
ΠΠΠ ১১মার্চ ১৯৯৮সালের ভারত দ্বিতীয় বারের জন্য তাদের পরমানু শক্তির পরীক্ষা চালায় ও পৃথিবীর ষষ্ট দেশ হিসাবে পরমানু শক্তিধর দেশের গুলোর এলিট ক্লাবে প্রবেশ করে। পোখরানে প্রথম পরমানু বোমার সফল পরীক্ষার পর প্রায় ২৪বছর পরে ভারত সেই পোখরানেই তাদের দ্বিতীয় পরমানু পরীক্ষা সম্পন্ন করে। একে অপারেশন শক্তি বা পোখরান-২ বলে অভিহিত করা হয় যা অটোমিক এনার্জি কমিশন অফ ইন্ডিয়া ও ডিআরডিও যৌথভাবে সম্পন্ন করে।
.
পোখরানের মানে হলো " পাঁচটি প্রতিবিম্বর শহর " যা রাজস্থানের জয়সলমীর জেলার অন্তর্গত। এই মরুভূমি তে পরমানু পরীক্ষা করার পরিকাঠামো ঠিক কবে গড়ে তোলা হয়েছিল তা জানা না গেলেও মনে করা হয় পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশেই এখানে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছিল। তাই ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা তাদের দ্বিতীয় পরমানু পরীক্ষার জন্য পোখরান কেই বেছে নেয় কিন্তু পরিস্থিতি তখন মোটেও অনুকুল ছিল না। প্রথমত, অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হতো কারন খবর জানা জানি হলে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে এটি করা সম্ভব হতো না। তাই এই প্রজেক্টের প্রধান ডা: এপিজে আব্দুল কালাম ও ডা: আর চিদাম্বরম ততকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সাথে দেখা করেন ও তাদের পরিকল্পনার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রীও রাজী হন ও তাদের পরমানু পরীক্ষা করার সবুজ সংকেত দেন।
১১মে ১৯৯৮সালে আজ কের দিনেই বিশ্বের তাবড় গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর চোখে ধুলে দিয়ে ভারতীয় বৈজ্ঞানিকরা পোখরানে ৫টি নিউক্লীয়ার বোমার সফল পরীক্ষা চালায়। এর মধ্যে প্রথম টি ছিল fusion বোমা ও বাকী চারটি ছিল fission বোমা। এই বোমার গুলোর পরীক্ষার কোড নেম ছিল যথাক্রমে শক্তি-১ থেকে শক্তি-৫ পর্যন্ত।
এই পরমানু পরীক্ষার কথা সারা বিশ্ব জানতে পারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর এক ঘোষনার মাধ্যমে। দেশবাসীর মতোই বিশ্বের তাবড় তাবড় রাস্ট্র গুলো চমকে ওঠে এই ঘোষনা শুনে। অপারেশন শক্তির মধ্যেই ভারত সমগ্র বিশ্বকে একটি শক্তিশালী মেসেজ পাঠায় যে আগামী শতাব্দীর নতুন শক্তি রুপে ভারত আবির্ভূত হবে।
এই অপারেশন সফলভাবে পরিচালনা করেছিলেন যারা তাদের নাম গুলি নিম্নরূপ :
.
১. ডা: এপিজে আব্দুল কালাম আজাদ, সাইন্টিফিক এডভাইজার অফ প্রাইমিনিস্টার ও ডি আরডিও প্রধান।
.
২. ডা: আর চিদাম্ভরম, চেয়ারম্যান অফ অটোমিক এনার্জি।
.
৩. ডা: কে সান্থানাম; ডাইরেক্টর অফ টেস্ট সাইড পিপারেশন।
.
৪.ডা: জি আর ডিক্সিতুলু, , সিনিয়ার রিসার্চ সাইন্টিস্ট।
.
৫.ডা: অনিল কাকোদর, ডাইরেক্ট অফ ভাবা অটোমিক রিসার্চ সেন্টার।
.
৬. ডা: সাতেন্দ্র কুমার, ডাইরেক্ট ওফ থার্মোনিউক্লীয়ার ওয়েপেন ডেভাল্পমেন্ট।
.
৭. ডা: এম এস রামকুমার, ডাইরেক্ট অফ নিউক্লীয়ার ফুয়েল এন্ড অটোমেশান মেনুফাকচারিং গ্রুপ।
.
৮. ডা: ডি ডি সুড, ডাইরেক্ট অফ রেডিও কেমিস্ট্রি গ্রুপ।
.
৯. ডা: ডি গোবিন্দরাজ, এসোসিয়েট ডাইরেক্ট অফ ইলেকট্রনিক এন্ড ইন্ট্রোমেন্টালেশন গ্রুপ।
.
১০. কর্নেল উমাঙ কাপুর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর কমান্ডার।
.
পরবর্তীকালে ভারত সরকার ১১মে দিন টিতে ভারতীয় বৈজ্ঞানিক দের অভাবনীয় সাফল্যের কথা মাথায় রেখে এই দিন টি " National Technology Day " হিসাবে ঘোষনা করে। ΠΠΠ
No comments:
Post a Comment