Wednesday, 25 May 2016

Agni 2 ২৫০০কিমি পাল্লার অগ্নি ২

২৫০০কিমি পাল্লার অগ্নি ২ বর্তমানে স্ট্রেটেজিক নিউক্লিয়ার ফোর্সের অধীনে ভারতীয় সীমান্তে চীন ও পাকিস্তান কে টার্গেট করা হয়েছে। এটি ১৯৯৯সালে ভারতীয় সেনার হাতে আসে। প্রতিটি মিসাইলের দাম ৩৫কোটি টাকা। বর্তমানে ৩৫০ অগ্নি ২ ও ১২টি টিইএল ভেহিকেলের সাথে আছে। অগ্নি সিরিজের রিএন্ট্রি ভেহিকেল কার্বন কম্পোজাইট দ্বারা নির্মিত। একদিকে যেমন তা ওজন কমাতে সহায়তা করেছে অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলে রি-এন্ট্রির সময় বায়ুর ঘর্ষনে উৎপন্ন তাপ থেকে ওয়ারহেডকে রক্ষাও করে। এই সময় প্রায় ৩০০০ডিগ্রি তাপ উৎপন্ন হয়। অগ্নি ২ প্রায় ১টন পরমাণু /কনভেনসেনাল হাই এক্সপ্লোসিভ/সাব-মিউসান ধরনের ওয়ারহেড বহন করে। অগ্নি ২ অগ্নি১এর থেকে অনেক এডভান্সড। আপনারা লক্ষ করবেন অগ্নি ১ এর রি-এন্ট্রি ভেহিকেল(উপরের কালো অংশ) তে কোনো ছোট ফিন বা ডানা জাতীয় অংশ নেই। কিন্তু অগ্নি ২ তে সেটি আছে। ফলে রিএন্ট্রির পর অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পর এটি এন্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে রক্ষা পেতে ম্যনুয়েভার করতে পারে যা একে অনেক আধুনিক করে তুলেছে। ১৯৯৯ তে যখন অগ্নি ২ টেস্ট করা হয় সেই সময় এতে ব্যবহৃত হয় প্রথম প্রজন্মের ওয়ারহেড। যা পশ্চিমি বা ইউরোপীয়ান ওয়ারহেডের তুলনায় অত্যন্ত পূরানো ও সেঁকেলে। তাই ডিআরডিও এক নতুন প্রজন্মের ওয়ারহেড তৈরি করে। যা ইউরোপিয়ান ওয়ারহেডের থেকে উন্নত। প্রথম প্রজন্মের ওয়ারহেড ছিল ১টন বা ১০০০কেজির বুস্টেড ফিসন ওয়ারহেড যার ক্ষম৳তা ছিল ২০০কিলোটন। দ্বিতীয় প্রজন্মে উন্নত করা হয়। বর্তমানে অগ্নি-২ ১টন থর্মোনিউক্লিয়ারওয়ারহেড বহন করে যার ক্ষমতা ৩৫০কিলোটন। তুলনা করতে বলা যায় হিরোসিমা তে যে পরমাণু বোমা টি নিক্ষপ করা হয় তার ক্ষমতা ছিল ২০কিলোটন ফিসন শ্রেনির। নতুন প্রজন্মে এই ওয়ারহেডে আছে ২০০কেজির অতিরিক্ত তরল জ্বালানি। তার কারন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে যখন এন্টি ব্যলিস্টিক মিসাইল ছোড়া হবে তখন রি-এন্ট্রি ভেহিকেলের চার পাশে থাকা ছোট ছোট বুস্টার এই জ্বালানী দ্বারা থ্রাস্ট প্রয়োগ করবে যা মিসাইলের গতীপথ পরিবর্তন করবে। ফলে এন্টি মিসাইল টি দিক ভ্রস্ট হবে। শুধু তাই না এই ওয়ারহেডে ব্যবহার করা হয়েছে কাউন্টারমেজর সিস্টেম যাতে শত্রুপক্ষের রেডার এর অবস্থান চিহ্নিত করতে না পারে। ম্যাক ১৫ এর গতী সম্পন্ন এই মিসাইল নতুন প্রজন্মের ওয়ারহেড পাওয়ায় এর একুয়েরেসি বেড়ে গেছে মারাত্মক ভাবে।

No comments: