কেএইচ-৩৫ উরান এন্টি শিপ মিসাইল
বর্তমানে ব্রাহমোসের পর ভারতীয় নৌবাহিনী তে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত এন্টিশিপ মিসাইল। রাশিয়ায় নির্মিত এই মিসাইল মার্কিন হারপুনের চেয়েও আধুনিক। ভারতের ৩টি দিল্লী ক্লাস ডেস্ট্রয়ার ও ৫টি কোরা ক্লাস কর্ভেটে এই মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনী র মিগ-২৯কে ও বিমানবাহিনীর সু-৩০এমকেআই, মিগ-২৯ইউপিজি, তেজস যুদ্ধবিমান এই মিসাইল ব্যবহার করে। রাশিয়াতে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায় কোস্টাল ডিফেন্সে। কেএইচ-৩৫ উরান মিসাইলের ইউনিট প্রতি দাম $৫০০০০০। ভারতে কয়েক হাজার কেএইচ-৩৫ এক্টিভ আছে। যা নৌ ও বিমানবাহিনীর অধীনে।
৫২০কেজি ওজনের এই মিসাইল ১৪৫কেজি হাই-এক্সপ্লোসিভওয়ারহেড বহন করে। ম্যাক ০৳৳৳৯ এর গতীবেগে এটি ১৩০কিমি দূরের লক্ষবস্তু কে আঘাত করতে পারে। একটি মিসাইল এতটাই শক্তিশালী যে ৫০০০টন ওজনের জাহাজের সলিল সমাধি করতে সক্ষম। হারপূণের মত এক বড় গুন হল এটিকে জ্যাম প্রুফ। অর্থাৎ কোনো ভাবে এটিকে জ্যাম করা যাবে না। অনেক সূত্র মতে ভারতীয় ও রাশিয়ান মিসাইল গুলি আপগ্রেড করে রেঞ্জ বর্তমানে ৩০০কিমি করা হয়েছে।
সবথেকে হাস্যকর বিষয় হল পাকিস্তানের জুলফিকার ক্লাস ফ্রিগেট চীনের তৈরি ভাঙারি C-802 এন্টিশিপ বহন করে। যার রেঞ্জ ১২০কিমি সেখানে ভারতের কোরা ক্লাস কর্ভেট ১৬টি কেএইচ-৩৫ উরান মিসাইল বহন করে। ভারতের একটি পুরানো কর্ভেটের ক্ষমতা পাকিস্তানের সর্বাধুনিক ফ্রিগেটের চেয়েও বেশি।

No comments:
Post a Comment