Saturday, 21 May 2016

থ্রি নট থ্রি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল

থ্রি নট থ্রি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল ----------------------------------------------------------------------- সংহ্মিপ্ত পরিচিতিঃ . *টাইপঃ বোল্ট-একশন রাইফেল *দেশঃ ইউনাইটেড কিংডম *ডিজাইনারঃ জেমস প্যারিস লি এবং আর এস এ এফ(রয়্যাল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরী) –(এনফিল্ড এ অবস্থিত) যৌথ ভাবে *এই পর্যন্ত তৈরী হয়েছেঃ ১৭,০০০,০০০ এর ও বেশী *ওজনঃ ৪ কিলোগ্রাম *লম্বায়ঃ ৩০.২ ইঞ্চি থেকে ৪৪ ইঞ্চি *ব্যারেল এর দৈর্ঘ্যঃ ২৫.২ ইঞ্চি *কার্যকরী রেঞ্জঃ ৫১০ মিটার *ম্যাক্সিমাম রেঞ্জঃ ২৫০৮ মিটার *ফিড সিস্টেমঃ ১০ রাউন্ড বা ৫ রাউন্ডের ক্লিপ *কার্টিজঃ .৩০৩ ব্রিটিশ কার্টিজ . এই থ্রি নট থ্রি বা লি এনফিল্ড .৩০৩ আসলে আরেকটা বিখ্যাত রাইফেল “লি মেটফোর্ডের” এর এডাপটেশন ভার্সন।“বিংশ শতাব্দী”র মাঝখানের সময়টাতে “ব্রিটিশ” এবং “কমনওয়েলথ” দেশ গুলোর মিলিটারী ফোর্সের প্রিয় অস্র এবং মেইন অস্র ও ছিল এটি।প্রথম এবং ২য় বিশ্ব যুদ্ধে ব্রিটিশ এবং কমনওয়েলথ দেশ গুলোর “স্ট্যান্ডার্ড ইস্যু” ছিল এই রাইফেল।কমনওয়েলথ দেশ গুলোর মাঝে আস্ট্রিলিয়া,দহ্মিন আফ্রিকা,কানাডা,নিউজিল্যান্ড ইত্যাদি বিখ্যাত।যদিও ব্রিটিশ আর্মি ১৯৫৭ সালে বিখ্যাত L1A1 SLR দিয়ে এই রাইফেলকে রিপ্লেস করে।তবুও ব্রিটিশ পাখি শিকারীদের কাছে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই অস্রের ব্যাপক কদর ছিল,যতদিন না পর্যন্ত “L42” স্নাইপার রাইফেল বাজারে আসে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই রাইফেলটি ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করেছিল। ভারতের সমরাস্ত্র কারখানা এর মডিফায়েড ভার্সন বের করেছিল যার নাম ছিল "ইচ্ছাপুরী রাইফেল"। এই রাইফেলের বুলেটের ভেদন ক্ষমতা ড্রাগনভ স্নাইপার রাইফেলের থেকেও বেশি। এই রাইফেলে টেলিস্কোপিক সাইট লাগিয়ে স্নাইপার রাইফেল হিসাবে ব্যবহার করা যায়। . বর্তমানে ভারতের সেনাবাহিনী ও প্যারা মিলিটারীর প্রাথমিক শুটিং প্র্যাকটিস শুরু করানো হয় এই রাইফেল দিয়ে। CAG এর তথ্য অনুযায়ী ভারতের কাছে বর্তমানে ১৫,০০,০০০ থ্রি নট থ্রি ও ২ হাজার টন কার্তুজ আছে। বর্তমানে ভারতের কিছু রাজ্য পুলিশ এই রাইফেলটি ব্যবহার করে থাকে। একজন ট্রেনড শুটারের কাছে এই রাইফেল কতটা ভয়ংকর তা এই ভিডিওটা দেখলে বুঝতে পারবেন - http:// youtu.be/ kp0KGpBFG60

No comments: