাবে খ্যাত ইয়াসেন ক্লাস নিউক্লিয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন""
আপনি একটা বিষয় খেয়াল করুন,আকাশে থাকা হুমকি গুলোকে প্রতিহত করার জন্য বর্তমানে স্যাম থেকে শুরু করে অনেক উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে।কিন্তু সাবমেরিন প্রতিহত করার মত প্রযুক্তি খুব কম।তাই এটিকে গুপ্তঘাতক বলা চলে।আর সাবমেরিন যদি স্টিলেথ হয়, তা আর 'ত কথায় নাই।রাশিয়ান নৌ-বাহিনীর সামুদ্রের যেঅতন্দ্র প্রহরি গুলোরয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, দ্যা সাইলেন্ট কিলার হিসাবে খ্যাত ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন।এই সাবমেরিন গুলোলো প্রজেক্টট ৮৮৫ এর আওতায় তৈরী করা হয়।বর্তমান বিশ্বে প্রথম সারির যে সাবমেরিন গুলো রয়েছে,তার মধ্যে ইয়াসিন ক্লাস সাবমেরিন অন্যতম।কোল্ড ওয়ারের সময় তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন সাবমেরিন তৈরীতে পশ্চিমাদের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল।কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর বিভিন্ন কারণে বর্তমান রাশিয়া অনেকটা পিছিয়ে পরে।ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন হচ্ছে রাশিয়ার সার্ভিসে থাকা সর্বাধুনিক নিউক্লিয়ার পাওয়ার্ড স্টিলেথ এট্যাক সাবমেরিন। এটি মূলত একটি নিউক্লিয়ার গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন।মূলত সোভিয়েত আমলের আকুলা & অস্কার ক্লাস এট্যাক সাবমেরিন গুলোকে রিপ্লেস করার জন্য এই ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিন কে সার্ভিসে আনা হচ্ছে।ইয়াসেন ক্লাস সাবমেরিনে ব্যবহিত প্রযুক্তি এতটাই উন্নত এবং এর ডিজাইন ও স্টিলথ কার্জকারিতা এতটা ভালো যে শুধু রাশান নয় কিছু কিছু আমেরিকান সাবমেরিন বিশেষজ্ঞ কেও মুগ্ধ করেছে।২০০৯ সালের আগস্টের US Naval Intelligence এর এক রিপোর্টমতে Yasen ক্লাসের সাবমেরিন গুলো আমেরিকান যে কোন সাবমেরিন এর চাইতে এই সাবমেরিনগুলোর ওয়াটার ডিসপ্লেসমেন্ট সাবমার্জড অবস্থায় প্রায় ১৩,৮০০ টন এবংসার্ফেসড অবস্থায় প্রায় ৮,৬০০ টন। এগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ মিটার, বিম প্রায় ১৫ মিটার । এটির শক্তির উৎস হিসাবে রয়েছে,১টি কেটিএম pressurizedওয়াটার নিউক্লিয়ার রিএ্যাক্টর।যা একে সাবমার্জড অবস্থায় ৬৫ কিলোমিটার আর সার্ফেসড অবস্থায় ৩৭ কিলোমিটার প্রতিঘন্টার স্পিডে চালাতে সক্ষম। এর অপারেশনালডেপথ ৬০০+ মিটার পর্যন্ত কিন্তু আসলে আরও বেশি গভীরতায় যেতে সক্ষম। এই সাবমেরিনগুলো রেঞ্জ আনলিমিটেট বা সীমাহীন। এটি পরিমিত খাদ্য ও রসদ নিয়ে একটানা১+ বছর সামুদ্রে ডুবে থাকতে সক্ষম।এই সাবমেরিন টি পরিচালনা করতে ৯০ জন ক্রু প্রয়োজন হয়।এতে ভার্টিকাল লাঞ্চ টিউব গুলোতে রয়েছে ৬টি ভিএলএস সিস্টেম। এর ভার্টিকাল লাঞ্চ টিউব গুলোতে ৩২টি অনিক'স এসএলসিএম মিসাইল, বা ৪০টি কালিবার পিএল এএসএলএমঅথবা এসএলসিএম, ল্যান্ড আ্যাটাক সাবমেরিন ল্যান্চ ওয়েপন রয়েছে। তাছাড়া এটি কেএইস-১০১ ক্রুস মিসাইল বহন করতে পারে ।এতে আটটি ৬৫০ মি.মি. এবং ২ টি ৫৩৩ মি.মি টর্পেডো টিউব রয়েছে যা থেকে প্রায় সব ধরণের ৫৩৩ মি.মি. টর্পেডো ছোড়া যায়। বর্তমানে এই ক্লাসের ১টা সাবমেরিন সার্ভিসে রয়েছে।এবং ২০২০ সালের মধ্যে আরও ৫টা এই ক্লাসের সাবমেরিন সার্ভিসে আসবে।
শত্রুর কোমর ভেঙে দিয়ে জয়ের রাস্তা সাফ করার জন্য যেটা সব থেকে বেশি কাজ দেয় বেশি, তা হল কামানবাহিনী
শত্রুপক্ষের এলাকায় ঢুকতে পদাতিক ও সাঁজোয়া বাহিনী লাগে ঠিকই, কিন্তু শত্রুর কোমর ভেঙে দিয়ে জয়ের রাস্তা সাফ করার জন্য যেটা সব থেকে বেশি কাজ দেয় বেশি, তা হল কামানবাহিনী বা আর্টিলারি। বোফর্সের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রভাণ্ডারে নতুন কামান ঢোকেনি, ঠিক কথা। কিন্তু এই বোফর্সের দুর্জয় ক্ষমতায় ভর করেই ভারতের সেনাবাহিনী কারগিলে শত্রুনিপাত করেছিল৷ আশার কথা, কেন্দ্রে মোদীর সরকার আসার পর পরই সমরশক্তি বাড়াতে একগুচ্ছ নয়া কামান ভারতের গোলন্দাজ বাহিনী পেয়েছে, আরও কিছু যোগ হওয়ার কথা চলছে। দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় গোলন্দাজ বাহিনীর কয়েকটি বিশেষ শক্তিশালী কামান:
১. বিএই সিস্টেমস এম-৭৭৭ আলট্রা লাইট হাউইৎজার: কামানের কথা যখন বলা হয়, তখন আলট্রা লাইট শব্দটা তার সঙ্গে সেভাবে খাপ খায় না হয়তো। তবে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের নিরিখে এই কামান তুলনামূলক হালকা ধরনের। চার টনের কাছাকাছি ওজন কামানটির। কামানটি বডি টাইটেনিয়ামে গড়া। সিএইচ-৪৭ চিনুকের মতো হেলিক্প্টারে করে তুলনামূলকভাবে হালকা ওজনের এই কামান বয়ে নিয়ে সম্ভব। শুনলে হয়তো অবাক হবেন, বাদবাকি বিশ্বের নিরিখে সব থেকে উচ্চতায় নির্মিত এয়ারস্ট্রিপ লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডিতেও এই কামান পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সি-১৩০ হারকিউলিস এয়ারলিফটার। এম৭৭৭ কামানটির পাল্লা ২৪-৩০ কিলোমিটার l
২. ডিআরডিও ধনুষ: সুইডেনের কাছ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বোফর্স কেনা হয়েছিল, সেই সময়ই এ দেশের বুকে বোফর্সের মতো শক্তিশালী কামান তৈরির কথা ওঠে। বোফর্স নির্মাতা সংস্থা কামান তৈরির ব্লু-প্রিন্টও পাঠায়৷কিন্তু তার পর একদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ওলাফ পামের হত্যাকাণ্ড এবং অন্যদিকে বোফর্স কাটমানির সূত্র ধরে এদেশের রাজনীতিতে ঝড় ওঠায় প্রকল্পটি থমকে যায়। দীর্ঘ বিলম্বের পর ডিআরডিও ফের বোফর্সের মতো শক্তিশালী ও বিধ্বংসী কামান তৈরির পরিক্ল্পনা করে ও তাতে সফল হয়। জন্ম নেয় ধনুষ। ৩৯ ক্যালিবার থেকে বাড়িয়ে এই নয়া কামানের গোলাবাজির ক্ষমতা করা হয়েছে ৪৫ ক্যালিবার। সেইসঙ্গে ধনুষের গোলাবর্ষণের পাল্লা ২৭ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৩৮ কিলোমিটারে উন্নীত করা হয়েছে। এর মধ্যেই ডিআরডিও-কে ১১৪টি কামানের বরাত দিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী, আরও ৪১৪টির অর্ডার ভবিষ্যতে দেওয়া হবে।
৩. ডিআরডিও অর্জুন ক্যাটাপল্ট এমকে-২: অর্জুন ট্যাঙ্কের ১৩০ মিলিমিটারের ‘আর্টিলারি গান’ নির্মিত হয় আটের দশকে৷ সেই আর্টিলারি গানের ক্ষমতা আরও উন্নত করে ডিআরডিও বানিয়েছে অর্জুন ক্যাটাপল্ট এমকে-২। এম-৪৬ রাশিয়ান ট্যাঙ্কের সমান শক্তিধর এই অর্জুন কামানের পাল্লা ২৭ কিলোমিটার। এই পাল্লায় যে পড়বে সে-ই ফৌত!
৪. হুইলড সেলফ-প্রপেলড গান: ২০১৩ সালেই প্রথম ভারতের সেনাবাহিনী ১৫৫ মিলিমিটারের ৫২ ক্যালিবারওয়ালা৮১৪টি চলমান স্বয়ংক্রিয় কামানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। টেন্ডার ডাকা হয়। জানা গিয়েছে, টাটা পাওয়ার স্ট্র্যাটেজিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন এর মধ্যেই সেনাবাহিনীর চাহিদামতো তেমন কামান তৈরি করে ফেলেছে। রাজধানীতে তার প্রদর্শনীও হয়ে গেল সদ্য সদ্য। পাশাপাশি, আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা এ ধরনের কামান তৈরির প্রতিযোগিতায় নেমেছে। যার মধ্যে রয়েছে অশোক লেল্যান্ড ও লার্সেন অ্যান্ড টুবরো। ফ্রান্সের নেক্সটার সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে তেমন কামান নির্মাণের কাজ।
৫. তালিকায় আর যা আছে: দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে ১৮০টি হুইলড সেলফ-প্রপেলড গান ছাড়াও ভারতের গোলন্দাজ বাহিনীর দরকার অন্তত ১৫৮০টি ‘টোড গান’, যার মধ্যে ৪০০টি অবিলম্বে বিদেশ থেকে আমদানি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকিগুলির জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি আমদানি করে এ দেশেই সেগুলি অ্যাসেম্বল করে বানানোর কথা ভাবছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
© kolkata24x7
পূর্ব লাদাখে বিপুল সেনা, ট্যাঙ্ক বাহিনীও, ভারতের তৎপরতায় অস্বস্তি চিনেপূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার বিপুল তৎপরতা বৃদ্ধিকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না চিন।
পূর্ব লাদাখে বিপুল সেনা, ট্যাঙ্ক বাহিনীও, ভারতের তৎপরতায় অস্বস্তি চিনে
পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনার বিপুল তৎপরতা বৃদ্ধিকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না চিন। পূর্ব লাদাখে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত। কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারী অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাঙ্ক এবং বাঙ্কারের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ানো হচ্ছে। রাস্তাঘাট, নতুন বিমানঘাঁটি এবং টহলদারি বাড়িয়ে পূর্ব লাদাখকে দুর্ভেদ্য করে তোলার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পথে। সীমান্তের অন্য পাশ চিন এই ধরনের সামরিক প্রস্তুতি অনেক আগেই সেরে ফেলেছে। তবে ভারতের তরফে এই সামরিক তৎপরতাকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বেজিং।
লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে সমস্যা দীর্ঘ দিনের। ভারতের নিয়ন্ত্রণে যে অংশ রয়েছে, তার অনেকটাকেই চিন নিজেদের বলে দাবি করে। তাই দু’দেশের মধ্যে কোনও স্থায়ী সীমান্ত এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি)-কে সীমানা হিসেবে মেনে নিয়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং সেনা টহরদারি চালায়। ১৯৬২ সালে এই সীমান্ত বিরোধ থেকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল চিন-ভারত। ভারতের তরফে সে সময় লাদাখ বা অরুণাচলে সামরিক প্রস্তুতি বলতে প্রায় কিছুই ছিল না। ফলে চিনা বাহিনী ভারতের অনেকটা অন্দরে ঢুকে এসেছিল। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে ১৯৬২ উত্তর পরিস্থিতিতে এলএসি বরাবর ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনা হয় ঠিকই। কিন্তু চিনের তরফে প্রস্তুতি যতটা ছিল, তার মোকাবিলায় লাদাখ বা অরুণাচলের সীমান্তে ভারতের উপস্থিতি মোটেই যথেষ্ট ছিল না। সীমান্ত চৌকি পর্যন্ত বড় বড় রাস্তা বানিয়ে, বিপুল সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলে চিন সব সময়ই ভারতকে চাপে রাখতে চেয়েছে লাদাখ ও অরুণাচলে। ২০১২ সাল থেকে লাদাখ এবং অরুণাচলে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো বাড়ানো শুরু করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রথমেই এলএসি বরাবর টহলদারি বাড়ানো হয়। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) হাতে অনেক ভারী অস্ত্রশস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। নতুন নতুন রাস্তা, বিমানঘাঁটি এবং ফর্টিফায়েড বাঙ্কার তৈরি করা শুরু হয়। পাঁচ বছরের মধ্যে লাদাখ সীমান্তে ভারতের সামরিক প্রস্তুতির ছবিটা পুরোপুরি বদলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কিন্তু এলএসি বরাবর ভারতীয় বাহিনীকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের পূর্ব লাদাখে নিয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সেনা। এলএসি বরাবর ভারতের সামরিক প্রস্তুতি এখন কেমন, তা সংবাদমাধ্যমকে জানাতেই এই সফর। যে ছবি দেখা গিয়েছে পূর্ব লাদাখে, তাতে সেনাবাহিনীর আত্মবিশ্বাসী না হওয়ার কোনও কারণ নেই। যে এলাকায় এক সময় মাইলের পর মাইল চলার পরও ভারতীয় সেনার দেখা পাওয়া যেত না, সেখানে এখন কঠোর নজরদারি। সীমান্ত বরাবর কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি এলাকায় পাহাড়ের গায়ে এখন উঁকি দিচ্ছে ভারতীয় সেনার ফর্টিফায়েড বাঙ্কার। সেনা চৌকিগুলিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র পৌঁছে, সৈন্যসংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে, ভারী গোলাবর্ষণের পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনা এ বার মোতায়েন করেছে ট্যাঙ্ক বাহিনীও।
শুধু লাদাখের পাহাড়ে নয়, জল ভাগেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্যাংগং লেকে টহল দিচ্ছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। ফলে দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে মাঝেমধ্যেই। চিনা সেনা আগে প্রায়ই এলএসি লঙ্ঘন করে ঢুকে পড়ত ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায়। সে সব এখন অতীত। গত কয়েক বছরে নজরদারি বেড়ে যাওয়ার পর, চিনা সেনার সঙ্গে এ নিয়ে বেশ কয়েক বার সঙ্ঘাত হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর। বিতর্কিত এলাকায় চিন ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করতে শুরু করায় ২০১৫-র শেষ দিকে ভারতীয় বাহিনী এক বার গোলাবর্ষণ করে সেই নির্মীয়মান টাওয়ার ভেঙেও দেয়। সেই সঙ্ঘাত এখন আর কোনও পক্ষই চাইছে না। তাই ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত আর সীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বেশ কয়েক বার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। ফ্ল্যাগ মিটিং-এর মাধ্যমে মেটানো হয়েছে সে সব সমস্যা।
ভারতের তরফে সামরিক পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজ যা করা হচ্ছে পূর্ব লাদাখে, তার কোনওটিই এলএসি-কে অগ্রাহ্য করে হচ্ছে না। ফলে চিনা সেনার সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। তবু সঙ্ঘাত হচ্ছে, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনাগুলির সিংহভাগের পিছনেই চিনের প্ররোচনা রয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাদাখে ভারতের এই বিপুল সামরিক প্রস্তুতি দেকে চিন স্বস্তিতে থাকতে পারছে না। তাই ভারতীয় বাহিনীকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে তারা।
চিন যতই চাপে রাখুক, ভারতের সামরিক পরিকাঠামোর বৃদ্ধি কিন্তু তাতে থেমে থাকছে না। ভারত-চিন সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ কোর বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস কে পাটিয়াল জানালেন, ‘‘আমাদের সীমান্তকে আমরা রক্ষা করবই। তার জন্য যা যা করার দরকার, যেমন সামরিক পরিকাঠামো বাড়ানো, সৈন্যসংখ্যা বাড়ানো, এই সব কিছুর জন্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব।’’
সেনাবাহিনী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যে সেরাটা দিচ্ছে, তা পূর্ব লাদাখকে দেখলেই এখন বোঝা যাচ্ছে। বড় বড় সড়ক প্রকল্পগুলির কাজ প্রায় শেষ পথে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু তৈরি হয়েছে। বাহিনীর দ্রুত চলাচল তাতে অনেক সহজ হয়েছে। আকাশপথেও যাতে দুর্গম পূর্ব লাদাখ জুড়ে থাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে, সে ব্যবস্থাও পাকা। ১৬ হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত দৌলত বেগ ওলদি-তে যুদ্ধবিমানের জন্য অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড তৈরি করে ফেলেছে ভারত। দুর্গম কারাকোরাম পর্বতের মধ্যে দিয়ে চিনের মধ্যে ঢোকার জন্য যে রাস্তা কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই কারাকোমার পাসের মাত্র ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এই বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে ভারত। চিন স্বস্তিতে থাকতে পারছে না স্বাভাবিক কারণেই।
জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করে পাকিস্তানকে বেআইনি দখলে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়তে কড়া হুশিয়ারি দিল ভারত!
জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসে মদত বন্ধ করে পাকিস্তানকে বেআইনি দখলে রাখা অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়তে কড়া হুশিয়ারি দিল ভারত!
.
কাশ্মীরের ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ভারত-বিরোধী সভা-সমাবেশ, মিছিলের আয়োজনে তীব্র ক্ষোভ জানাল ভারত। সীমান্তের ওপার থেকে কাশ্মীরের ব্যাপারে যেসব বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, তাতেও গভীর অসন্তোষ রয়েছে নয়াদিল্লির। ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানকে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে প্ররোচনা, সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে বলেছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়ে দেন, বেআইনিভাবে দখল করে রাখা কাশ্মীরের ভূখণ্ড ছেড়ে দিক পাকিস্তান।
.
স্বরূপ বলেন, যেভাবে সেদেশে ভারতীয় হাইকমিশনে মিছিল করে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, তাদের ওখানে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাসের সব কর্মী-অফিসার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পুরোপুরি নিরাপদ থাকবেন।
.
স্বরূপ বলেন, আমরা দেখছি পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গত দুদিন ধরে কাশ্মীর নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে, মিছিল বেরচ্ছে। এও দেখছি, এসব কিছুর পিছনে রয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদীরা,যারা অতীতে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেন, তালিবান নেতা আখতার মনসুর সহ কুখ্যাত অপরাধীদের খতম করে দেওয়ার বিরোধিতা করেছে। পাকিস্তানে বসে এই সন্ত্রাসবাদীরা যে মদত, প্রশ্রয় পাচ্ছে, তার কঠোর নিন্দা করছে ভারত। আমরা আরও একবার পাকিস্তানকে বলছি, আমাদের দেশের যে কোনও জায়গায় সন্ত্রাসবাদ, হিংসায় উসকানি, মদত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমাদের ঘরোয়া বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা বন্ধ রাখুন।
.
কাশ্মীরের পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির দিনটি যেভাবে পালিত হয়, তাতে গোটা জম্মু ও কাশ্মীরের ভূখন্ডটাই দখল করার পাকিস্তানের বাসনা ফুটে ওঠে, এহেন মন্তব্য করে স্বরূপ বলেন, ভারত দাবি করছে, পাকিস্তান বেআইনি ভাবে কব্জা করে রাখা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জমি ছেড়ে দিক। তিনি এও বলেন, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ’ বলছে। সেখানে ভোট করাচ্ছে। কিন্তু এহেন অর্থহীন তথাকথিত নির্বাচনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করতে হবে।
ব্যালিষ্টিক ক্যালকুলেটর
ব্যালিষ্টিক ক্যালকুলেটর
অনেক স্নাইপার রাইফেলে ব্যালেস্টিক স্কোপ থাকে।আমরা সকলে জানি তাপমাত্রা,উচ্চতা,বায়ুর চাপ বা প্রবাহ,দূরত্বসহঅনেককিছুই বুলেটকে টার্গেটকে থেকে দূরে নিয়ে যায় যার ফলে টার্গেটে গুলি লাগে না।তো দেখা যাচ্ছে স্নাইপারদের হৃৎপিন্ডে গুলি লাগাতে হলে কিডনির দিকে শুট করতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষ আরো দূরের দিকে গুলি করতে হয়।
তো স্নাইপার কোন টার্গেটকে গুলি করতে হলে কোনদিকে তা টার্গেট করতে হবে সেটা এই এ্যাপ বলে দেয়।এখানে যাবতীয় তথ্য ইনপুট দিলে সেটা দেখিয়ে দিতে পারে।যেমন ছবিটার দিকে তাকান লাল রঙের সার্কেলটা হল শুট করার জায়গায় আর নীল রঙের সার্কেলটা হল গুলিটা আসলে কোথায় লাগবে।মূলত এই ধরনের ব্যবস্থা স্নাইপার রাইফেলের স্কোপে একটি ব্যালেস্টিক কম্পিউটার থাকে।তবে এখানে প্রশিক্ষনের জন্য একটি এ্যাপ বা সিটমুলেটর তৈরি করা হয়েছে। তবে উল্লেখ্য বেশ দামী হবার কারণে সব ধরনের স্নাইপার রাইফেলে ব্যালেস্টিক স্কোপ থাকে না। সাধারন টেলিস্কোপিক সাইট থাকে।
SPACEPORT USA
SPACEPORT USA
SPACEPORT AMERICA হল পৃথিবীর প্রথম কমার্শিয়াল স্পেসপোর্ট।
এটা আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে, আমেরিকান আর্মির White Sand Missile Range এর কাছাকাছি অবস্থিত। এটি সর্বমোট ১৮,০০০ একর (৭,৩০০ হেক্টর) জায়গার উপর অবস্থিত। ১৯৯০ সালে প্রথম Spaceport এর প্রাথমিক ধারণা দেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরইঞ্জিনিয়ারিং এর লেকচারার এবং টেক স্টার্টআপ এডভাইসর বার্টন লি। তিনি প্রাথমিকভাবে ১.৪ মিলিয়ন ডলারের সীড ফান্ডিং নিয়ে একটা বিজনেস এবং স্ট্রেটেজিক প্লান তৈরী করেন এবং New Mexico State University-র ফিজিক্যাল সাইন্স ল্যাবরেটরির সাথে কাজ শুরু করেন। ৪ এপ্রিল, ২০০৬ সালে এর কাজ শুরু হয়। এর কন্সট্রাকশনের দ্বায়িত্ব পায় নিউ মেক্সিকোর “Gerald Martin Construction Management” নামের একটি কোম্পানি। এপ্রিল ৩, ২০০৭ সালে প্রতিবেশী কাউন্টি (যুক্তরাষ্টের প্রশাসনিক বিভাগ) Dona Ana County-র ভোটাররা স্পেসপোর্টের জন্য তাদের উপর আরোপিত ট্যাক্সের অনুমদোন দেন, যা হোস্টিং কাউন্টি Sierra County-র ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলে। পরে Sierra County-র ভোটাররা ৪০ মিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ডের অনুমোদন দেন। যদিও অপর একটি কাউন্টি Otero এর ভোটাররা ট্যাক্স দিতে অস্বিকৃতি জানায় তারপরেও স্পেসপোর্টের কাজ চলতে থাকে। এর পর লোকাল আধিবাসীরা স্পেসপোর্টের টার্মিনাল ভবনটি এ এলাকার পাহাড়ী সৌন্দর্য্য নষ্ট করবে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে এর টার্মিনাল ভবনের সম্পূর্ন আর্কিটেকচারাল ডিজাইন এমন ভাবে চেঞ্জ করা হয় যেন কাছ থেকে এটিকে একটি সুউচ্চ টার্মিনাল এবং দূর থেকে ভুমির সাথে সমতল মনে হয়। এর রানওয়েটি ১০,০০০ ফিট দীর্ঘ এবং ২০০ ফিট প্রশস্ত। স্পেস পোর্টের ফান্ডিং এর জন্য প্রাইভেট ফান্ডিং দরকার ছিল এবং এর প্রথম ভাড়াটে ছিল UP Aerospace. ২০০৮ সালে Virgin Galactic প্রধান ইজারাদার হিসেবে ২০ বছরের জন্য চুক্তি সাক্ষর করে। ২০১৩ সালে SpaceX, verticle takeoff এবং verticle landing এর জন্য ইজারাদার হিসেবে ৩ বছরের জন্য চুক্তি সাক্ষর করে। অবশেষে ২৪ জুনে ২০১৫ সালে এটি কমার্শিয়াল স্পেস ফ্লাইটের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। স্পেস পোর্ট আমেরিকাতে দুই ধরনের স্পেস লঞ্চিং হয়, Horizontal launch এবং Vertical launch. এর মধ্যে Horizontal launch সম্পন্ন করে Virgin Galactic এবং Vertical launch সম্পন্ন করে SpaceX. বর্তমানে Google তার স্কাইবেন্ডার প্রজেক্টের (5G ইন্টারনেট স্পিড সরবরাহের জন্য সৌরশক্তি চালিত ড্রোনের ব্যাবহার) জন্য স্পেস পোর্টের রানওয়ে Virgin Galactic এর কাছ থেকে ইজারা হিসেবে নিয়েছে।
এটা আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে, আমেরিকান আর্মির White Sand Missile Range এর কাছাকাছি অবস্থিত। এটি সর্বমোট ১৮,০০০ একর (৭,৩০০ হেক্টর) জায়গার উপর অবস্থিত। ১৯৯০ সালে প্রথম Spaceport এর প্রাথমিক ধারণা দেন আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েরইঞ্জিনিয়ারিং এর লেকচারার এবং টেক স্টার্টআপ এডভাইসর বার্টন লি। তিনি প্রাথমিকভাবে ১.৪ মিলিয়ন ডলারের সীড ফান্ডিং নিয়ে একটা বিজনেস এবং স্ট্রেটেজিক প্লান তৈরী করেন এবং New Mexico State University-র ফিজিক্যাল সাইন্স ল্যাবরেটরির সাথে কাজ শুরু করেন। ৪ এপ্রিল, ২০০৬ সালে এর কাজ শুরু হয়। এর কন্সট্রাকশনের দ্বায়িত্ব পায় নিউ মেক্সিকোর “Gerald Martin Construction Management” নামের একটি কোম্পানি। এপ্রিল ৩, ২০০৭ সালে প্রতিবেশী কাউন্টি (যুক্তরাষ্টের প্রশাসনিক বিভাগ) Dona Ana County-র ভোটাররা স্পেসপোর্টের জন্য তাদের উপর আরোপিত ট্যাক্সের অনুমদোন দেন, যা হোস্টিং কাউন্টি Sierra County-র ভোটারদের উপর প্রভাব ফেলে। পরে Sierra County-র ভোটাররা ৪০ মিলিয়ন ডলারের একটি ফান্ডের অনুমোদন দেন। যদিও অপর একটি কাউন্টি Otero এর ভোটাররা ট্যাক্স দিতে অস্বিকৃতি জানায় তারপরেও স্পেসপোর্টের কাজ চলতে থাকে। এর পর লোকাল আধিবাসীরা স্পেসপোর্টের টার্মিনাল ভবনটি এ এলাকার পাহাড়ী সৌন্দর্য্য নষ্ট করবে বলে অভিযোগ তোলেন। পরে এর টার্মিনাল ভবনের সম্পূর্ন আর্কিটেকচারাল ডিজাইন এমন ভাবে চেঞ্জ করা হয় যেন কাছ থেকে এটিকে একটি সুউচ্চ টার্মিনাল এবং দূর থেকে ভুমির সাথে সমতল মনে হয়। এর রানওয়েটি ১০,০০০ ফিট দীর্ঘ এবং ২০০ ফিট প্রশস্ত। স্পেস পোর্টের ফান্ডিং এর জন্য প্রাইভেট ফান্ডিং দরকার ছিল এবং এর প্রথম ভাড়াটে ছিল UP Aerospace. ২০০৮ সালে Virgin Galactic প্রধান ইজারাদার হিসেবে ২০ বছরের জন্য চুক্তি সাক্ষর করে। ২০১৩ সালে SpaceX, verticle takeoff এবং verticle landing এর জন্য ইজারাদার হিসেবে ৩ বছরের জন্য চুক্তি সাক্ষর করে। অবশেষে ২৪ জুনে ২০১৫ সালে এটি কমার্শিয়াল স্পেস ফ্লাইটের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। স্পেস পোর্ট আমেরিকাতে দুই ধরনের স্পেস লঞ্চিং হয়, Horizontal launch এবং Vertical launch. এর মধ্যে Horizontal launch সম্পন্ন করে Virgin Galactic এবং Vertical launch সম্পন্ন করে SpaceX. বর্তমানে Google তার স্কাইবেন্ডার প্রজেক্টের (5G ইন্টারনেট স্পিড সরবরাহের জন্য সৌরশক্তি চালিত ড্রোনের ব্যাবহার) জন্য স্পেস পোর্টের রানওয়ে Virgin Galactic এর কাছ থেকে ইজারা হিসেবে নিয়েছে।
B-21 Stealth Bomber:-
B-21 Stealth Bomber:-
কয়েকদিন আগে মার্কিন বিমান বাহিনী তাদের পরবর্তি প্রজম্মের স্তিলথ বোমারু বিমানবি-২১ এর ছবি প্রকাশ করেছে।। তবে এবার ডিজাইনে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন থাকছে।।বি-২১ দেখতে অনেকটা তার পুর্বসুরি বি-২ এর মতো।। তবে বি-২১ এর সক্ষমতাবি ২ এর তুলনায় অনেক বেশি হবে।প্রতিটি বিমান তৈরিতে খরচ হবে ৫১১ মিলিয়ন ডলার।বি ২১ কে পুরোনো বি ৫২ এবং বি ১ এর স্থলাভিষিক্ত করা হবে।।।মার্কিন বিমান বাহিনী নর্থরুপ গ্রুমম্যান কর্পোরেশন হতে ১০০ বি-২১ কিনবে।
কয়েকদিন আগে মার্কিন বিমান বাহিনী তাদের পরবর্তি প্রজম্মের স্তিলথ বোমারু বিমানবি-২১ এর ছবি প্রকাশ করেছে।। তবে এবার ডিজাইনে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন থাকছে।।বি-২১ দেখতে অনেকটা তার পুর্বসুরি বি-২ এর মতো।। তবে বি-২১ এর সক্ষমতাবি ২ এর তুলনায় অনেক বেশি হবে।প্রতিটি বিমান তৈরিতে খরচ হবে ৫১১ মিলিয়ন ডলার।বি ২১ কে পুরোনো বি ৫২ এবং বি ১ এর স্থলাভিষিক্ত করা হবে।।।মার্কিন বিমান বাহিনী নর্থরুপ গ্রুমম্যান কর্পোরেশন হতে ১০০ বি-২১ কিনবে।
Tuesday, 19 July 2016
আত্মরক্ষার সহজ কিছু পদ্ধতি
******আত্মরক্ষার সহজ কিছু পদ্ধতি*******
বর্তমানকালে দিনকালের অবস্থা খুবই খারাপ কখন কে কোবে কার রাগ পুষে রেখেছে তা বলা খুবই মুশকিল l তাই বর্তমান যুগে আত্মরক্ষার কিছু সহজ পদ্ধতি জানা খুবই দরকার l প্রথম কথা হল নিজেকে দুর্বল ভাবা যাবে না। মনে রাখবেন, অপরাধীরা দুর্বলদের সহজে অপরাধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। তাকে মানুষ না ভেবে অপরাধী ভাবতে শিখুন। অপরাধীরা আসলে আপনার থেকেও অনেক অনেক দুর্বল আর ভিতু। দুর্বল বলেই তারা চোরের মত অপরাধ ঘটায় আর পালিয়ে যায়। তারা ভাব দেখায় তারা শক্তিশালী। কিন্তু এরা আসলে রাস্তার নেড়ির ভয়েই ভিতু। নিজের ভয়কে রাগ আর ক্রোধে পরিণত করুন। রাগের থেকে ক্রোধ বেশি জরুরী। যদি মনে মনে বলতে পারেন," আমার গায়ে হাত দেওয়ার আস্পর্ধা হয় কি করে এর!" তাহলে অর্ধেক জয় পেয়ে গেলেন আপনি। নিচে সহজে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কএ বলা হয়েছে। এজন্য আপনাকে ব্ল্যাক বেল্টধারী হতে হবে এমনটা নয়। যে কেউ খুব সহজে এটি করতে পারেন। আর নীরবে চোখের জল বিসর্জন নয়। পাল্টা আঘাতের সময় আজকে আর এখন থেকেই। ১. নিজের ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি একটি কাঁচি, ছুরি, চাবি, লাল মরিচের গুড়া রাখুন। ২. আক্রান্ত হলে অপরাধীর নাকের নিচের নরম অংশে শক্ত মুষ্টিবদ্ধ হাতে সজোরে ঘুষি মারুন। খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। অপরাধী যত বড় বীর পালোয়ানই হোক না কেন, এই আঘাতে সে বসে পরতে বাধ্য। আর এই সময়টুকুই আপনার দরকার। ৩. নিজের পা দিয়ে অথবা ভারী কোন বস্তু দিয়ে অপরাধীর শিন বোনে আঘাত করুন। এতে সে ব্যথায় কঁকিয়ে উঠবে। ৪. আপনার হাত অথবা কবজি যদি কোন অপরাধী ধরে, সাথে সাথে কোন শক্ত বস্তুর সাথে তার হাতটিকে আঘাত করুন। এটা হতে পারে দেওয়াল অথবা দরজার ধাতব নব অথবা যে কোন শক্ত বস্তু। এতে তার মুঠি আলগা হয়ে যাবে। ৫. অপরাধী নাগালে থাকলে হাঁটু উঠিয়ে পায়ের হিল অথবা হিল জুতা দিয়ে সজোরে অপরাধীর পায়ে আঘাত করুন। এতে অপরাধী হাঁটু গেরে আপনার সামনে বসে পরবে। ৬. কাছে চাবি থাকলে তর্জনী আর মধ্যমা আঙুলের মাঝে চাবি রেখে অপরাধীর গলার নিচের নরম অংশ বরাবর আঘাত করুন। ৭. কানের পরদা খুব সংবেদনশীল। দুই হাতকে কাপের মত করে সজোরে অপরাধীর কানে আঘাত করুন। এতে তার কানের পরদা ছিঁড়ে যাবে। ৮. অপরাধীর আঙুল সজোরে ধরুন আর ঠিক উল্টা দিকে সজোরে মোচর দিন। ঠিকভাবে করতে পারলে আঙুল ভেঙে যেতে বাধ্য। মনে রাখবেন, যে নারীরা প্রতিবাদ করে আর পাল্টা আঘাত করতে পারেন, পরবর্তীতে তাঁদের নিজেদের প্রতি আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। শেষে বলতে তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা রাখা খুবই দরকার তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন l [পোস্টটি সবাই শেয়ার করুন যাতে বাকিরাও এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে l আমাদের এই ছোটো প্রয়াশ সমাজে বড়সড় পার্থক্য আনতে পারে ] https://m.facebook.com/TeamABDN
বর্তমানকালে দিনকালের অবস্থা খুবই খারাপ কখন কে কোবে কার রাগ পুষে রেখেছে তা বলা খুবই মুশকিল l তাই বর্তমান যুগে আত্মরক্ষার কিছু সহজ পদ্ধতি জানা খুবই দরকার l প্রথম কথা হল নিজেকে দুর্বল ভাবা যাবে না। মনে রাখবেন, অপরাধীরা দুর্বলদের সহজে অপরাধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। তাকে মানুষ না ভেবে অপরাধী ভাবতে শিখুন। অপরাধীরা আসলে আপনার থেকেও অনেক অনেক দুর্বল আর ভিতু। দুর্বল বলেই তারা চোরের মত অপরাধ ঘটায় আর পালিয়ে যায়। তারা ভাব দেখায় তারা শক্তিশালী। কিন্তু এরা আসলে রাস্তার নেড়ির ভয়েই ভিতু। নিজের ভয়কে রাগ আর ক্রোধে পরিণত করুন। রাগের থেকে ক্রোধ বেশি জরুরী। যদি মনে মনে বলতে পারেন," আমার গায়ে হাত দেওয়ার আস্পর্ধা হয় কি করে এর!" তাহলে অর্ধেক জয় পেয়ে গেলেন আপনি। নিচে সহজে আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কএ বলা হয়েছে। এজন্য আপনাকে ব্ল্যাক বেল্টধারী হতে হবে এমনটা নয়। যে কেউ খুব সহজে এটি করতে পারেন। আর নীরবে চোখের জল বিসর্জন নয়। পাল্টা আঘাতের সময় আজকে আর এখন থেকেই। ১. নিজের ব্যাগে প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি একটি কাঁচি, ছুরি, চাবি, লাল মরিচের গুড়া রাখুন। ২. আক্রান্ত হলে অপরাধীর নাকের নিচের নরম অংশে শক্ত মুষ্টিবদ্ধ হাতে সজোরে ঘুষি মারুন। খুবই কার্যকর একটি পদ্ধতি। অপরাধী যত বড় বীর পালোয়ানই হোক না কেন, এই আঘাতে সে বসে পরতে বাধ্য। আর এই সময়টুকুই আপনার দরকার। ৩. নিজের পা দিয়ে অথবা ভারী কোন বস্তু দিয়ে অপরাধীর শিন বোনে আঘাত করুন। এতে সে ব্যথায় কঁকিয়ে উঠবে। ৪. আপনার হাত অথবা কবজি যদি কোন অপরাধী ধরে, সাথে সাথে কোন শক্ত বস্তুর সাথে তার হাতটিকে আঘাত করুন। এটা হতে পারে দেওয়াল অথবা দরজার ধাতব নব অথবা যে কোন শক্ত বস্তু। এতে তার মুঠি আলগা হয়ে যাবে। ৫. অপরাধী নাগালে থাকলে হাঁটু উঠিয়ে পায়ের হিল অথবা হিল জুতা দিয়ে সজোরে অপরাধীর পায়ে আঘাত করুন। এতে অপরাধী হাঁটু গেরে আপনার সামনে বসে পরবে। ৬. কাছে চাবি থাকলে তর্জনী আর মধ্যমা আঙুলের মাঝে চাবি রেখে অপরাধীর গলার নিচের নরম অংশ বরাবর আঘাত করুন। ৭. কানের পরদা খুব সংবেদনশীল। দুই হাতকে কাপের মত করে সজোরে অপরাধীর কানে আঘাত করুন। এতে তার কানের পরদা ছিঁড়ে যাবে। ৮. অপরাধীর আঙুল সজোরে ধরুন আর ঠিক উল্টা দিকে সজোরে মোচর দিন। ঠিকভাবে করতে পারলে আঙুল ভেঙে যেতে বাধ্য। মনে রাখবেন, যে নারীরা প্রতিবাদ করে আর পাল্টা আঘাত করতে পারেন, পরবর্তীতে তাঁদের নিজেদের প্রতি আত্মমর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। শেষে বলতে তাই নিজের প্রতি বিশ্বাস ও মর্যাদা রাখা খুবই দরকার তাহলে যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারবেন l [পোস্টটি সবাই শেয়ার করুন যাতে বাকিরাও এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারে l আমাদের এই ছোটো প্রয়াশ সমাজে বড়সড় পার্থক্য আনতে পারে ] https://m.facebook.com/TeamABDN
Saturday, 16 July 2016
নিরীহ শান্তিপ্রিয় বেলুচিস্তানের মুসলিম ভাইদের উপর জঙ্গিরাষ্ট্র পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
নিরীহ শান্তিপ্রিয় বেলুচিস্তানের মুসলিম ভাইদের উপর জঙ্গিরাষ্ট্র পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান, বেলুচিস্তানের স্বাধীনতার যুদ্ধে নৈতিক সমর্থন জানান। দানব রাষ্ট্র পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে আয়তনে সবচেয়ে বড় বেলুচিস্তান । শুধু আয়তনে বড় তা নয়, বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ প্রদেশ, তেল ও গ্যাস যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য । তবে দানবরাষ্ট্রের নিয়ম মতেই বেলুচিস্তান পাকিস্তানের সবথেকে দরিদ্র ও অবহেলিত প্রদেশ । জাতিগতভাবে বেলুচদের শিক্ষার হার সবচেয়ে কম । বেলুচিস্তানের তেল, গ্যাস ও অন্যান্য খনিজে সমগ্র পাকিস্তানের উন্নয়ন ঘটলে ও কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো অনুদান পায়না বেলুচিস্তান । মাতৃভাষা বেলুচের পরিবর্তে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে উর্দূ। এসব নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ,প্রতিবাদ ,প্রতিরোধ চলে আসছে কয়েক যুগ ধরেই ।ষাটের দশকে এই ক্ষোভ তীব্র হলে নিষ্ঠুর সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে তা দমন করা হয় । সেই সামরিক আগ্রাসনের প্রধান ছিলো কুখ্যাত টিক্কাখান। সে কারনেঐ খুনী পরিচিতি পেয়েছিলো বেলুচিস্তানের কসাই নামে । মাঝে কয়েকবছর বিচ্ছিন্ন প্রতিবাদ আন্দোলন চললে ও জেনারেল মোশাররফের শাসনামলে বেলুচিস্তান আবার অশান্ত হয়ে উঠে । দানবরাষ্ট্র তার চরিত্রানুযায়ীইসামরিক অভিযান চালিয়ে দমন করতে চায় সকল আন্দোলন । ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাকবাহিনী হত্যা করেছে ১৫-২০ হাজার বেলুচ স্বাধীকার আন্দোলনের কর্মীকে । পাকবাহিনীর বিমান আক্রমনে ঘরবাড়ী হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছেন কমপক্ষে দু লক্ষ বেলুচ । গত বছর বিমান আক্রমনে হত্যা করা হয়েছে বেলুচিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা আকবর বুগতি'কে । এদিকে অসীম সাহসী বেলুচেরা গেরিলা কায়দার শুরু করেছে আত্নরক্ষা ও প্রতি আক্রমন । গঠিত হয়েছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি । যথারীতিই তাদেরকে ইতিমধ্যে ভারতীয় দালাল বলে আখ্যা দেয়া হয়ে গেছে ।আমি নিপীড়িত শান্তিকামী পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতার পক্ষে, বাংলদেশ এর কোন অধিকার নেই চট্টগ্রাম দখল করে রাখার। অবৈধ দখলদার বাংলাদেশ। আমি চাই চট্টগ্রাম স্বাধীন হোক। আর আপনি??
Friday, 15 July 2016
একজন যোদ্ধা আর জঙ্গী (তথাকথিত জিহাদী) এর মধ্য প্রধান পার্থক্য
একজন যোদ্ধা আর জঙ্গী (তথাকথিত জিহাদী) এর মধ্য প্রধান পার্থক্য হচ্ছে ,একজন বৃহত্ স্বার্থে ,ন্যয়ের পথে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে পিছপা হয় না .....আর অন্য জন ,ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য ,অপর বৃহত্ স্বার্থকে অন্যাই ভাবে নস্ট করার চেস্টা করে ।যোদ্ধারা কখনই নিজের জন্য না ভেবে ,সাধারন মানুষের স্বার্থকে সামনে রেখে ,নিজের জীবন বাজী রাখতে পিছপা হয় না ।তবে জঙ্গীরা এর উলটো ।কখনো শুনবেন না এক প্রকৃত যোদ্ধা ,মৃতু ভয়ে বোর্খা পরে যুদ্ধ স্থল থেকে পালায় ,কিন্তু এক জঙ্গীর যে মরন ভয় চরম ,,,,তা বার বার প্রমান হচ্ছে।
বুরহান ওয়ানি ,হচ্ছে সেই ধরনের নিকৃস্ট মানের নরকেখ কীট ..... যে নিজের স্বার্থের জন্য ,জঙ্গী পন্থায় দীক্ষিত হয়,তার কত গুলি পোস্য মহিলা দাসী ছিল ,তাই তার চরিত্রের প্রমান ।অনেক বড় বড় কথা বলে লেকচার দিয়েছিল সে ....ভারতীয় আর্মি তার টিকিও ছুতে পারবে না ,,সম্মুখ যুদ্ধে হ্যান করেঙ্গা ,ত্যান করেঙ্গা ।কিন্তু আসল সমর ,তার সমস্ত জঙ্গীত্ব (বীরত্বের জঙ্গী ভার্সন) পশ্চাদ দেশ গামী হয় ।যেখানে সে লুকিয়ে ছিল ,সেখানটা যখন আর্মি ঘিরে নেয় ,,তার পর বুরহান আর আর দুই সূয়ারকে এনকাউন্টার করতে ,আর্মি সময় নেয় ঠিক চার মিনিট ।অপারেশনে উপস্থিত এক আর্মির কথায় ,বুরহান যখন বুঝতে পারে ,তার সময় ঘনিয়ে এসেছে,রাইফেলে আর মাত্র দুই রাউন্ড গুলি আছে ,তখন সে রাইফেল টাইফেল ফেলে,হাত পা ছড়িয়ে কান্না করতে বসে ,জোড়ে চিত্কার করে নিজের প্রান ভিক্ষা চায় ।
------ এক সূয়ার জীহাদির নিকট এর চেয়ে বেশি কি বা আশা করা যায় ,প্রকৃত যোদ্ধা আর জঙ্গীর এখানেই পার্থক্য ।আসল যোদ্ধা হল ,ভারতীয় আর্মি ,যারা দেহের শেষ রক্ত বিন্দু অবদি লড়াই করবে ,আর জঙ্গী হল তারা,যারা বুরহানের মতো অন্যায় কাজ করে ,শেষে নিজের জীবন ভিক্ষা চায় ।
*** মোরাল অফ দ্যা স্টোরি : - - - 95% নীল ছবির নায়িকার এর কর্মকাল যেমন কোনও মতেই পাঁচ ছয় বছরের বেশি হয় না ....... তেমনই 95% জঙ্গীর কর্মজীবনের আয়ুস্কাল পাঁচ ছয় বছরের বেশি হয় না ,তার আগেই তারা হুর লাভ করে ।সুতরাং এক জঙ্গীকে হিজরার চেয়ে বড় কিছু বলা যাবে না।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ধাঁচে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন চক্রব্যূহ।
#ব্রেকিং_নিউজ:
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ধাঁচে জম্মু-কাশ্মীরে চলছে অপারেশন চক্রব্যূহ। রাজনাথ সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন জঙ্গি এবং জঙ্গিদের সাপোর্টার দুই একই। সুতরাং কাউকে রেয়াত নয়। এছাড়াও সেনাবাহিনীকে গুলি চালানোর সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয়েছে। কোনো বিক্ষোভ হলেই প্রথমে সফট কিল তা না হলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
.
এবার জমবে খেলা। কাশ্মীরে জঙ্গিরা পালানো পথ পাবে না। নো মারসি সিস্টেম একটিভেটেড।
রাশিয়া নতুন হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার তৈরী করছে
রাশিয়া নতুন হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার তৈরী করছে যা ফ্রেঞ্চ মিস্ট্রাল ক্লাস হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার/ অ্যাম্ফিবিয়ান অ্যাসল্ট শিপ থেকে বড় ও শক্তিশালী
হবে। রাশিয়ার ক্রিলভ স্টেট রিসার্চ সেন্টার 'লাভিনা' নামক এই হেলিকপ্টার ক্যারিয়ারটির ডিজাইন করেছে। এটির ওয়াটার ডিসপ্লেসমেন্ট হবে ২৪ হাজার
টনের বেশি, যা মিস্ট্রাল ক্লাস থেকে প্রায় তিন হাজার টনের চেয়ে বেশি হবে। এই ক্যারিয়ারটিতে সেমি-ট্রাইম্যারাং টাইপ হবে এবং ৩২০ জন ক্রু নিয়ে ২২ নট গতিতে একটানা ৫
হাজার মাইল চলতে সক্ষম হবে। এছাড়াও এতে ৫০০ জন ট্রুপস কিংবা ৫০+ টি হেভি আর্মার্ড ভেহিকল বহন করার ব্যবস্থা থাকবে। এতে কতটি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা থাকবে তা অফিশিয়ালি জানানো হয়নি। তবে আর্মি-২০১৫ মিলিটারি এক্সপোতে প্রদর্শিত মডেলটিতে মিস্ট্রাল ক্লাসের ছয়টি ল্যান্ডিং স্পটের তুলনায় আটটি হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং স্পট রয়েছে। আশা করা হচ্ছে ২০২০-২০২২ সালের মধ্যে এধরণের হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার সার্ভিসে আসবে.....
ভারতীয় ডিফেন্স মিন্সট্রি আশা করছে যে খুব শীঘ্রই,ভারতের হাতে পৌছে যাবে ,রাশিয়ার এডভান্সড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম
ভারতীয় ডিফেন্স মিন্সট্রি আশা করছে যে খুব শীঘ্রই,ভারতের হাতে পৌছে যাবে ,রাশিয়ার এডভান্সড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।2017 এর শেষ দিকে ,রাশিয়া এগুলি কে ভারতের হাতে তুলে দেবে ।রিপোর্ট বলছে ,শুধু S-400 ই নয়,ইতিমধ্য ভারত রাশিয়া থেকে আরও কিছু স্টেট অফ আর্ট ওয়েপনের অর্ডার দিয়ে দিয়েছে ,অথবা কথা চলছে ।সেগুলি কি কি একটু দেখে নিই :-
*** আরও দুটি আকুলা-2 নিউক্লিয়ার এটাক সাবমেরিন লিজ নিচ্ছে ভারত ।
*** সবচেয়ে আকর্ষনীয় ডিল , 4 টি TU-22M3 , লংরেঞ্জ নিউক বম্বার পেতে চলেছে ভারত।
*** আরও 1000 T-90S মেইন ব্যাটেল ট্যাংক ,এগুলি ভারতে তৈরী হবে।
*** 80 টি MI-17 কার্গো হেলিকপ্টার
***আরও 200 KA-226 ,ইউটিলিটি হেলিকপ্টার
*** 6 টি IL-76 ,এগুলির সাথে ইজরাইলি ফ্যালকন রাডার।
*** ভারতীয় MIG-29 গুলি আপগ্রেডেশন ।
§§§ অনেকের কাছেই পরমানু সাবমেরিন লিজ নেওয়ার ব্যাপার টি ক্লিয়ার নয় ,পুরোনো সাব লিজ কেনো নেওয়া হচ্ছে ,প্রশ্ন অনেক ,এ নিয়ে পরে পোস্ট দেওয়া হবে।
নয়াদিল্লিতে অফিস খোলার পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ড্রোন প্রস্তুতকারী সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস এরোনটিক্যাল সিস্টেমস।
নয়াদিল্লিতে অফিস খোলার পরিকল্পনা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ড্রোন প্রস্তুতকারী সংস্থা জেনারেল অ্যাটমিকস এরোনটিক্যাল সিস্টেমস। এই সংস্থার সিইও লিন্ডেন ব্লু বলেছেন, তাঁরা মার্কিন সরকারের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চাইছেন। ভারতীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রসীমার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য লক্ষ্যে স্থির এবং কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়া যন্ত্র সরবরাহ করতে চান। মার্কিন সংস্থাটি ভারতে দফতর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই জল্পনাই জোরদার হচ্ছে যে, অচিরেই ভারতও যাতে ড্রোন হাতে পায় সেই প্রক্রিয়া জোরদার হতে পারে।
.
উপকূলের নিরাপত্তা এবং সমুদ্রসীমার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোই ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং নৌবাহিনীর লক্ষ্যে। সেই কাজে এবার অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং যন্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে চাইছে মার্কিন সংস্থা। সেই কারণেই ভারতে অফিস খোলার পরিকল্পনা করেছেন ব্লু। তাঁদের বক্তব্য, স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সহজ হবে।
.
ভারত সম্প্রতি মিসাইল টেকনলজি কন্ট্রোল রেজিম-এর সদস্য হয়েছে। এরপরেই ২২টি গার্ডিয়ান প্রিডেটর এয়ারক্রাফট চেয়ে মার্কিন সরকারকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমান আধুনিক যুদ্ধে ,ইলকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ারের গূরুত্ব বেড়ে গেছে
|¤| বর্তমান আধুনিক যুদ্ধে ,ইলকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ারের গূরুত্ব বেড়ে গেছে।এই সুক্ষ্ম ইলেকট্রনিক্স যুদ্ধে ,অনেক বড় বড় মেশিন কেও পরাস্ত হতে দেখা গেছে ,তাই এই সময় এর কোনো বিকল্পই নেই ।নব্বইয়ের দশকে ,যখন ভারত নিউক টেস্ট করে ,তখন সারা পৃথিবী থেকে এক গাদা অবোরোধ চাপে ,ভারতের কাধে ।সেই সময় কোনও বিদেশী রাস্ট্রের ভালো ইলেকট্রনিক্স ওয়ারফেয়ার (EW) সিস্টেম ভারতের পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পরে ,তাই তখন ভারত নিজেদের এক আধুনিক EW সিস্টেম বানাতে প্রস্তুত হয় ,যার নাম সংযুক্তা ,এটি 2009 থেকেই আর্মি তে ,ব্যাপক জনপ্রিয় ভাবে এক্টিভ আছে এবং বর্তমানে ভারতীয় আর্মি হিউজ সংখ্যাক সংযুক্তা EW সিস্টেম ইউজ করে আসছে।
------- সংযুক্তা EW কে তৈরী করেছে ,দেশের সরকারী এবং বেসরকারী চল্লিশ টির ওপর সংস্থা, এদের মধ্য DRDO,BEL ,TATA প্রভৃতি উল্লেখ যোগ্য ।145 টি মোবাইল গ্রাউন্ড ভেহিকেল নিয়ে একটি সিস্টেম তৈরী হয় ।এদের প্রধান কাজ হল ,শত্রুর কমিউনিকেশন এবং নন কমিউনিকেশন ,হাই ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ গুলি জ্যাম করে দেওয়া ,বা তাকে হ্যাক করা ।এটি গ্রাউন্ড বা এয়ার বোর্ন যে কোনও সার্বিলেন্স সিগনাল,ভয়েস এবং রাডার সিগন্যাল কে জ্যাম করতে পারে।এটি 150 km X 70 km এরিয়া মধ্য এবং 1.5 -40 GHz এর ফ্রীকোয়েন্সিকে তত্ক্ষনাত ক্যাচ করে ,তার সার্বিল্যান্স ,এনালাইসিস,ইন্টারসেপশ ,তরঙ্গ যে স্থান হতে নির্গত হচ্ছে তার আকার,কেথায় আছে এবং তাকে বিনস্ট করা ,,,সব কিছু করতে পারে,নিজে জ্যাম না হয়েই।এই সংযুক্তা EW এর মাস্টার মাইন্ড , ভি কে আত্রে এটিকে ভারতের বেস্ট ইলেকট্রনিক্স কাউন্টারমেজার সিস্টেম বলেছেন।
দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার পেতে উঠেপড়ে লেগেছে চিন।
দক্ষিণ চিন সাগরের অধিকার পেতে উঠেপড়ে লেগেছে চিন। এমনকী যুদ্ধের হুঁশিয়ারিও দিতে শুরু করেছে তারা। বুধবার এবিষয়ে আলোচনাও চেয়েছে চিন। চিনের বিদেশমন্ত্রী লিউ ঝেংমিন জানিয়েছেন, কোনোরকম নাক গলাতে গেলেই যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের অধিকার নেই বলে জানিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেজিং। প্রায় এক ডজন দেশ চিনকে এই রায় মেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয় বলেও জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টকে আবর্জনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ফিলিপিন্স টাকা দিয়ে ওই রায়কে প্রভাবিত করেছে বলেও মন্তব্য করা হয়।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক আদালত জানিয়ে দেয়, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের অর্থনৈতিক অধিকার দাবির কোনও ভিত্তি নেই। আইনতও নেই, ঐতিহাসিকভাবেও নেই। ১৯৪৭ সালের মানচিত্র সামনে রেখে ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা করে, ‘এই সামুদ্রিক অঞ্চলের যাবতীয় সম্পদের উপর চিন যে দখলদারি কায়েম করতে চায় তার কোনও আইনগত যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্সের মত দেশের দিক থেকে একটি বড় জয়। চিন ১৯৪৯ সাল থেকে নিজেদের অধিকারের কথা ঘোষণা করে চলেছে। আসলে এমনিতে এই দ্বীপগুলি প্রবাল দ্বীপ হলেও রণনৈতিক কারণে এগুলির উপর চিনের লোভ প্রবল। সেই সঙ্গে রয়েছে এখানকার সামুদ্রিক সম্পদের হাতছানি। সামুদ্রিক সম্পদের মধ্যে রয়েছে মাছ, সমুদ্রগর্ভের খনিজ এবং তেলের ভাণ্ডার। আর এই নিয়েই চলছে লাগাতার টেনশন।
© kolkata24x7
যুদ্ধক্ষেত্রের পরিত্যাক্ত অস্ত্র সরাতে ৫০০ বছর লাগবেঃ-
ুযুদ্ধক্ষেত্রের পরিত্যাক্ত অস্ত্র সরাতে ৫০০ বছর লাগবেঃ-
উত্তর ফ্রান্সের সাম যুদ্ধক্ষেত্রে ১৯১৬ সালের ১ জুলাই সূত্রপাত হয়েছিলপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরিয়ে জায়গাটিকে নিরাপদ করতে আরো অন্তত পাঁচশো বছর লাগবে বলে জানিয়েছে বোমা নিস্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা এই কথা জানান তারা। চলতি বছর ওই অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত ২৫টন যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে।ওই জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সম্মিলিতবাহিনী।যুদ্ধের প্রথম দিনেই অন্তত ৬০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছিল। জায়গাটি ইতিহাসে সাম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত । সব মিলে এই যুদ্ধক্ষেত্রের হতাহতের সংখ্যা দশ লাখের বেশি, যা মানব ইতিহাসে ভয়াবহতমযুদ্ধগুলোর একটি।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শত বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার উত্তর ফ্রান্সের সাম অঞ্চলে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস, ওয়েলসেরযুবরাজ হ্যারিসহ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ঘটনার স্মরণে সকাল ৭ টা ২৮ মিনিটে দেশব্যাপী দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।যুদ্ধের সময় অঞ্চলটিতে উভয় পক্ষই ব্যাপক গোলাবারুদ মজুদ করেছিল। ব্যবহৃত ও অব্যাবহৃত এসব গোলাবারুদ এখনো রয়েছে ওই অঞ্চলের মাটির নিচে। কৃষকরা মাটি খুড়ে চাষ করতে গেলে প্রায়ই বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম উঠে আসতো। বোমার বিস্ফোরণে দুর্ঘটনাও ঘটতো প্রায়ই।চলতি বছরের শুরুতে এসব অস্ত্র সরিয়ে এলাকাটিকে নিরাপদ করার কাজ শুরু হয়। সাম যুদ্ধক্ষেত্রে কর্মরত বোমা নিস্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান মিচেল কলিং বলেন, ‘চলতি বছরের শুরুতে এখন পর্যন্ত আমরা ২৫ টন বোমা নিস্ক্রিয় করেছি। এই গতিতে কাজ করলে এলাকাটিকে বিপদমুক্ত করতে আরো অন্তত ৫০০ বছর লাগবে’।কলিং বলেন, ‘এখানে সব ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম পেয়েছি আমরা। সবচেয়ে বড় বোমাটির ওজন ৮০০ কেজি। আর সবচেয়ে ছোট বোমার মধ্যে রয়েছে গ্রেনেড’।
উত্তর ফ্রান্সের সাম যুদ্ধক্ষেত্রে ১৯১৬ সালের ১ জুলাই সূত্রপাত হয়েছিলপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধক্ষেত্রের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরিয়ে জায়গাটিকে নিরাপদ করতে আরো অন্তত পাঁচশো বছর লাগবে বলে জানিয়েছে বোমা নিস্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞরা এই কথা জানান তারা। চলতি বছর ওই অঞ্চল থেকে এখন পর্যন্ত ২৫টন যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে।ওই জার্মান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সম্মিলিতবাহিনী।যুদ্ধের প্রথম দিনেই অন্তত ৬০ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছিল। জায়গাটি ইতিহাসে সাম যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে খ্যাত । সব মিলে এই যুদ্ধক্ষেত্রের হতাহতের সংখ্যা দশ লাখের বেশি, যা মানব ইতিহাসে ভয়াবহতমযুদ্ধগুলোর একটি।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শত বার্ষিকীর স্মরণ অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার উত্তর ফ্রান্সের সাম অঞ্চলে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লস, ওয়েলসেরযুবরাজ হ্যারিসহ ব্রিটেন ও ফ্রান্সের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ঘটনার স্মরণে সকাল ৭ টা ২৮ মিনিটে দেশব্যাপী দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।যুদ্ধের সময় অঞ্চলটিতে উভয় পক্ষই ব্যাপক গোলাবারুদ মজুদ করেছিল। ব্যবহৃত ও অব্যাবহৃত এসব গোলাবারুদ এখনো রয়েছে ওই অঞ্চলের মাটির নিচে। কৃষকরা মাটি খুড়ে চাষ করতে গেলে প্রায়ই বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম উঠে আসতো। বোমার বিস্ফোরণে দুর্ঘটনাও ঘটতো প্রায়ই।চলতি বছরের শুরুতে এসব অস্ত্র সরিয়ে এলাকাটিকে নিরাপদ করার কাজ শুরু হয়। সাম যুদ্ধক্ষেত্রে কর্মরত বোমা নিস্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান মিচেল কলিং বলেন, ‘চলতি বছরের শুরুতে এখন পর্যন্ত আমরা ২৫ টন বোমা নিস্ক্রিয় করেছি। এই গতিতে কাজ করলে এলাকাটিকে বিপদমুক্ত করতে আরো অন্তত ৫০০ বছর লাগবে’।কলিং বলেন, ‘এখানে সব ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম পেয়েছি আমরা। সবচেয়ে বড় বোমাটির ওজন ৮০০ কেজি। আর সবচেয়ে ছোট বোমার মধ্যে রয়েছে গ্রেনেড’।
বুরহান ওয়ানি? ও তো ভারতের এজেন্ট!
বুরহান ওয়ানি?
ও তো ভারতের এজেন্ট! এটা ছিল যে কোনও সাধারণ কাশ্মীরির বয়ান। বুরহান ওয়ানি? ও হল মিডিয়ার তৈরি করা একটা কাগুজে বাঘ। এটা ছিল কাশ্মীরে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের বক্তব্য। বেশি দিন আগের কথা নয়। গত ৭ জুলাইও বুরহান ওয়ানি সম্পর্কে উপত্যকায় এমনই কথাবার্তা চলত। ৮ জুলাই সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মুহূর্তে বুরহান সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছে কাশ্মীরের। হঠাৎ ভারতীয় এজেন্ট থেকে বিপ্লবীতে উত্তরণ ঘটেছে কাশ্মীরি তরুণের। রাতারাতি মিথ দক্ষিণ কাশ্মীরের সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপথগামী তরুণ। গোটা পরিস্থিতির পিছনে কি কোনও সুপরিকল্পিত নকশা রয়েছে? উপত্যকায় গভীরে চোখ রাখলে কিন্তু অনেক ছবি উঠে আসছে। দু’পক্ষের কাছেই বিপথগামী ছিল বুরহান। সেনাবাহিনীর কাছে তো বটেই। ‘আজাদি’-পন্থীদের কাছেও। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় যে তরুণ কাশ্মীরি প্রজন্ম, তাঁদের মধ্যে বুরহান ছিল বেশ জনপ্রিয়। সুদর্শন তরুণ বুরহান জঙ্গি জীবনের নানা ছবি পোস্ট করত ফেসবুকে। হিজবুলের কুখ্যাত কম্যান্ডারদের সঙ্গে পাহাড়ে-জঙ্গলে দিন কাটছে কেমন, ফেসবুকে নিয়মিত ভেসে উঠত সেই ছবি। মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের শিক্ষিত তরুণদের হিজবুলে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করত সে। ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি। আবার গেরিলা পোশাক। হাতে কালাশনিকভ। কাশ্মীরি তরুণদের একাংশের সামনে জেহাদ আর রোম্যান্টিসিজমকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছিলেন বুরহান। কিন্তু বড় কোনও জঙ্গি হামলায় বুরহান অংশ নিয়েছেন বা ভয়ঙ্কর কোনও নাশকতা ঘটিয়েছেন, এমন রেকর্ড ছিল না। ফলে সেনাবাহিনীও বুরহান ওয়ানিকে নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি। পরিস্থিতিটা বদলে গেল পামপুরে সিআরপিএফ কনভয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার পর। কোনও জঙ্গি প্রবণতাকে আর রেয়াত করতে রাজি ছিল না সেনাবাহিনী। যেখানে যেখানে জঙ্গি গতিবিধির খবর মিলেছে, সেখানেই অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ৮ জুলাইয়ের অভিযানই তেমনই একটি অভিযান ছিল। সেই অভিযানেই খতম হয় হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান। সঙ্গে সঙ্গেই ‘আজাদি’র আন্দোলনে মিথ হয়ে ওঠা ‘শহিদ’দের তালিকায় মকবুল বাট, আফজল গুরুর পাশে বুরহান ওয়ানির নামটা জুড়ে গিয়েছে। কে ছিলেন মকবুল বাট? ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরেরতদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এক দিন নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চলে যান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ১৯৬৬ সালে ফিরে আসেন নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পাশে। অবধারিত ভাবে গ্রেফতার হন। কিন্তু শ্রীনগরের জেল থেকে পালিয়েও যান। আবার পৌঁছে যান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এ বার পাকিস্তান গ্রেফতার করে নেয় মকবুলকে। ভারতীয় এজেন্ট মকবুল— ধারণা হয়েছিল পাকিস্তানের। পরে পাক জেল থেকে মকবুলের মুক্তি হয়। তিনি আবার ফিরে আসেন। আবার ধরা পড়েন ভারতীয় বাহিনীর হাতে। উপত্যকায় ধারণা চারিয়ে গিয়েছিল, মকবুল বাট আসলে ‘ডাবল এজেন্ট’। ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের হয়েই কাজ করছেন তিনি, দু’দেশের সঙ্গেই বেইমানি করছেন। আজাদি-পন্থী কাশ্মীরিদের ধারণা ছিল, মকবুল বাটকে দিয়ে কাশ্মীরিয়তের কোনও উপকার হবে না। কিন্তু ভারত সরকার মকবুলকে ফাঁসিতে ঝোলাতেই মকবুলকে নিয়ে আবেগের স্রোত বইতে শুরু করে উপত্যকায়। আশির দশকে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের কট্টরবাদী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন মৃত মকবুল বাট। একই ঘটনা ঘটেছিল আফজল গুরুর ক্ষেত্রেও। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলার পর যখন আফজল গুরু গ্রেফতার হলেন, তখনও উপত্যকায় খুব একটা হেলদোল ছিল না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরএই অধ্যাপককে নিয়ে। কাশ্মীরের অনেকেই তখন ভাবছিলেন, ভারতের এজেন্ট আফজল। জইশ-ই-মহম্মদকে বিপদে ফেলতেই সংসদে জঙ্গিহানার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আফজলের ফাঁসি রায় ঘোষিত হতেই উপত্যকা উত্তাল হয়। মকবুল বাটের মতো মিথ হয়ে যান আফজলও। বুরহান ওয়ানির ক্ষেত্রেও ঘটনা পরম্পরা সেই পথেই। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় বাড়ি। বাবা সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। মসৃণ জীবন। তবে পরিবার বরাবরই জামাত-এ-ইসলামিরমতাদর্শে প্রভাবিত। মেধাবী ছাত্র, ক্রিকেটপ্রেমী, ফ্যাশনদুরস্ত, টেক স্যাভি— সচ্ছল, মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণ যেমন হন, ঠিক তেমনই ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে অন্য খাতে বইতে শুরু করল জীবন। অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের জমি নিয়ে যে বিতর্কে জম্মু-কাশ্মীর উত্তাল হল, সেই বিতর্ক কট্টরবাদের দিকে ঠেলে দেয় বুরহানকে। জামাত-এ-ইসলামি আর নয়, সংগঠনের জঙ্গি শাখা হিজবুলেই নাম লেখান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। হুরিয়ত কনফারেন্স বা উপত্যকার বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীসংগঠন কিন্তু বুরহান ওয়ানিকে তখনও বিশ্বাস করেনি। বুরহানকেও ভারতের এজেন্টই ভেবেছিল তারা। ‘‘যেখানে সেনাবাহিনী জঙ্গি গতিবিধি দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেখানে বুরহান ওয়ানিকে এত ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন? ফেসবুকে সে নিজের ছবি পোস্ট করছে, তরুণ প্রজন্মকে খোলাখুলি জেহাদে ডাকছে, অথচ সেনা তাঁকে খোঁজার চেষ্টাই করছে না। এ রকম হয় নাকি?’’ সাধারণ কাশ্মীরির কাছে ৭ জুলাই পর্যন্তও শোনা যেত এই কথা। উপত্যকতার তরুণদের মধ্যে আইএস-এর প্রভাব বাড়ছে, এমনটা প্রমাণ করতেই বুরহানকে ব্যবহার করছে ভারত, বলছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীসংগঠনগুলো। কিন্তু বুরহানের মৃত্যু হতেই নিমেষে বদলে গিয়েছে তাঁর ভাবমূর্তি। উপত্যকা উত্তাল তাঁকে নিয়ে। আবার তৈরি হয়েছে নতুন মিথ। বুরহানের মৃত্যুর পর প্রার্থনায় হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। সেনার পদস্থ কর্তাদের মধ্যেও রয়েছে বিভ্রান্তি। একাংশ বলছে, ‘‘আর কত ছাড় দেওয়া যায়? খোলাখুলি জঙ্গি হতে আহ্বান জানাচ্ছিল বুরহান। আমরা সব জেনেও চুপ করে থাকব কত দিন?’’ অন্য একটি অংশ বলছে, ‘‘পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিলাম আমরা। বুরহান সেই অর্থে জঙ্গি ছিল না। পাকিস্তান আমাদের ফাঁদে ফেলে বুরহানকে খুন করাল। কাশ্মীরের নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী ‘আইকন’ তৈরি করতে চাইছিল পাকিস্তান। তারা সফল হয়েছে।’’ এই দ্বিতীয় তত্ত্বটাকে কিন্তু উড়িয়ে দিতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ বুরহান ওয়ানি সেনা অভিযানে নিহত হওয়ার পর, গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুরহানের মৃত্যুকে ‘বোনাস’ হিসেবে দেখছে সেনা। কোকেরনাগে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে
ও তো ভারতের এজেন্ট! এটা ছিল যে কোনও সাধারণ কাশ্মীরির বয়ান। বুরহান ওয়ানি? ও হল মিডিয়ার তৈরি করা একটা কাগুজে বাঘ। এটা ছিল কাশ্মীরে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের বক্তব্য। বেশি দিন আগের কথা নয়। গত ৭ জুলাইও বুরহান ওয়ানি সম্পর্কে উপত্যকায় এমনই কথাবার্তা চলত। ৮ জুলাই সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মুহূর্তে বুরহান সম্পর্কে ধারণা বদলে গিয়েছে কাশ্মীরের। হঠাৎ ভারতীয় এজেন্ট থেকে বিপ্লবীতে উত্তরণ ঘটেছে কাশ্মীরি তরুণের। রাতারাতি মিথ দক্ষিণ কাশ্মীরের সচ্ছল মধ্যবিত্ত পরিবারের বিপথগামী তরুণ। গোটা পরিস্থিতির পিছনে কি কোনও সুপরিকল্পিত নকশা রয়েছে? উপত্যকায় গভীরে চোখ রাখলে কিন্তু অনেক ছবি উঠে আসছে। দু’পক্ষের কাছেই বিপথগামী ছিল বুরহান। সেনাবাহিনীর কাছে তো বটেই। ‘আজাদি’-পন্থীদের কাছেও। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় যে তরুণ কাশ্মীরি প্রজন্ম, তাঁদের মধ্যে বুরহান ছিল বেশ জনপ্রিয়। সুদর্শন তরুণ বুরহান জঙ্গি জীবনের নানা ছবি পোস্ট করত ফেসবুকে। হিজবুলের কুখ্যাত কম্যান্ডারদের সঙ্গে পাহাড়ে-জঙ্গলে দিন কাটছে কেমন, ফেসবুকে নিয়মিত ভেসে উঠত সেই ছবি। মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত ঘরের শিক্ষিত তরুণদের হিজবুলে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করত সে। ‘চকোলেট বয়’ ভাবমূর্তি। আবার গেরিলা পোশাক। হাতে কালাশনিকভ। কাশ্মীরি তরুণদের একাংশের সামনে জেহাদ আর রোম্যান্টিসিজমকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে দিয়েছিলেন বুরহান। কিন্তু বড় কোনও জঙ্গি হামলায় বুরহান অংশ নিয়েছেন বা ভয়ঙ্কর কোনও নাশকতা ঘটিয়েছেন, এমন রেকর্ড ছিল না। ফলে সেনাবাহিনীও বুরহান ওয়ানিকে নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি। পরিস্থিতিটা বদলে গেল পামপুরে সিআরপিএফ কনভয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হানার পর। কোনও জঙ্গি প্রবণতাকে আর রেয়াত করতে রাজি ছিল না সেনাবাহিনী। যেখানে যেখানে জঙ্গি গতিবিধির খবর মিলেছে, সেখানেই অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। ৮ জুলাইয়ের অভিযানই তেমনই একটি অভিযান ছিল। সেই অভিযানেই খতম হয় হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান। সঙ্গে সঙ্গেই ‘আজাদি’র আন্দোলনে মিথ হয়ে ওঠা ‘শহিদ’দের তালিকায় মকবুল বাট, আফজল গুরুর পাশে বুরহান ওয়ানির নামটা জুড়ে গিয়েছে। কে ছিলেন মকবুল বাট? ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরেরতদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এক দিন নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চলে যান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ১৯৬৬ সালে ফিরে আসেন নিয়ন্ত্রণ রেখার এ পাশে। অবধারিত ভাবে গ্রেফতার হন। কিন্তু শ্রীনগরের জেল থেকে পালিয়েও যান। আবার পৌঁছে যান পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এ বার পাকিস্তান গ্রেফতার করে নেয় মকবুলকে। ভারতীয় এজেন্ট মকবুল— ধারণা হয়েছিল পাকিস্তানের। পরে পাক জেল থেকে মকবুলের মুক্তি হয়। তিনি আবার ফিরে আসেন। আবার ধরা পড়েন ভারতীয় বাহিনীর হাতে। উপত্যকায় ধারণা চারিয়ে গিয়েছিল, মকবুল বাট আসলে ‘ডাবল এজেন্ট’। ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের হয়েই কাজ করছেন তিনি, দু’দেশের সঙ্গেই বেইমানি করছেন। আজাদি-পন্থী কাশ্মীরিদের ধারণা ছিল, মকবুল বাটকে দিয়ে কাশ্মীরিয়তের কোনও উপকার হবে না। কিন্তু ভারত সরকার মকবুলকে ফাঁসিতে ঝোলাতেই মকবুলকে নিয়ে আবেগের স্রোত বইতে শুরু করে উপত্যকায়। আশির দশকে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের কট্টরবাদী আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন মৃত মকবুল বাট। একই ঘটনা ঘটেছিল আফজল গুরুর ক্ষেত্রেও। ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলার পর যখন আফজল গুরু গ্রেফতার হলেন, তখনও উপত্যকায় খুব একটা হেলদোল ছিল না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরএই অধ্যাপককে নিয়ে। কাশ্মীরের অনেকেই তখন ভাবছিলেন, ভারতের এজেন্ট আফজল। জইশ-ই-মহম্মদকে বিপদে ফেলতেই সংসদে জঙ্গিহানার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আফজলের ফাঁসি রায় ঘোষিত হতেই উপত্যকা উত্তাল হয়। মকবুল বাটের মতো মিথ হয়ে যান আফজলও। বুরহান ওয়ানির ক্ষেত্রেও ঘটনা পরম্পরা সেই পথেই। দক্ষিণ কাশ্মীরের ত্রাল এলাকায় বাড়ি। বাবা সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার। মসৃণ জীবন। তবে পরিবার বরাবরই জামাত-এ-ইসলামিরমতাদর্শে প্রভাবিত। মেধাবী ছাত্র, ক্রিকেটপ্রেমী, ফ্যাশনদুরস্ত, টেক স্যাভি— সচ্ছল, মধ্যবিত্ত পরিবারের তরুণ যেমন হন, ঠিক তেমনই ছিলেন। ২০০৭ সাল থেকে অন্য খাতে বইতে শুরু করল জীবন। অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডের জমি নিয়ে যে বিতর্কে জম্মু-কাশ্মীর উত্তাল হল, সেই বিতর্ক কট্টরবাদের দিকে ঠেলে দেয় বুরহানকে। জামাত-এ-ইসলামি আর নয়, সংগঠনের জঙ্গি শাখা হিজবুলেই নাম লেখান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। হুরিয়ত কনফারেন্স বা উপত্যকার বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদীসংগঠন কিন্তু বুরহান ওয়ানিকে তখনও বিশ্বাস করেনি। বুরহানকেও ভারতের এজেন্টই ভেবেছিল তারা। ‘‘যেখানে সেনাবাহিনী জঙ্গি গতিবিধি দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে, সেখানে বুরহান ওয়ানিকে এত ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন? ফেসবুকে সে নিজের ছবি পোস্ট করছে, তরুণ প্রজন্মকে খোলাখুলি জেহাদে ডাকছে, অথচ সেনা তাঁকে খোঁজার চেষ্টাই করছে না। এ রকম হয় নাকি?’’ সাধারণ কাশ্মীরির কাছে ৭ জুলাই পর্যন্তও শোনা যেত এই কথা। উপত্যকতার তরুণদের মধ্যে আইএস-এর প্রভাব বাড়ছে, এমনটা প্রমাণ করতেই বুরহানকে ব্যবহার করছে ভারত, বলছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীসংগঠনগুলো। কিন্তু বুরহানের মৃত্যু হতেই নিমেষে বদলে গিয়েছে তাঁর ভাবমূর্তি। উপত্যকা উত্তাল তাঁকে নিয়ে। আবার তৈরি হয়েছে নতুন মিথ। বুরহানের মৃত্যুর পর প্রার্থনায় হিজবুল প্রধান সৈয়দ সালাউদ্দিন। সেনার পদস্থ কর্তাদের মধ্যেও রয়েছে বিভ্রান্তি। একাংশ বলছে, ‘‘আর কত ছাড় দেওয়া যায়? খোলাখুলি জঙ্গি হতে আহ্বান জানাচ্ছিল বুরহান। আমরা সব জেনেও চুপ করে থাকব কত দিন?’’ অন্য একটি অংশ বলছে, ‘‘পাকিস্তানের ফাঁদে পা দিলাম আমরা। বুরহান সেই অর্থে জঙ্গি ছিল না। পাকিস্তান আমাদের ফাঁদে ফেলে বুরহানকে খুন করাল। কাশ্মীরের নতুন প্রজন্মের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী ‘আইকন’ তৈরি করতে চাইছিল পাকিস্তান। তারা সফল হয়েছে।’’ এই দ্বিতীয় তত্ত্বটাকে কিন্তু উড়িয়ে দিতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ বুরহান ওয়ানি সেনা অভিযানে নিহত হওয়ার পর, গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুরহানের মৃত্যুকে ‘বোনাস’ হিসেবে দেখছে সেনা। কোকেরনাগে কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে
দক্ষিণ চিন সাগরে আজ বুধবার অত্যাধুনিক একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাল তাইওয়ান।
দক্ষিণ চিন সাগরে আজ বুধবার অত্যাধুনিক একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাল তাইওয়ান। হেগের আদালতে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ সাগর নিয়ে রায় দেওয়ার একদিন পরই সেখানে তাইওয়ানের কথিত সাগরসীমা রক্ষার জন্য এই যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী কাওশিউন থেকে রণতরীটি তাইপিং দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গিয়েছে
হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের গতকাল দেওয়া রায়ে দাবি করা হয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগরের জলপথে চিনের কোনও ঐতিহাসিক অধিকার নেই। ফিলিপাইনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দেওয়া এই রায় ম্যানিলার পক্ষে গেছে। রায়ে আরও বলা হয়েছে, তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রিত স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ তাইপিং আইনগত দিক থেকে একটি বৃহত্তর প্রস্তর খণ্ড মাত্র। তাই এটি তাইওয়ানের ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়ে না। এ দ্বীপের চারপাশের জলসীমার ওপর তাইওয়ানের দাবিও এই রায়ে নাকচ হয়ে গেছে। অবশ্য হেগের আদালতের রায় প্রত্যাখ্যান করেছে তাইওয়ান সরকার
এদিকে, তাইপিং দ্বীপের উদ্দেশ্যে পাঠানোর আগে যুদ্ধজাহাজের ডেকে সেনাদলকে পরিদর্শন করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সেনাদেরকে তিনি বলেন, তাইওয়ান নিজ ভৌগোলিক অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে দক্ষিণ চিন সাগরে তার দেশের অধিকারকে মারাত্মকভাবে বিপদজ্জনক করে তুলেছে বলেও এ সময়ে দাবি করেন তিনি
© kolkata24x7
সূত্রের খবর রাশিয়া থেকে ভারত Shtorm ক্লাস এয়ারক্রাফট কেরিয়ার কিনতে চলেছে
সূত্রের খবর রাশিয়া থেকে ভারত Shtorm ক্লাস এয়ারক্রাফট কেরিয়ার কিনতে চলেছে । রাশিয়া ভারতকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছে এমনটিই জানা যাচেছ l তবে এখনও পর্যন্ত আলোচনা চলছে।
এক নজরে এয়ারক্রাফট কেরিয়াটির বৈশিষ্ট :
ওজন : ১ লক্ষ টনের মতো ।
চওড়ায় : ৪০ মিটার
লম্বায় : ৩৩০ মিটার।
গতিবেগ : ৫৬কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা ।
বহন ক্ষমতা : ৮০-৯০টি এয়ারক্রাফট ও ৫০০০ জন ক্রু বহন করতে পারবে এই কেরিয়ারটি l
দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে কয়েকটি দেশের মধ্যে বিরোধ:
*****দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে কয়েকটি দেশের মধ্যে বিরোধ চলছে বহুদিন ধরেই তাই আমরা সংক্ষেপে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কোন দেশ কেন দক্ষিণ সাগরকে নিজের বলে দাবী করে l******
দক্ষিণ চীন সাগরে পার্সেলস ও স্পার্টলিস দ্বীপমালার পুরোটা কিংবা অংশ বিশেষের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করছে চীন, ভিয়েতনাম ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। ফিলিপাইনও ছোট-খাটো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে। পার্সেলস ও স্পার্টলিস ছাড়াও সেখানে রয়েছে আরো বারোটিরও বেশি দ্বীপ। সেগুলোতে মানুষ বাস করে না। ফসল ফলে না। পাথর ও বালির বিস্তীর্ণ প্রান্তর ছাড়াও আছে রীফ। কিন্তুু বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতেরয়েছে পার্সেলস ও স্পার্টলিস দ্বীপমালা। আর এই বিরোধ চলছে দশকের পর দশক ধরে। চীনের সবচেয়ে দক্ষিণের প্রদেশ হাইনান থেকে শত শত মাইল দক্ষিণ ও পূর্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই দ্বীপমালা। এর বৃহত্তর একটি অংশ দাবি করছে চীন। দাবির অনুকুলে প্রমাণ হিসেবে বলছে, দুই হাজার বছর আগে থেকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত রয়েছে দ্বীপমালার ওপর। ইতিহাসেই বলা আছে, পার্সেলস ও স্পার্টলিস চীনের অখণ্ড অংশ। চীন একটি ম্যাপও তৈরি করে ১৯৪৭ সালে। এতে দ্বীপমালা দুটোকে চীনের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়। অনেকটা তাইওয়ানের মতো। এদিকে ভিয়েতনাম চীনের এই দাবির তীব্র বিরোধীতা করে। হ্যানয় বলছে, ১৯৪০ সালের আগে চীন কখনোই দ্বীপমালা দুটোর ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করেনি। পার্সেলস ও স্পার্টলিস তারা সক্রিয়ভাবে শাসন করছে সপ্তদশ শতক থেকে। তাদের এই বক্তব্যের পক্ষে তারা নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারবে বলে জানায়। ফিলিপাইনও দ্বীপমালার আরেকটি দাবিদার। তারা যুক্তি দিয়ে বলছে, ভৌগলিকভাবে স্পার্টলিস দ্বীপপুঞ্জ তাদের অনেক কাছে। মূলত এটাই তাদের দাবির ভিত্তি। দ্বীপমালাটি ফিলিপাইন থেকে এক শ’ মাইলের সামান্য বেশি দূরে। কিন্তু চীন থেকে ৫০০ মাইল দূরে। মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও ঐ দ্বীপমালার কিছু ভূখ- দাবি করছে। তারা বলছে, ঐ ভূখণ্ড তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। ব্রুনেইয়ের বিষয়টি অবশ্য আলাদা। বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলো নিয়ে তাদের কোনো দাবি নাই। কিন্তু মালয়েশিয়া স্পার্টলিস দ্বীপপুঞ্জের অল্প কয়েকটি দ্বীপ চাইছে। কিনতু আজ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বড় জয় পেলো ফিলিপিন্সের। আদালত জানালো চীনের কোনো ঐতিহাসিক অধিকার নেই দঃ চীন সাগরে। এটিতে ফিলিপিন্সের অধিকার স্বীকার করল আদালত। এখন দেখার চীন কি করে l
দক্ষিণ চীন সাগরে পার্সেলস ও স্পার্টলিস দ্বীপমালার পুরোটা কিংবা অংশ বিশেষের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করছে চীন, ভিয়েতনাম ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। চীন ও ভিয়েতনামের মধ্যে কয়েকবার সংঘর্ষ হয়েছে। ফিলিপাইনও ছোট-খাটো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে। পার্সেলস ও স্পার্টলিস ছাড়াও সেখানে রয়েছে আরো বারোটিরও বেশি দ্বীপ। সেগুলোতে মানুষ বাস করে না। ফসল ফলে না। পাথর ও বালির বিস্তীর্ণ প্রান্তর ছাড়াও আছে রীফ। কিন্তুু বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতেরয়েছে পার্সেলস ও স্পার্টলিস দ্বীপমালা। আর এই বিরোধ চলছে দশকের পর দশক ধরে। চীনের সবচেয়ে দক্ষিণের প্রদেশ হাইনান থেকে শত শত মাইল দক্ষিণ ও পূর্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই দ্বীপমালা। এর বৃহত্তর একটি অংশ দাবি করছে চীন। দাবির অনুকুলে প্রমাণ হিসেবে বলছে, দুই হাজার বছর আগে থেকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত রয়েছে দ্বীপমালার ওপর। ইতিহাসেই বলা আছে, পার্সেলস ও স্পার্টলিস চীনের অখণ্ড অংশ। চীন একটি ম্যাপও তৈরি করে ১৯৪৭ সালে। এতে দ্বীপমালা দুটোকে চীনের ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়। অনেকটা তাইওয়ানের মতো। এদিকে ভিয়েতনাম চীনের এই দাবির তীব্র বিরোধীতা করে। হ্যানয় বলছে, ১৯৪০ সালের আগে চীন কখনোই দ্বীপমালা দুটোর ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করেনি। পার্সেলস ও স্পার্টলিস তারা সক্রিয়ভাবে শাসন করছে সপ্তদশ শতক থেকে। তাদের এই বক্তব্যের পক্ষে তারা নথিপত্র উপস্থাপন করতে পারবে বলে জানায়। ফিলিপাইনও দ্বীপমালার আরেকটি দাবিদার। তারা যুক্তি দিয়ে বলছে, ভৌগলিকভাবে স্পার্টলিস দ্বীপপুঞ্জ তাদের অনেক কাছে। মূলত এটাই তাদের দাবির ভিত্তি। দ্বীপমালাটি ফিলিপাইন থেকে এক শ’ মাইলের সামান্য বেশি দূরে। কিন্তু চীন থেকে ৫০০ মাইল দূরে। মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও ঐ দ্বীপমালার কিছু ভূখ- দাবি করছে। তারা বলছে, ঐ ভূখণ্ড তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। ব্রুনেইয়ের বিষয়টি অবশ্য আলাদা। বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলো নিয়ে তাদের কোনো দাবি নাই। কিন্তু মালয়েশিয়া স্পার্টলিস দ্বীপপুঞ্জের অল্প কয়েকটি দ্বীপ চাইছে। কিনতু আজ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বড় জয় পেলো ফিলিপিন্সের। আদালত জানালো চীনের কোনো ঐতিহাসিক অধিকার নেই দঃ চীন সাগরে। এটিতে ফিলিপিন্সের অধিকার স্বীকার করল আদালত। এখন দেখার চীন কি করে l
FGM 148 Javelin Missile
★★FGM 148 Javelin Missile★★
. FGM-148 Javelin হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল। এটি খুব সহজেই কাধে বহন করা যায়। এটিকে যদি পৃথিবীর সেরা Anti tank মিসাইল বলেন, তাহলেও ভুল হবে না। FGM-148 Javelin ১৯৯৬ সালে মার্কিন সেনাবাহীনিতে সার্ভিসে আসে। এখন পর্যন্ত এই মডেলের ৪০,০০০ হাজার মিসাইল তৈরী করা হয়েছে। যা শুধু আমেরিকার সেনাবাহীনিই ব্যবহার করে। FGM-148 Javelin এর ওজন হচ্ছে ২২.৩ কেজি, এবং দৈর্ঘ্য ১.১ মিটার। এটির Launch tube এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১.২ মিটার। FGM-148 Javelin একসাথে ৮.৪ কেজি Warhead বহন করতে পারে। এটির প্রতি ইউনিটের মূল্য হচ্ছে ২,৪৬,০০০ হাজার মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধে এই মিসাইল গুলোর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
. FGM-148 Javelin হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল। এটি খুব সহজেই কাধে বহন করা যায়। এটিকে যদি পৃথিবীর সেরা Anti tank মিসাইল বলেন, তাহলেও ভুল হবে না। FGM-148 Javelin ১৯৯৬ সালে মার্কিন সেনাবাহীনিতে সার্ভিসে আসে। এখন পর্যন্ত এই মডেলের ৪০,০০০ হাজার মিসাইল তৈরী করা হয়েছে। যা শুধু আমেরিকার সেনাবাহীনিই ব্যবহার করে। FGM-148 Javelin এর ওজন হচ্ছে ২২.৩ কেজি, এবং দৈর্ঘ্য ১.১ মিটার। এটির Launch tube এর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১.২ মিটার। FGM-148 Javelin একসাথে ৮.৪ কেজি Warhead বহন করতে পারে। এটির প্রতি ইউনিটের মূল্য হচ্ছে ২,৪৬,০০০ হাজার মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধে এই মিসাইল গুলোর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
মানবশরীরের সুস্থতার জন্য নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
মানবশরীরের সুস্থতার জন্য নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কী ঘটতে পারে, যদি কোনও মানুষ একটানা একমাস জেগে থাকে! সেটাই জানার জন্য এক সময়ে এক উদ্ভট পরীক্ষা চালিয়েছিলেন একদল বিজ্ঞানী। সেই পরীক্ষার পরিণাম যা হয়, তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো।
ঘটনাস্থল ১৯৪০ সালের রাশিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন চলছে পুরোদমে। সেই সময়েই দেশের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত ৫ বন্দির উপরে এক অদ্ভুত পরীক্ষা চালান রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি গ্যাস আবিষ্কার করা, যা মানুষের শরীর থেকে ঘুমের প্রয়োজনকে দূরীভূত করবে। প্রাথমিকভাবে যে গ্যাসটি তাঁরা তৈরি করেন, তার সাফল্য কতখানি তা পরীক্ষা করার ‘গিনিপিগ’ হিসেবে তাঁরা বেছে নেন ওই ৫ বন্দিকে। একটি প্রায় বায়ুরুদ্ধ ঘরের ভিতরে তাদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বন্দিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে যাতে বিজ্ঞানী বা রক্ষীদের আসতে না হয়, সেইজন্য ঘরের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগের জন্য রেখে দেওয়া হয় মাইক্রোফোন। এছাড়া, জেলের ভিতরে নিয়মিত খাবার দেওয়া, ও টয়লেটের বন্দোবস্তও রাখা হয়। তারপর ধীরে ধীরে সেই ঘুমরোধী গ্যাস প্রবিষ্ট করানো শুরু হয় সেই ঘরের ভিতর।
বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা ছিল এক মাসের জন্য সেই মানুষগুলিকে বন্দি রেখে পরীক্ষাটি চালানোর। বন্দিদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তারা যদি তিরিশ দিন নিরুপদ্রবভাবে তাদের বন্দিদশা মেনে নেয়, তাহলে তিরিশ দিন পরে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। প্রথম দিন তিনেক সব ঠিকঠাক চলল। পাঁচ দিনের পর থেকে মাইক্রোফোনে শোনা গেল, বন্দিরা তাদের অতীত জীবনে কৃত নানা অপরাধের কথা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। তারপর শুরু হল তাদের প্রলাপ বকা, এবং কোন কাজের জন্য আজ তাদের এই বন্দিদশা— সেই নিয়ে অনুশোচনা। দিন দশেকের পর থেকে বন্দিদের আচার-আচরণে ক্রমশ উন্মাদনার লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। এক বন্দি একদিন একটানা তিন ঘন্টা তারস্বরে চিৎকার করে যায়। বিজ্ঞানী ও কারারক্ষীরা মাইক্রোফোনে শুনতে পান সেই চিৎকার। তারপর আস্তে আস্তে সব শান্ত হয়ে আসতে থাকে। ১৪ নম্বর দিনে বিজ্ঞানীরা কৌতূহলী হয়ে ইন্টারকমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন বন্দিদের সঙ্গে। বন্দিদের মনে করিয়ে দেওয়া হয় যে, যদি তারা এই পরীক্ষায় সহযোগিতা করে তাহলে তিরিশ দিনের মাথায় মিলবে মুক্তি। বন্দিদের তরফ থেকে মাইক্রোফোনে উত্তর ভেসে আসে— ‘‘কে চায় মু্ক্তি?’’
বন্দিদের এই অস্বাভাবিক আচরণে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা পনেরো নম্বর দিনে গ্যাসের প্রয়োগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, কী আশ্চর্য, গ্যাস বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বন্দিরা কাকুতি-মিনতি শুরু করে গ্যাস পুনরায় চালু করার জন্য! কারারক্ষীদের পাঠানো হয় বন্দিদের জেল থেকে বের করে আনার জন্য। জেলের দরজা খুলে চোখ কপালে ওঠে রক্ষীদের। তাঁরা দেখেন, জেলের ভিতর জীবন্ত রয়েছে মাত্র চারজন বন্দি। আর এক বন্দির মৃতদেহ পড়ে রয়েছে মাটিতে। বন্দিদের জন্য দেওয়া খাবারও অভুক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিন্তু মৃতদেহটির শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে কারা যেন খুবলে খেয়েছে মাংস। এমনকী জীবন্ত চার বন্দির দেহ থেকেও মাংস খুবলে খাওয়ার চিহ্ন। বুঝতে বাকি থাকে না যে, বন্দিরা স্বাভাবিক খাবার বাদ দিয়ে একে অন্যকে খাওয়া শুরু করেছে। এই দৃশ্য দেখে সন্ত্রস্ত রক্ষীরা বন্দিদের জেল থেকে বার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হিংস্রভাবে তারা বাধা দেয়। রক্ষীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রক্ষীরা শেষ পর্যন্ত গুলি চালাতে বাধ্য হন। তিন জন বন্দি গুলি লেগে মারা যায়। জীবিত চতুর্থ বন্দিটি রক্ষীদের দিকে তাকিয়ে এক অদ্ভুত হাসি হেসে বলে, ‘‘তোমরা কি ভুলে গিয়েছ, যে আমরাই তোমরা?’’ এই কথা শুনে গুলি চালিয়ে দেন রক্ষীরা। মারা যাওয়ার আগে সেই বন্দি বলে, ‘‘মুক্তির এত কাছে পৌঁছেও...।’’ নিজের কথা আর শেষ করতে পারেনি সে।
ঘুমের অভাব যে মানুষের শরীর ও মনের উপর কী মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, তার এক চরম নিদর্শন হয়ে রয়েছে রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের এই পরীক্ষা। সম্প্রতি রাশিয়ার পুরোনো নথিপত্র ঘাঁটতে গিয়ে সেই দেশের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন এই গুপ্ত পরীক্ষার কথা। তা প্রকাশ পেয়েছে সংবাদমাধ্যমেও। যাঁরা জেনেছেন এই পরীক্ষার খবর, তাঁরা শিউরে উঠেছেন ঘুম-বঞ্চিত সেই পাঁচটি মানুষের এই ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জানতে পেরে।
Cold War Ramp
Cold War Ramp
স্নায়ু যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র এই বিশেষ ধরনের এয়ার ফিল্ড। উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের যে কোন অাঘাতে পাল্টা অাঘাত হানা। এই এয়ার ফিল্ডে B-52 বম্বারগুলোকে২৪ ঘন্টা পারমানবিক অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত রাখা হতো। যাতে করে খুব অল্প সময়ে অাক্রমন উপযোগি করা যায়। অামেরিকা এ ধরনের বেশ কয়েকটি এয়ার ফিল্ড তৈরি করে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন B-52 বম্বারগুলোর একের পর এক টেইক অফ করত।
হকার হান্টার ফাইটার জেট
হকার হান্টার ফাইটার জেট সুইজারল্যান্ডেরএকটি মহাসড়কের উপর।সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের কিছু দেশ তাদের মহাসড়ক এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে সেই মহাসড়ক বিমানের রানওয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।বিমান আকাশ উড়াতে রানওয়ের কোন বিকল্প নেই ।তাই শত্রু পক্ষ সবসময় চেষ্টা করে বিপক্ষের সকল রানওয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য।যদি ধ্বংস করে দেয় তাহলে প্রতিপক্ষ তার ফাইটার জেট আকাশে উড়াতে পারবে না।আর তখন তাদের পরাজয় সময়ের ব্যাপার।আর এই কথা মাথা রেখে সুইজারল্যান্ড এবং ইউরোপের কিছু দেশ তাদের মহাসড়কে এই রকম ভাবে তৈরি করেছে।যার ফলে এই সব দেশের বিমান বন্দরের বা বিমান ঘাঁটির রানওয়ে ধ্বংস হয়ে গেলেও ফাইটার জেট তারা উড়াতে পারবে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।
অনেক ব্যাক্তিই রয়েছেন যারা বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল সমূহকে মোটামুটি বাতিল অস্ত্র হিসেবেই গণ্য করেন।
আমাদের মাঝে এমন অনেক ব্যাক্তিই রয়েছেন যারা বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল সমূহকে মোটামুটি বাতিল অস্ত্র হিসেবেই গণ্য করেন। তাদের মতে অটোমেটিক অস্ত্রের এই যুগে বোল্ট অ্যাকশন রাইফেলগুলো শুধুমাত্র মিউজিয়ামের শোভাবর্ধক হিসেবেই বেশি মানানসই। কিন্তু বাস্তবে কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভূল। অটোমেটিক কিংবা সেমি-অটোমেটিক রাইফেল দ্রুততার সাথে এবং কোন শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই গুলি করতে সক্ষম হলেও তারা কিন্তু খুব একটা নিঁখুতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে না কারণ তাদের অভ্যন্তরে যন্ত্রাংশের নড়াচড়ার ফলে কম্পনের সৃষ্টি হয় এবং লংরেঞ্জের ক্ষেত্রে একটু কম্পনও গুলিকে ব্যাপকভাবে লক্ষ্যচুত করতে পারে। বোল্ট অ্যাকশন রাইফেলের অভ্যন্তরে এধরণের কোন কম্পন না হওয়ায় বোল্ট অ্যাকশন রাইফেলগুলো দ্বারা নিঁখুতভাবে লক্ষ্যভেদ করা সম্ভব হয়। এই কারণেই বেশিরভাগ স্নাইপার রাইফেল বোল্ট অ্যাকশন হয়ে থাকে এবং অনেকেই আরও অর্ধশতাব্দী আগে থেকে এটিকে বাতিল মনে করলেও পরবর্তী শতাব্দীতেও যে বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল সমূহ সবচেয়ে আধুনিক সেনাবাহিনীতেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই.....
Subscribe to:
Comments (Atom)








































