Friday, 12 August 2016

পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে ক্রমশঃ

পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর ইস্যুতে ক্রমশঃ দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলছে ভারত। ১৯৪৭-৪৮, ১৯৬৫ ও ১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও রাষ্ট্রনেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে পাকিস্তানকে ধুল্যবলুন্ঠিত কোরে শায়েস্তা করতে পারেনি ভারত। . ১৯৭১-এ সিমলা চুক্তিতে মাথানত করেও ভুট্টো দেশে গিয়ে আবার রনং দেহী হয়ে ওঠে। কার্গিল যুদ্ধেও ভারত সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক টানাপোড়েনের জন্য যুদ্ধে জিতেও ভারত নিজেকে সংযত রাখে। পাকিস্তান সুদীর্ঘকাল ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় পাকি-সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে প্রক্সিযুদ্ধ চালিয়ে এসেছে। আগে প্রতিদিনই কাশ্মীরে প্রচুর হত্যালীলার খবর পাওয়া যেতো। সন্ত্রাসবাদীরা লাগামছাড়া ভাবেই হত্যা করতো নিরীহ মানুষকে। . এখন জামানা বদলেছে। সীমান্ত-পারের সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ অনেক কমেছে। পাকিস্তান এখন মরিয়া হয়ে চোরাগোপ্তা দু-একটি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে কাশ্মীরকে অশান্ত করার শেষ প্রয়াস করছে। সরকারও কড়া পদক্ষেপ নিতে কসুর করছেনা। অধিকন্তু, আন্তর্জাতিক মহলও ভারতের পক্ষে। সরকার পতনেরও সম্ভাবনা নেই। তাই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত এখন যথেষ্ঠ ইতিবাচক। . এবার তারই নজির হিসেবে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্-লগ্নে কাশ্মীর নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে কড়া বক্তব্য রাখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ভাষণে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, “কাশ্মীরে যা হচ্ছে তার কারিগর পাকিস্তানই।“ খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “যতই রাষ্ট্রসংঘে অনুরোধ করুন কিংবা কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্ররোচনা দিন, একটা কথা স্পষ্ট করে দিচ্ছি, দুনিয়ার কোনও শক্তি নেই যে কাশ্মীরকে ভারত থেকে কেড়ে নেয়।“ ভারতবর্ষের আপামর জনগন এরকম কঠোর ভারতবর্ষকেই প্রত্যাশা করে।।

No comments: